ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
রোযা অবস্থায় টুথ পাউডার ইত্যাদি ছাড়া শুধু মিসওয়াক ব্যবহার করা মাকরূহ নয়। এতে রোযার কোনো ক্ষতি হয় না; বরং অন্য সময়ের মতো রোযার হালতেও মিসওয়াক করা সুন্নত। হযরত আমির ইবনে রবীয়া রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি রোযার হালতে অসংখ্যবার মিসওয়াক করতে দেখেছি।-সহীহ বুখারী ১/২৫৯; আবদুর রাযযাক ৪/২০০
রোযা অবস্থায় বিকেলে এমনকি ইফতারের পূর্বেও মিসওয়াক করা মাকরূহ নয়। বরং অন্য সময়ের মতোই সুন্নত। হাসান রাহ.কে রোযা অবস্থায় দিনের শেষে মিসওয়াক করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘রোযা অবস্থায় দিনের শেষে মিসওয়াক করতে কোনো অসুবিধা নেই। মিসওয়াক পবিত্রতার মাধ্যম। অতএব দিনের শুরুতে এবং শেষেও মিসওয়াক করো।’-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/২০২ ইবরাহীম রাহ. বলেন, ‘রোযা অবস্থায় দিনের শুরু ও শেষে মিসওয়াক করতে কোনো অসুবিধা নেই।’-প্রাগুক্ত ৪/২০৩
গাছের কাঁচা ডাল দ্বারা বা পানিতে ভেজানো ডাল দ্বারা মিসওয়াক করা মাকরূহ নয়; বরং জায়েয। উরওয়া রাহ. রোযা অবস্থায় তাজা মিসওয়াক ব্যবহার করে মিসওয়াকের সুন্নত আদায় করতেন।-প্রাগুক্ত ৪/২০২ মুজাহিদ রাহ. রোযা অবস্থায় তাজা মিসওয়াক ব্যবহার করাকে দোষের মনে করতেন না। সুফিয়ান সাওরী রাহ. থেকেও অনুরূপ মত বর্ণিত আছে।-প্রাগুক্ত ৪/২০২
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রোজা রেখে মিসওয়াক করা যাবে, মিসওয়াক করার দরুণ তেতো স্বাদ অনুভুত হলে এবং কুলি করে ফেললে, রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।
(২)কোরআান খতম করে একসাথে ১৪ টা সিজদা দেয়া যাবে। তবে সাথে সাথেই দিয়ে দেয়া উত্তম।
(৩)সাহরীর সময় আছে ভেবে নাকে ড্রপ দিলে পরে যদি বুঝা যায় যে ১ মিনিট ওভার হই গেছে তাহলে রোজাকে কাযা করতে হবে। যদি ড্রপ নাক দিয়ে গলার ভিতর পর্যন্ত গিয়ে পৌছে।