ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
মাদকদ্রব্য সম্পর্কে কিছু মূলনীতি মূলক আলোচনা সর্বাগ্রে মনে রাখা আমাদের অত্যান্ত প্রয়োজন।
যা হানাফি গ্রন্থের গ্রহণযোগ্য কিতাবাদি থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রথমেই ফাতাওয়ায়ে শামীর ইবারত আমরা লক্ষ্য করি,তথায় লিখিত রয়েছে...
ﻭﺍﻟﻤﺤﺮﻡ ﻣﻨﻬﺎ ﺃﺭﺑﻌﺔ ) ﺃﻧﻮﺍﻉ
ﺍﻷﻭﻝ ( ﺍﻟﺨﻤﺮ ﻭﻫﻲ ﺍﻟﻨﻲﺀ ﻣﻦ ﻣﺎﺀ ﺍﻟﻌﻨﺐ ﺇﺫﺍ ﻏﻠﻰ ﻭﺍﺷﺘﺪ ﻭﻗﺬﻑ ﺑﺎﻟﺰﺑﺪ ﻭﺣﺮﻡ ﻗﻠﻴﻠﻬﺎ ﻭﻛﺜﻴﺮﻫﺎ ) ﺑﺎﻹﺟﻤﺎﻉ
( ﻭ ) ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ( ﺍﻟﻄﻼﺀ ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻌﺼﻴﺮ ﻳﻄﺒﺦ ﺣﺘﻰ ﻳﺬﻫﺐ ﺃﻗﻞ ﻣﻦ ﺛﻠﺜﻴﻪ ﻭﻗﻴﻞ ﻣﺎ ﻃﺒﺦ ﻣﻦ ﻣﺎﺀ ﺍﻟﻌﻨﺐ ﺣﺘﻰ ﺫﻫﺐ ﺛﻠﺜﺎﻩ ﻭﺑﻘﻲ ﺛﻠﺜﻪ ) ﻭﺻﺎﺭ ﻣﺴﻜﺮﺍ ( ﻭﻫﻮ ﺍﻟﺼﻮﺍﺏ ﻭﻧﺠﺎﺳﺘﻪ ﻛﺎﻟﺨﻤﺮ ) ﺑﻪ ﻳﻔﺘﻲ
( ﻭ ) ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ( ﺍﻟﺴﻜﺮﻭﻫﻮ ﺍﻟﻨﻲﺀ ﻣﺎﺀ ﺍﻟﺮﻃﺐ )
( ﻭ ) ﺍﻟﺮﺍﺑﻊ ( ﻧﻘﻴﻊ ﺍﻟﺰﺑﻴﺐ ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻨﻲﺀ ﻣﻦ ﻣﺎﺀ ﺍﻟﺰﺑﻴﺐ ) ﺑﺸﺮﻁ ﺃﻥ ﻳﻘﺬﻑ ﺑﺎﻟﺰﺑﺪ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﻐﻠﻴﺎﻥ
( ﻭﺍﻟﻜﻞ ) ﺃﻱ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ ﺍﻟﻤﺬﻛﻮﺭﺓ ( ﺣﺮﺍﻡ ﺇﺫﺍ ﻏﻠﻲ ﻭﺍﺷﺘﺪ ) ﻭﺇﻻ ﻟﻢ ﻳﺤﺮﻡ ﺍﺗﻔﺎﻗﺎ ﻭﺇﻥ ﻗﺬﻑ ﺣﺮﻡ ﺍﺗﻔﺎﻗﺎ ﻭﻇﺎﻫﺮ ﻛﻼﻣﻪ ﻓﺒﻘﻴﺔ ﺍﻟﻤﺘﻮﻥ ﺃﻧﻪ ﺍﺧﺘﺎﺭ ﻫﺎ ﻫﻨﺎ ﻗﻮﻟﻬﻤﺎ ( ﺗﻨﻮﻳﺮ ﺍﻷﺑﺼﺎﺭ ﻣﻊ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ - ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺷﺮﺑﺔ - 2/259)
পানীয় র মধ্য থেকে চার প্রকারের পানীয় হারাম।
যথা-
- মদ (الخمر)
আঙ্গুরের কাঁচা রস উথলানোর পর যখন তা গাড়/শক্ত হয়ে উঠে (এমন পর্যায়ে পৌছে যাতে নেশা চলে আসে)।এবং যখন তাতে ফেনা সৃষ্টি হয়।একেই খামর বলে। যার কমবেশি সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
- তি'লা (ﺍﻟﻄﻼﺀ)
আঙ্গুরের কাঁচা রস পাকানোর পর যদি দুই তৃতীয়াংশের কম বা দুই তৃতীয়াংশ শুকিয়ে যায়।
এটাও নেশাপ্রবণ। তাই মদের মত এটাও হারাম।এবং এর উপরই ফাতাওয়া।
- নাকীউত তামার (نقيع التمر)
পাকা শুকনা খেজুরের শরাব যা পানিতে ভিজিয়ে করা হয়।
- নাকীউয যাবীব(نقيع الزبيب)
শুকনা কিসমিস কয়েকদিন পর্যন্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর যখন তাতে ভাপ সৃষ্টি হয়,তখন একে নাকীউয যাবীব বলা হয়।
- প্রথম প্রকার বিধান তো পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে।তথা হারাম।এখন বাকী তিন প্রকারেরর হুকুম হল,যদি তা উথলানোর পর যখন তা গাড় বা শক্ত হয়ে উঠে,
তাহলে এগুলাও হারাম।নতুবা হারাম হবে না।
আর যদি তাতে ফেনা চলে আসে তবে তা ঐক্যমতে হারাম হবে।
উক্ত বিষয়ে সাহাবাইন রাহ এর মতামতের উপর-ই ফাতাওয়া।(তথা ফেনা উঠা শর্ত নয়) (ফাতাওয়ায়ে শা'মী;২/২৫৯)
হেদায়া গ্রন্থের সর্বজনখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল কাদীরে বর্ণিত রয়েছে....
যে সমস্ত এলকোহল খেজুর বা আঙ্গুর দ্বারা বানানো হয়নি, তেমন বস্তু নেশা না আসা পর্যন্তের জন্য ব্যবহার জায়েজ ইমাম আবু হানীফা রহঃ এবং ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর মতানুসারে।
{ফাতহুল কাদীর-৮/১৬০,
ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-৫/৪১২,
আল বাহরুর রায়েক-৮/২১৭-২১৮,
ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৭/২১৯}
হারাম জিনিষের মৌলিকত্ব চলে যাবার পর তার বিধান কি?
সে সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে যে, আর হারাম কোন বস্তু যেমন শুকর ইত্যাদির যদি এমনভাবে রিফাইন করা হয় যে, এসবের কোন মৌলিকত্ব বাকি না থাকে, তাহলেও উক্ত বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ আছে। আর যদি সেসব হারাম বস্তুর মৌলিকত্ব বাকি থাকে, তাহলে উক্ত বস্তু যাতে মিশ্রিত করা হবে, তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।
{নিহায়াতুল মুহতাজ লির রামালি-৮/১২}
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে....
ﺃﻣﺎ ( ﺍﻟﺨﻤﺮ ) ﺇﺫﺍ ﺧﻠﻠﻪ ﺑﻌﻼﺝ ﺑﺎﻟﻤﻠﺢ ﺃﻭ ﺑﻐﻴﺮﻩ ﻳﺤﻞ ﻋﻨﺪﻧﺎ ( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ،ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺷﺮﺑﺔ ﻭﻓﻴﻪ ﺑﺎﺑﺎﻥ ﺍﻟﺒﺎﺏ ﺍﻷﻭﻝ ﻓﻲ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻷﺷﺮﺑﺔ ﻭﺍﻷﻋﻴﺎﻥ ﺍﻟﺘﻲ ﺗﺘﺨﺬ ﻣﻨﻬﺎ ﺍﻷﺷﺮﺑﺔ ﻭﺃﺳﻤﺎﺅﻫﺎ ﻭﻣﺎﻫﻴﺎﺗﻬﺎ ﻭﺃﺣﻜﺎﻣﻪ - 5/410
অনুবাদ-
মদকে যখন লবন বা অন্য কিছু দ্বারা সির্কা বানিয়ে ফেলা হয়, তখন তা হালাল হয়ে যায়।
{ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৪১০,
মাজমাউল আনহুর-৪/২৫১,
ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৭/২১৮}
হারাম সংমিশ্রণের সন্দেহপূর্ণ জিনিষের বিধান কি?
উক্ত প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,
যদি হারাম বস্তু মিশ্রিত করা হল কি না?
এ ব্যাপারে পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকে।তাহলে উক্ত পারফিউম/বডি স্প্রে ব্যবহারে ও কোন সমস্যা হবে না।
কেননা উসূলে ফিকহের গ্রহণযোগ্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে....
ﺍﻟﻴﻘﻴﻦ ﻻ ﻳﺰﻭﻝ ﺑﺎﻟﺸﻚ
(ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻨﻈﺎﺋﺮ، ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ)
ভাবার্থঃ
পূর্ব বিশ্বাস সন্দেহের কারণে দূরবিত হয় না।
(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাঈর-তৃতীয় ক্বায়েদা দ্রষ্টব্য)
আরও বর্ণিত রয়েছে......
ﻓﻲ ﺍﻟﺘﺘﺎﺭﺧﺎﻧﻴﺔ : ﻣﻦ ﺷﻚ ﻓﻲ ﺇﻧﺎﺋﻪ ﺃﻭ ﻓﻲ ﺛﻮﺑﻪ ﺃﻭ ﺑﺪﻥ ﺃﺻﺎﺑﺘﻪ ﻧﺠﺎﺳﺔ ﺃﻭ ﻻ ﻓﻬﻮ ﻃﺎﻫﺮ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﺴﺘﻴﻘﻦ، ﻭﻛﺬﺍ ﺍﻵﺑﺎﺭ ﻭﺍﻟﺤﻴﺎﺽ ﻭﺍﻟﺠﺒﺎﺏ ﺍﻟﻤﻮﺿﻮﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻄﺮﻗﺎﺕ ﻭﻳﺴﺘﻘﻲ ﻣﻨﻬﺎ ﺍﻟﺼﻐﺎﺭ ﻭﺍﻟﻜﺒﺎﺭ ﻭﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻮﻥ ﻭﺍﻟﻜﻔﺎﺭ؛ ﻭﻛﺬﺍ ﻣﺎ ﻳﺘﺨﺬﻩ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺸﺮﻙ ﺃﻭ ﺍﻟﺠﻬﻠﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﻛﺎﻟﺴﻤﻦ ﻭﺍﻟﺨﺒﺰ ﻭﺍﻷﻃﻌﻤﺔ ﻭﺍﻟﺜﻴﺎﺏ ﺍﻫـ ﻣﻠﺨﺼﺎ .
( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﻬﺎﺭﺓ، ﻗﺒﻴﻞ ﻣﻄﻠﺐ ﻓﻰ ﺍﺑﺤﺎﺙ ﺍﻟﻐﺴﻞ - 1/283 ،
ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﺘﺎﺗﺎﺭﺧﺎﻧﻴﺔ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻄﻬﺎﺭﺓ، ﻧﻮﻉ ﺁﺧﺮ ﻓﻰ ﻣﺴﺎﺋﻞ ﺍﻟﺸﻚ - 1/146 ،
তাতারখানিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,যে ব্যক্তি সন্দেহ পোষন করল যে,তার পাত্র বা কাপড় অথবা শরীরে নাজাসত লেগেছে কি না?
যতক্ষণ না অপ্রবিত্রের দূঢ় বিশ্বাস জন্মিবে তথক্ষণ পর্যন্ত তা পাক ও পবিত্র থাকবে।
ঠিকতেমনিভাবে কুঁপ,হাউজ ও ঝিলের বিধান।
যা বিভিন্ন রাস্তার পাশে পাওয়া যায়।
এবং যা থেকে ছোট-বড় মুসলিম-কাফির সবাই পান করে থাকে।ঠিকতেমনি মুশরিক বা দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ মুসলিমদের তৈরীকৃত খাবার যেমন ঘী,রুটি ও তাদের তৈরী পোশাকের বিষয়ে ও একি বিধান।
(অর্থ্যাৎ হারাম হওয়ার বিশ্বাস জন্মানোর পূর্ব পর্যন্ত তা জায়েয ও বৈধ)।(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৩
ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/১৪৬)
বর্তমান সময়ে বাজারে পাওয়া যাওয়া এলকোহল কি হালাল না হারাম?
এ সম্পর্কে বিশিষ্ট ফকিহ শাইখুল ইসলাম তাক্বী উসমানী (দাঃবা) লিখেন,
وان معظم الكحول التي تستعمل اليوم في الادوية والعطور وغيرها لا تتخذ من العنب او التمر انما تتخذ من الحبوب او القشور او البترول وغيره
ভাবার্থঃ
এলকোহল যা আজ বিভিন্ন ঔষধ বা আতর/সেন্টে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার অধিকাংশই আঙ্গুর বা খেজুর থেকে তৈরী হচ্ছে না।
বরং তা বিভিন্ন প্রকার শস্যদানা,খোসা,এবং খনিজ পদার্থ ইত্যাদি থেকেই তৈরী করা হচ্ছে।(বিধায় সেগুলো হারাম হবে না যতক্ষণ না মদ হওয়ার পূর্ণবিশ্বাস হচ্ছে) (তাকমিলাতু ফাতহুল মুসলিম-৩/৬০৮)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ !
এলকোহল কোনো প্রকার সম্পর্কে যদি জানা যায় যে, সেটা মদ থেকে তৈরী করা হয়েছে,অথবা যা সেবন করলে নেশা চলে আসে,তাহলে তা অবশ্যই মদের মতই হারাম হবে।
আর যদি এলকোহলটি মদ থেকে তৈরী হয়েছে বলে জানা না যায়, তাহলে তা হারাম হওয়ার আপাদত কোনো কারণ নেই।
হারাম প্রমাণিত না হলে যেহেতু প্রত্যেক জিনিষের মৌলিকত্ব বৈধ,বিধায় সেটাও বৈধ হবে।
ঠিকতেমনিভাবে কোনো হারামের মৌলিকত্ব বদলে গিয়ে যদি তা ভিন্নরূপ ধারণ করে, তবে সেটাও বৈধ হবে।
যেহেতু উক্ত জিনিষ ব্যাপক প্রচলিত,অন্যদিকে অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, উক্ত এলকোহলের অধিকাংশ-ই মদ থেকে তৈরী হয় না,তাই কোনো এলকোহল সম্পর্কে হারাম প্রমাণিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তা হালাল ও বৈধ হবে।
সুতরাং উক্ত দৃষ্টিভঙ্গিতে এলকোহল নাজায়েয হবে না ।
এখন আমাদের সামনে উত্তম/অনুত্তমের প্রশ্ন চলে আসতে পারে যে, এগুলো ব্যবহার করা উত্তম নাকি পরিত্যাগই উত্তম?
সেই প্রশ্নের জবাবে বলা যেতে পারে যে,
হাদীস শরীফে আছে,
নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ
নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
উক্ত হাদীসে সন্দেহপূর্ণ তথা যার ব্যাপারে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত হওয়া যাবে না , সে সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে তা থেকে বিরত থাকো।
তাই আমরা যদি এগুলা থেকে বিরত থাকতে পারি তাহলে সেটা কতই না উত্তম হবে।