জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ইতেকাফে মসজিদের বারান্দা মসজিদের অংশ হিসেবে গণ্য হবে।
যদি উক্ত বারান্দা মূল মসজিদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ধর্তব্য হয়। অর্থাৎ মসজিদ নির্মাণের সময় বারান্দাটিও মসজিদ হিসেবেই নির্মিত হয়েছিল। তাহলে উক্ত বারান্দায় ইতিকাফকারী আসতে কোন সমস্যা নেই।
,
(০২)
অন্যান্য সময়ের ন্যায় বের হবে।
তবে বাহিরে গিয়ে কাহারো সাথে কথা বলবেনা।
প্রয়োজনীয় কথা হলে খুব দ্রুত শেষ করবে।
এক্ষেত্রে চলন্ত অবস্থায় কথা বলতে হবে,পতিমধ্যে থেমে কথা বলা যাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ السُّنَّةُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ أَنْ لاَ يَعُودَ مَرِيضًا وَلاَ يَشْهَدَ جَنَازَةً وَلاَ يَمَسَّ امْرَأَةً وَلاَ يُبَاشِرَهَا وَلاَ يَخْرُجَ لِحَاجَةٍ إِلاَّ لِمَا لاَ بُدَّ مِنْهُ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ بِصَوْمٍ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ فِي مَسْجِدٍ جَامِعٍ
ওয়াহব ইবন বাকীয়্যা ......... আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ই‘তিকাফের জন্য সুন্নাত এই যে, সে যেন কোন রোগীর পরিচর্যার জন্য গমন না করে, জানাযার নামাযে শরীক না হয়, স্ত্রীকে স্পর্শ না করে এবং তার সাথে সহবাস না করে। আর সে যেন বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত মসজিদ হতে বের না হয়। রোযা ব্যতীত ই‘তিকাফ নেই এবং জামে মসজিদ ব্যতীত ই‘তিকাফ শুদ্ধ নয়।
(আবু দাউদ ২৪৬৫)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَ النُّفَيْلِيُّ - قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمُرُّ بِالْمَرِيضِ، وَهُوَ مُعْتَكِفٌ، فَيَمُرُّ كَمَا هُوَ، وَلَا يُعَرِّجُ يَسْأَلُ عَنْهُ،
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই‘তিকাফরত অবস্থায় রোগীর কাছে যেতেন এবং তাকে দেখেই চলে যেতেন, সেখানে (অবস্থান করে) তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতেন না। ইবনু ঈসা (রহ.)-এর বর্ণনায় রয়েছেঃ ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই‘তিকাফ অবস্থায় রোগী দেখতে যেতেন।
(আবু দাউদ ২৪৭৩. মিশকাত (২১০৫)।
,
(০৩)
তখন গোসল আদায় করবে।
যদি বেশি রাতে হওয়ার কারনে সাথে সাথে গোসল না করে,তাহলে তায়াম্মুম করে অবস্থান করবে।
শেষ রাতে গোসল করে নিবে।
,
(০৪)
এক্ষেত্রে বারবার অযু করার জন্য বাহিরে যাওয়া সমস্যাকর নয়।
,
(০৫)
রমযান মাসের শেষ দশকের ইতিকাফ অবস্থায় সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয নয়। বের হলে ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে।
আবশ্যকীয় প্রয়োজনের মাঝে শামিল হল পেশাব পায়খানা করা, ফরজ গোসলের জন্য বের হওয়া, যদি বাসা থেকে খানা আনার কেউ না থাকে, তাহলে বাসা থেকে গিয়ে খানা খেয়ে আসা বা খানা নিয়ে আসা ইত্যাদি।
কিন্তু ফরজ গোসল ছাড়া এমনিতে গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। যদি কেউ বের হয়, তাহলে তার ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে।
হ্যাঁ, মুফতীয়ানে কেরাম একটি সূরত বলেছেন, সেটি হল এই যে, গোসল খানায় আগে থেকে কাউকে দিয়ে পানি ভরে রাখবে, তারপর ইস্তিঞ্জার জন্য বের হবে, ইস্তিঞ্জা শেষ করে অজু করার সময় দ্রুত গায়ে কিছু পানি ঢেলে চলে আসবে। এতে করে ইতিকাফ ভাঙ্গবে না। তবে গোসল করতে গিয়ে দেরী করবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا – زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – قَالَتْ: وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَيُدْخِلُ عَلَيَّ رَأْسَهُ وَهُوَ فِي المَسْجِدِ، فَأُرَجِّلُهُ، وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ البَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةٍ إِذَا كَانَ مُعْتَكِفًا»
আম্মাজান আয়শা রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ মসজিদে থাকা অবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ইতিকাফে থাকতেন, তখন [প্রাকৃতিক] প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না। {বুখারী, হাদীস নং-২০২৯, ১৯২৫, ১৯০২}