ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
৮ দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।
তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন।তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হায়েয শেষ হয়েছে কি না? যদি এ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেয়া সম্ভবপর না হয়,তাহলে যখনই বাহ্যিকভাবে আপনি হায়েয শেষ হওয়াকে দেখবেন,তখনই নামায রোযা করবেন,এবং যখনই দেখবেন যে,হায়েয শুরু হয়েছে,তখন নামায রোযাকে পরিত্যাগ করবেন।
(২)
জ্বী,রোজাবস্থায় ফরজ গোসলে শুধু কুলি আর নাকে আঙুল দিয়ে পানি দিলেই হবে। গরগরা করে কুলি, আর নাকে পানি নিয়ে টান দেয়ার প্রয়োজন নাই।তবে নাভিতে আঙুল দিয়ে সর্বত্র পানি প্রবেশ করিয়ে ভেজাতে পারবেন।এতে রোযার কোনো ক্ষতি হবে না।
(৩)
যৌনাঙ্গের বাহিরের অংশ আলতো ভাবে পরিস্কার করে নিলেই হবে। অথবা ভিজা কাপড় দ্বারা বাহিরের অংশকে পরিস্কার করে নিলেই হবে।
(৪)
আপনার এ প্রশ্নটি অতি সংক্ষিপ্ত। সুতরাং আপনি বিস্তারিত কমেন্টে উল্লেখ করুন।