আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
243 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,

আমার ২টি প্রশ্ন আছে। সেজন্যে আগে এর background টা বর্ণনা করছি।

আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। কিছুদিন আগে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা এবং চট্টগ্রাম stock exchange এ তালিকাভুক্ত হয়। এই উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ এই প্রতিষ্ঠানের মালিকানা (share ownership) অর্জন করেন। তবে শর্ত হচ্ছে:

১. কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ listed price এ (অর্থাৎ প্রতি share unit ১০ টাকায় প্রতিষ্ঠানটি stock exchange এ তালিকাভুক্ত হওয়ায় কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণও প্রতি share unit ১০ টাকায়) ক্রয় করতে পারবেন, এবং

২. তারা market price এর তুলনায় কম মূল্যে share unit ক্রয় করতে পারার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের (কমপক্ষে ৩ বছর) পুর্বে বিক্রয় করতে পারবেন না, যাতে বাজার প্রভাবিত না হয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণের কাছে  share বিক্রয় বাবদ টাকা সংগ্রহ করে ১ বছর আগে এবং সমস্ত legal এবং regulatory procedure সম্পন্ন করে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণের কাছে অবিক্রয়যোগ্য share হস্তান্তর করে ১ বছর পরে, যখন থেকে stock exhange এ তালিকাভুক্তি নিশ্চিৎ হয় এবং সাধারণ share holder রা বাজারে কেনাবেচা করতে পারে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে:

১. যে এক বছর কাল প্রতিষ্ঠান থেকে share ownership কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণের কাছে transfer করা হয় নি এবং বাজারেও কেনা-বেচা শুরু হয় নি, এর মধ্যেই কিছু কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ তাদের share ownership অন্য কারো কাছে বিক্রয় করে দিয়েছেন (ধরা যাক ১০ টাকার share unit ২৫ টাকায়) এই শর্তে যে যখন তা বিক্রয়যোগ্য হবে (৩ বছর পরে) তখন market এ share unit price যা-ই থাকুক না কেন, তা ২৫ টাকাতেই হস্তান্তর করা হবে (লিখিত চুক্তিনামা থাকতে পারে)। - এই ধরণের transaction কি শরীয়ত সম্মতভাবে জায়েজ?

২. বাজারে কেনাবেচা শুরু হওয়ার পর বর্তমানে যদি বাজারমূল্য হয় প্রতি share unit ৪০ টাকা, তাহলে এর যাকাত কি ৪০ টাকার উপরেই হবে, নাকি ১০ টাকার উপরে? এখানে উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বাজার মূল্য যা-ই হোক, এটা কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণের জন্য বাজারে বিক্রয়যোগ্য নয়।

উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন। জাজাকাল্লাহু খাইর।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

জবাবঃ-

শাইখুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ তাক্বী উসমানী দা.বা. হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর উদ্ধৃতিতে কয়েকটি শর্তে শেয়ারকে কমবেশি করে বিক্রি ব্যবসাকে জায়েজ বলেছেন। 

যথা-

(১)কোম্পানীর মূল ব্যবসাটি হালাল হতে হবে। যেমন ঔষধ কোম্পানী, ইনষ্ট্রাকশন কোম্পানী ইত্যাদি।

(২) মূল মূল্যের চেয়ে কমবেশি করে বিক্রি করার জন্য শর্ত হল, কোম্পানীর মূল সম্পদ শুধু টাকা হতে হবে না, বরং টাকার সাথে সাথে অন্যান্য সম্পদও থাকতে হবে। যেমন বিল্ডিং, জমি, মেশিন ইত্যাদি।

(৩)যদিও মূল ব্যবসা হালাল, কিন্তু যদি উক্ত কোম্পানীতে কিছু সুদী বা হারাম লেনদেনও হয়, তবে খুবই কম। তাহলেও সেই সুদী ও হারাম লেনদেনের বিরুদ্ধে বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিবাদ করবে এবং সংশোধনের জন্য বলবে।

(৪) কোম্পানীর যতটুকু আয় সুদ থেকে হয়, তা হিসেবে করে বের করে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে।


উপরোক্ত চারটি শর্ত সঠিকভাবে মান্য করলে শেয়ার ব্যবসা জায়েজ আছে। তবে বর্তমানে শেয়ার বাজারে নানামুখী ধোঁকা, প্রতারণার বিস্তার রয়েছে। আর

উপরোক্ত শর্তগুলো সঠিকভাবে পাওয়াও কঠিন। তা’ই বর্তমানে আমাদের দেশের এ ব্যবসার বিকল্প কোন ব্যবসায় জড়ানোই অধিক নিরাপদ এবং এবং তা থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য৷

(ইসলাম আওর জাদীদ মায়িশাত: ওয়া তিজারাত-১০৩-১১৪; ইসলামী ব্যাংকারী কী বুনিয়াদে-২১৬-২২১৷)

হালাল ও হারামের দৃষ্টিতে এ ব্যবসাটি বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যবসা। তাই এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক৷আল্লাহ-ই ভালো জানেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/841 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১)যেহেতু share ownership কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণের কাছে transfer করা হয় নি এবং বাজারেও কেনা-বেচা শুরু হয় নি, তাই তারা এ রকম শেয়ার ক্রয় বিক্রয় করতে পারবে না। 

(২) বাজারে কেনাবেচা শুরু হওয়ার পর বর্তমানে যদি বাজারমূল্য হয় প্রতি share unit ৪০ টাকা, তাহলে ৪০ টাকা অনুযায়ীই যাকাত আসবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...