আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (38 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।

১. এক শাইখ এর বক্তব্যে শুনলাম, নবীজী সাঃ বলেছেন, সেহরির শেষ সময়ে হাতে পানির গ্লাস থাকা অবস্থায় যদি আযান হয় তবে পানি পান পূর্ণ করো তৃপ্ত না হওয়া পর্যন্ত। যদি না হাতে গ্লাস থাকে তবে আযান হচ্ছে এমন সময় পানি ঢেলে পান করা যাবে না।
এখন তো আযান এর 5- 10 মিনিট আগে সম্ভবত সেহরির শেষ সময় ঘোষণা করা হয় মসজিদ থেকে বা টাইমটেবিল দেখে আমরা 10 মিনিট আগেই খাওয়া সম্পন্ন করি। কিন্তু কোনো হাদীসে আছে, নবীজী সাঃ এর সময় 2 টা আযান হতো, প্রথম আযান হলেও তিনি পানাহার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ সেটা শেষ সময় না, warning মাত্র। পরের আযান এর আগেই খাওয়া শেষ করেছেন। আর এমন কিছু কী আছে যে সেহরির শেষ ও আযান এর মধ্যবর্তী সময় অর্থাৎ ইমসাক বলে ওই সময় কে, এমন বিরতি দেবার কথা তাহলে কেনো আসলো?
নাকি, তখন 2টা আযান এর প্রচলন ছিল তাই। এখন তো এমন কোনো সিস্টেম নেই, এজন্যই কি এখন আযানের 10 মিনিট আগেই সেহরির শেষ করা বাধ্যতামূলক?
২. দ্বীন শব্দকে বাংলাতে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়?
৩. মুফাসসির, মুজাদ্দিদ, শাইখুল হাদীস, মুফতি, মাওলানা, হুজুর এই শব্দ কী কোনো স্ত্রীবাচক প্রতিশব্দ আছে? থাকলে সেগুলো কেমন?
৪. অনেকের বায়োডাটা তে দেখি ইসলাম এর পাশে সুন্নি দেওয়া। এইটা কি ইসলামসম্মত? যতটুকু কুরআন বা হাদীস সম্পর্কে জেনেছি, আমরা যে সুন্নি সেটা তো কোথাও উল্লখে নেই। তবে কি শুধু ইসলাম বা মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়?

জাঝাকুমূল্লাহুল খাইর
closed

1 Answer

+1 vote
by (671,200 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। সূরা বাকারা,১৮৭

★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে যে শায়েখের কথা উল্লেখ রয়েছে,
সেহরির শেষ সময়ে হাতে পানির গ্লাস থাকা সংক্রান্ত। 
এরকম কোনো হাদীস হাদীস গ্রন্থে নেই।

★এখানে আমাদের দেশের আযান দেখলে হবেনা।
কেননা এসব আযান সাহরীর শেষ সময় বলার নির্দেশক হিসেবে আমাদের দেশের মুয়াজ্জিনগন সাধারণত দেননা।   
তবে রমজান মাসে নিয়ম মেনে তারা সাহরীর শেষ সময় বলে দেন।
 
আমরা সাধারণ সময় ইসলামীক ফাউন্ডেশন এর বা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য  ক্যালেন্ডার দেখে সাহরী শেষ করবো।  

সাহরীর শেষ সময় আর আযানের মাঝের সময়কে ইমসাক বলেনা।
এখানে সতর্কতামূলক বিরতি দেয়া হয়।  

★আসলে তখন ২ টি আযান প্রচলিত ছিলো। 

★আযানের 10 মিনিট আগেই সেহরির শেষ করা বাধ্যতামূলক নয়।
ইসলামীক ফাউন্ডেশন এর বা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য  ক্যালেন্ডার দেখে সাহরী শেষ করতে হবে।

(০২)
دِين ج أَدْيَان
[দীন] শব্দের অর্থঃ 
দ্বীন.ধর্ম.ধার্মিকতা.ধর্মবিশ্বাস.প্রথা.বিচার.প্রতিদান,
আনুগত্য।

★এখানে বাংলাতেও দ্বীন বলতে পারেন,বা জীবন ব্যবস্থা বলতে পারেন,বা ক্ষেত্র বিশেষ ধর্ম বলতে পারেন।

(০৩)
এগুলোর স্ত্রীবাচক প্রতিশব্দের প্রচলন নেই।
তবে হুজুরের ক্ষেত্রে কেহ কেহ হুজুরনী বলেন।

(০৪)
শুধু ইসলাম বা মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেওয়া যুক্তিযুক্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 140 views
0 votes
1 answer 156 views
...