ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জবাবঃ-
শাইখুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ তাক্বী উসমানী দা.বা. হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর উদ্ধৃতিতে কয়েকটি শর্তে শেয়ারকে কমবেশি করে বিক্রি ব্যবসাকে জায়েজ বলেছেন।
যথা-
(১)কোম্পানীর মূল ব্যবসাটি হালাল হতে হবে। যেমন ঔষধ কোম্পানী, ইনষ্ট্রাকশন কোম্পানী ইত্যাদি।
(২) মূল মূল্যের চেয়ে কমবেশি করে বিক্রি করার জন্য শর্ত হল, কোম্পানীর মূল সম্পদ শুধু টাকা হতে হবে না, বরং টাকার সাথে সাথে অন্যান্য সম্পদও থাকতে হবে। যেমন বিল্ডিং, জমি, মেশিন ইত্যাদি।
(৩)যদিও মূল ব্যবসা হালাল, কিন্তু যদি উক্ত কোম্পানীতে কিছু সুদী বা হারাম লেনদেনও হয়, তবে খুবই কম। তাহলেও সেই সুদী ও হারাম লেনদেনের বিরুদ্ধে বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিবাদ করবে এবং সংশোধনের জন্য বলবে।
(৪) কোম্পানীর যতটুকু আয় সুদ থেকে হয়, তা হিসেবে করে বের করে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে।
উপরোক্ত চারটি শর্ত সঠিকভাবে মান্য করলে শেয়ার ব্যবসা জায়েজ আছে। তবে বর্তমানে শেয়ার বাজারে নানামুখী ধোঁকা, প্রতারণার বিস্তার রয়েছে। আর
উপরোক্ত শর্তগুলো সঠিকভাবে পাওয়াও কঠিন। তা’ই বর্তমানে আমাদের দেশের এ ব্যবসার বিকল্প কোন ব্যবসায় জড়ানোই অধিক নিরাপদ এবং এবং তা থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য৷
(ইসলাম আওর জাদীদ মায়িশাত: ওয়া তিজারাত-১০৩-১১৪; ইসলামী ব্যাংকারী কী বুনিয়াদে-২১৬-২২১৷)
হালাল ও হারামের দৃষ্টিতে এ ব্যবসাটি বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যবসা। তাই এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক৷আল্লাহ-ই ভালো জানেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/841
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)যেহেতু share ownership কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণের কাছে transfer করা হয় নি এবং বাজারেও কেনা-বেচা শুরু হয় নি, তাই তারা এ রকম শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করতে পারবে না।
(২) বাজারে কেনাবেচা শুরু হওয়ার পর বর্তমানে যদি বাজারমূল্য হয় প্রতি share unit ৪০ টাকা, তাহলে ৪০ টাকা অনুযায়ীই যাকাত আসবে।