আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in সালাত(Prayer) by (25 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

১) আজকে খাতিব সাহেব জুম্মার বয়নে বলল -" যিনি যাকাত দিবেন তিনি তার বাবা,বাবার বাবা ,...(উপরের দিকে) যারা আছে তাদের দেয়া যাবে না কারণ তারা সম্মানিত আর যাকাত হল *ময়লা* ; আবার তিনি তার ছেলে , ছেলের ছেলে,... (নিচের দিকে) যারা আছে তাদের দেয়া যাবে না কারণ তারা সম্মানিত আর যাকাত হল *ময়লা* "

ওনার যাকাতকে ময়লা বলার হুকুম কি ?

২) ইদের সালাতের ৬ তাকবির কি সুন্নাহ নাকি জায়েজ । সুন্নাহ হলে সনদ সহ হাদিস দিলে ভাল হত ।

৩) ইমাম যত রাকাতি পরুক শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইমামের সাথে থেকে তারাবি শেষ করলে সারারাত ইবাদাতের নেকি পাওয়া নিয়ে হাদিসটি সনদ সহ দিন ।

৪) নিজের অঙ্গ অন্যকে দানের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি ?

৫) আমি যদি কাওকে চোখ দান করি আর সে এই চোখ দিয়ে যিনা করল তাহলে আমার কি গুনাহ হবে ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
জবাব
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ ۖ إِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَّهُمْ ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
তাদের মালামাল থেকে যাকাত গ্রহণ কর যাতে তুমি সেগুলোকে পবিত্র করতে এবং সেগুলোকে বরকতময় করতে পার এর মাধ্যমে। আর তুমি তাদের জন্য দোয়া কর, নিঃসন্দেহে তোমার দোয়া তাদের জন্য সান্ত্বনা স্বরূপ। বস্তুতঃ আল্লাহ সবকিছুই শোনেন, জানেন।(সূরা তাওবাহ-১০৩)

খতিব সাহেব যে মাস'আলা বলেছেন,সেটা অবশ্যই ঠিক।তবে উনি যে কারণ উল্লেখ করেছেন,সেটা ঠিক নয়।মাতাপিতা এবং তাদের উর্ধতন পূর্বপুরুষ এবং সন্তান ও তাদের নিম্নস্তরের জন্য এজন্য যাকাত জায়েয নয়,কেননা তাদের লালন পালনের দায়িত্ব মূলত ঐ ব্যক্তির উপর ন্যস্ত। ময়লা হওয়ার জন্য নয়।

(২)
এটি একটি ইজতাহিদী মাসয়ালা। এ নিয়ে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী ও পরবর্তী ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য আছে এবং এ মাসয়ালায় ১০টিরও অধিক মতামত রয়েছে।

‘আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা’ (১৩/২০৯) তে এসেছে-

মালেকী ও হাম্বলি মাযহাবের আলেমগণ বলেন: ঈদের নামাযের প্রথম রাকাতে তাকবীর সংখ্যা ৬টি এবং দ্বিতীয় রাকাতে ৫টি। এটি মদিনার সাত ফকীহ, উমর ইবনে আব্দুল আযিয, যুহরী ও মুযানি থেকে বর্ণিত আছে।

বুঝা যাচ্ছে- প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমাকে তারা সপ্তম তাকবীর হিসেবে গণ্য করেন এবং দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়ানোর তাকবীরকে তারা বর্ণিত পাঁচটি তাকবীরের অতিরিক্ত তাকবীর হিসেবে গণ্য করেন।

আর হানাফী মাযহাবের অভিমত ও এক বর্ণনা মতে ইমাম আহমাদের মত হচ্ছে: দুই ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ৬ তাকবীর দিতে হবে। প্রথম রাকাতে ৩ তাকবীর, দ্বিতীয় রাকাতে ৩ তাকবীর। এটি ইবনে মাসউদ (রাঃ), আবু মুসা আশআরী (রাঃ), হুযাইফাতুল ইয়ামান (রাঃ), উকবা বিন আমের (রাঃ), ইবনে যুবায়ের (রাঃ), আবু মাসউদ আল-বদরী (রাঃ), হাসান বসরী (রহঃ), মুহাম্মদ বিন সিরিন (রহঃ), ছাওরী (রহঃ), কুফার আলেমগণ ও এক বর্ণনা মতে ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর অভিমত।

শাফেয়ি মাযহাবের আলেমগণ বলেন: প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত তাকবীর ৭টি এবং দ্বিতীয় রাকাতে ৫টি।

আইনী (রহঃ) অতিরিক্ত তাকবীরের সংখ্যার ব্যাপারে ১৯ টি উক্তি উল্লেখ করেছেন…।[সমাপ্ত]

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে তাঁর বিভিন্ন শাগরিদ এ কথা যেমন বর্ণনা করেছেন যে, তিনি দুই ঈদের নামাযে ৯টি করে তাকবীর দিতেন তেমনি একাধিক সূত্রে এর ব্যাখ্যাও বর্ণিত হয়েছে। আর উভয় ধরনের বর্ণনাই হাদীসের কিতাবে কমবেশি বিদ্যমান আছে।১ একটি বর্ণনা এইÑ

أخبرنا محمد بن أبان، عن أبي إسحاق، عن أبي الأحوص، عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه أنه كان يكبر في العيدين تسعاً تسعاً : كان يبتدئ بالتكبيرة التي يفتتح بها الصلاة، ثم يكبر ثلاثاً ثم يقرأ، ثم يكبر الخامسة فيركع بها، ثم يسجد، ثم يقوم فيقرأ، ثم يكبر ثلاثاً، ثم يكبر الرابعة فيركع بها.

অর্থাৎ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান রাহ. মুহাম্মাদ ইবনে আবান থেকে, তিনি আবু ইসহাক (আমর ইবনে আবদুল্লাহ সাবিয়ী) থেকে, তিনি আবুল আহওয়াছ থেকে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (ইবনে মাসউদ রা.) দুই ঈদের নামাযে ৯টি করে তকবীর দিতেন। যে তাকবীর দ্বারা নামায শুরু করতেন সেই তাকবীর দ্বারা ৯ তাকবীরের প্রথম তাকবীর দিতেন। তারপর ৩ তাকবীর দিয়ে কুরআন পড়তেন। ৫ম তাকবীর দ্বারা রুকু করতেন। তারপর সেজদা করতেন। (দ্বিতীয় রাকাতের জন্য) দাঁড়িয়ে কুরআন পড়তেন। তারপর ৩ তাকবীর দিতেন। ৪র্থ তাকবীর দ্বারা রুকু করতেন। Ñকিতাবুল হুজ্জা আলা আহলিল মাদীনা ১/৩০৪ বিস্তারিত জানুন-


(৩)
এরকম কোনো হাসীস সম্পর্কে আমাদের জানা না্ই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...