আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
294 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (19 points)
আমার এক বোনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এক ছেলের সাথে হারাম সম্পর্ক ছিলো । তাদের এই সম্পর্ক প্রায় ৪ বছরের ছিলো এবং আল্টিমেটলি এটা ব্রেকআপ হয়ে যায়। এখন সে অন্য একজনকে বিবাহ করতে যাচ্ছে। এমতাবস্হায় তার পূর্বাকার রিলেশনশিপ সম্পর্কে জানানো উচিত হবে কিনা যেহেতু সে  একটা দীর্ঘকালীন ইমোশনাল এটাচমেন্টে ছিলো?

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)

বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ- 

যদি কেউ এমন কোনো গুনাহ করে থাকে, যার সম্পর্ক আল্লাহর সাথে,কোনো বান্দার সাথে নয়,অর্থাৎ হুক্বুক্বুল্লায় কোনো অবাধ্যাচরণ করা হলে,তাহলে এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির  জন্য ওয়াজিব হচ্ছে উক্ত গুনাহকে লুকিয়ে রাখা ও আল্লাহর কাছে সঠিকভাবে খালিছ নিয়তে তাওবা করা।

পক্ষান্তরে যদি তার কৃত গুনাহর সম্পর্ক কোনো বান্দার সাথে জড়িত থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে যথাসম্ভব উক্ত গুনাহ ব্যক্ত না করে তার হক্ব আদায় করে দেয়া বা তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নেয়া।তবে যদি ব্যক্ত করা ব্যতীত হক্ব আদায় করা বা মাফ চাওয়া সম্ভব না হয়,তাহলে একাকী নির্জনে হক্ব আদায় করা বা তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নেয়া,এটাই ঐ হক নষ্টকারী ব্যক্তির দায়িত্ব ও কর্তব্য।

যেমন হাদীস শরীফে এসেছে.......

ﻋﻦ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﺃﺳﻠﻢ- : «يا أَيُّهَا النَّاسُ، قَدْ آنَ لَكُمْ أَنْ تَنْتَهُوا عَنْ حُدُودِاللهِ. مَنْ أَصَابَ مِنْ هذِهِ الْقَاذُورَةِ شَيْئاً، فَلْيَسْتَتِرْ بِسِتْرِ اللهِ. فَإِنَّهُ مَنْ يُبْدِي لَنَا صَفْحَتَهُ، نُقِمْ عَلَيْهِ كِتَابَ اللهِ»

 ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﻣﻮﻃﺄ ﻣﺎﻟﻚ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ » ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻴﻤﻦ ﺍﻋﺘﺮﻑ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ ﺑﺎﻟﺰﻧﺎ

তরজমাঃ-

হযরত যায়েদ ইবনে আসলাম রাঃ থেকে বর্ণিত,নবী কারীম সাঃ বলেনঃ সাবধান!এখনও সময় আছে,তোমরা গুনাহ থেকে বিরত থাকো।তোমাদের মধ্য থেকে   

কেউ যদি এই নোংরা জিনিষে(গোনাহে)পতিত হয়,তাহলে সে যেন তা লোকিয়ে রাখে,(এবং তাওবা করে ছেড়ে দেয়)কিন্তু যদি সে আমাদের সামনে তা প্রকাশ করে, তাহলে আমরা তার উপর কিতাবুল্লাহকে (কোরআনে বর্ণিত শাস্তিকে)প্রয়োগ করব,বাস্তবায়িত করব।

মুয়াত্তা ইমাম মালিক-৩০৪৮।

ইমাম যারকানী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ-

ﻓﻴﺠﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺸﺨﺺ ﺇﺫﺍ ﻓﻌﻞ ﻣﺎ ﻳﻮﺟﺐ ﺣﺪﺍ ﺍﻟﺴﺘﺮ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ ﻭﺍﻟﺘﻮبة 

) ﺷﺮﺡ ﺍﻟﺰﺭﻗﺎﻧﻲ ﻋﻠﻰ ﻣﻮﻃﺄ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻣﺎﻟﻚ(

অর্থাৎ-সমস্ত মানুষের উপর ওয়াজিব যখন সে কোন গুনাহর কাজ করবে তখন তা লুকিয়ে রাখবে এবং খালিছ নিয়তে তাওবা করবে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!

যেহেতু আপনার গোনাহ হুকুকুল্লাহ সম্পর্কিত।সুতরাং এ গুনাহ সম্পর্কে কাউকে অবগত করা যাবেনা,এমনকি স্বামীকেও অবগত করা যাবে না।সে এরকম কিছু জিজ্ঞেস করলে তখন মিথ্যা বলাও জায়েয রয়েছে।কেননা এতে গুনাহর প্রচার হয়,আর গুনাহের প্রচার গুনাহের মতই হারাম।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 906

আল্লাহ-ই ভাল জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
edited
মুহতারাম, ফতোয়ার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, দেখা যায় কারো বিয়ে হয়েছে,  সংসার টিকছিলো হয়তো কয়েক সপ্তাহ মাত্র। অতঃপর দ্বিতীয় বার বিয়ে করার সময় যদি বিষয়টা গোপন করে তাহলে কি এটা প্রতারণা হিসেবে গণ্য হবে? কারণ এক্ষেত্রেও হাক্কুলইবাদ নষ্ট করা হয় নাই। এবং চাইলেই পরবর্তী স্বামী/স্ত্রীর হক্ব আদায় করতে পারে পরিপূর্ণ ভাবে। আর যদি এই কয়েক সপ্তাহের সম্পর্ক টা গোপন করা প্রতারণা হয়, তাইলে কয়েক বছরের সম্পর্কটা শুধু মাত্র হারাম হওয়ার জন্যে বলা যাবে না? এটা কেমন যেন বেইনসাফী মনে হয় আমার কাছে। একটু ব্যাপারটা আমার কাছে ক্লিয়ার হলে ভালো লাগত।
by (597,330 points)
কারো বিয়ে হয়ে আবার ভেঙ্গে যাওয়া হারাম কিছু না।বরং বিয়ে পরবর্তী প্রয়োজন মাফিক তালাক্ব সেটা তো শরীয়তে বৈধ।সুতরাং এটা প্রকাশ করাতে কোনো প্রকার গোনাহ নাই।

কিন্তু বিয়ে পূর্ববর্তী সম্পর্ক হারাম এবং গোনাহের। কেউ গোনাহ করে ফেললে তাওবাহ করা তার উপর ওয়াজিব।এবং গোনাহকে লুকিয়ে রাখাও ওয়াজিব।

যদি আমাকে প্রশ্ন করা হয় যে,বিয়ে পূর্ববর্তী সম্পর্ক দোষের কেন? হয়তো স্বাভাবিক বন্ধুত্বের মত নতুবা বিয়ের মত।তাই এটা দুষের হবে কেন? এখানে তো কারো প্রতি নির্যাতন করা হচ্ছে না? কাউকে কষ্ট দেয়া হচ্ছে না।কারো মালকে আত্মসাৎ করা হচ্ছে না।বরং নিজ স্বাধীনতা কে সে উপভোগ করছে।

তখন এমন প্রশ্নের জবাবে আমাকে বলতে হবে,
ভাই,এখানে বুঝলাম, এসব কিছু হয়নি।তবে আল্লাহ নির্দেশের উল্টো হয়েছে।আল্লাহ চাচ্ছেন,রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখতে,সে জন্য আল্লাহ যিনা ব্যভিচার কে হারাম করেছেন, তাই হারাম।এখানে যুক্তি দিয়ে কাজ হবে না।

যখন আমরা বুঝতে পারলাম,যিনা-ব্যভিচার এজন্য হারাম,যে এটাকে আল্লাহ হারাম ঘোষনা দিয়েছেন,সুতরাং আমরা বলবো, যে আল্লাহ ঘোষনা দিচ্ছেন, নিজ দোষকে লুকিয়ে রাখতে,কারো কাছে প্রকাশ না করতে।কেননা অন্যকেউ তো তাকে এই গোনাহ থেকে মুক্তি দিতে পারবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 140 views
...