বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
যদি কেউ এমন কোনো গুনাহ করে থাকে, যার সম্পর্ক আল্লাহর সাথে,কোনো বান্দার সাথে নয়,অর্থাৎ হুক্বুক্বুল্লায় কোনো অবাধ্যাচরণ করা হলে,তাহলে এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব হচ্ছে উক্ত গুনাহকে লুকিয়ে রাখা ও আল্লাহর কাছে সঠিকভাবে খালিছ নিয়তে তাওবা করা।
পক্ষান্তরে যদি তার কৃত গুনাহর সম্পর্ক কোনো বান্দার সাথে জড়িত থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে যথাসম্ভব উক্ত গুনাহ ব্যক্ত না করে তার হক্ব আদায় করে দেয়া বা তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নেয়া।তবে যদি ব্যক্ত করা ব্যতীত হক্ব আদায় করা বা মাফ চাওয়া সম্ভব না হয়,তাহলে একাকী নির্জনে হক্ব আদায় করা বা তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নেয়া,এটাই ঐ হক নষ্টকারী ব্যক্তির দায়িত্ব ও কর্তব্য।
যেমন হাদীস শরীফে এসেছে.......
ﻋﻦ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﺃﺳﻠﻢ- : «يا أَيُّهَا النَّاسُ، قَدْ آنَ لَكُمْ أَنْ تَنْتَهُوا عَنْ حُدُودِاللهِ. مَنْ أَصَابَ مِنْ هذِهِ الْقَاذُورَةِ شَيْئاً، فَلْيَسْتَتِرْ بِسِتْرِ اللهِ. فَإِنَّهُ مَنْ يُبْدِي لَنَا صَفْحَتَهُ، نُقِمْ عَلَيْهِ كِتَابَ اللهِ»
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﻣﻮﻃﺄ ﻣﺎﻟﻚ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ » ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻴﻤﻦ ﺍﻋﺘﺮﻑ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ ﺑﺎﻟﺰﻧﺎ
তরজমাঃ-
হযরত যায়েদ ইবনে আসলাম রাঃ থেকে বর্ণিত,নবী কারীম সাঃ বলেনঃ সাবধান!এখনও সময় আছে,তোমরা গুনাহ থেকে বিরত থাকো।তোমাদের মধ্য থেকে
কেউ যদি এই নোংরা জিনিষে(গোনাহে)পতিত হয়,তাহলে সে যেন তা লোকিয়ে রাখে,(এবং তাওবা করে ছেড়ে দেয়)কিন্তু যদি সে আমাদের সামনে তা প্রকাশ করে, তাহলে আমরা তার উপর কিতাবুল্লাহকে (কোরআনে বর্ণিত শাস্তিকে)প্রয়োগ করব,বাস্তবায়িত করব।
মুয়াত্তা ইমাম মালিক-৩০৪৮।
ইমাম যারকানী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ-
ﻓﻴﺠﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺸﺨﺺ ﺇﺫﺍ ﻓﻌﻞ ﻣﺎ ﻳﻮﺟﺐ ﺣﺪﺍ ﺍﻟﺴﺘﺮ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ ﻭﺍﻟﺘﻮبة
) ﺷﺮﺡ ﺍﻟﺰﺭﻗﺎﻧﻲ ﻋﻠﻰ ﻣﻮﻃﺄ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻣﺎﻟﻚ(
অর্থাৎ-সমস্ত মানুষের উপর ওয়াজিব যখন সে কোন গুনাহর কাজ করবে তখন তা লুকিয়ে রাখবে এবং খালিছ নিয়তে তাওবা করবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
যেহেতু আপনার গোনাহ হুকুকুল্লাহ সম্পর্কিত।সুতরাং এ গুনাহ সম্পর্কে কাউকে অবগত করা যাবেনা,এমনকি স্বামীকেও অবগত করা যাবে না।সে এরকম কিছু জিজ্ঞেস করলে তখন মিথ্যা বলাও জায়েয রয়েছে।কেননা এতে গুনাহর প্রচার হয়,আর গুনাহের প্রচার গুনাহের মতই হারাম।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 906
আল্লাহ-ই ভাল জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.