জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রোযা রেখে কাউকে গালি দিলে রোযা ভেঙ্গে যায়না।
রোযা আদায় হয়ে যায় ঠিকই,তবে রোযার বরকত কমে যায়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ حَدَّثَنَا وَاصِلٌ، عَنْ بَشَّارِ بْنِ أَبِي سَيْفٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ غُطَيْفٍ، قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الصَّوْمُ جُنَّةٌ مَا لَمْ يَخْرِقْهَا " .
ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব (রহঃ) ... ইয়াদ ইবনু গুতায়ফ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আবূ উবায়দা (রাঃ) বলেছেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) ঢাল স্বরূপ যতক্ষন পর্যন্ত ভেঙ্গে না ফেলে।
[নাসায়ী ২২৩৭, আত-তালীকুর রাগীব ২/৯৭, যঈফুল জামে' ৩৫৭৮]
সহীহ ইবনে খুযাইমার বর্ণনায় সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে সে যেন অশ্লীল কথা ও মূর্খতা পরিহার করে। যদি কেউ তাকে গালমন্দ করে কিংবা তার সঙ্গে ঝগড়া-মারামারিতে লিপ্ত হয়, সে যেন বলে- আমি রোজাদার।’
সুতরাং রোজাদার ব্যক্তির জন্য শোভনীয় হবেনা কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা; বরং সবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা উচিত। পরিচিত-অপরিচিত যে কোনো লোকের প্রতি কটূবাক্য, জুলুম, নির্যাতন, গালিগালাজ ইত্যাদিতে লিপ্ত হলে সে রোজা তাকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করবে না।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে তার জন্য করনীয় হলো উক্ত ব্যাক্তির থেকে মাফ চেয়ে নেয়া।