ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার।( সূরা বাকারা-১৮৪)
ডা. নিশাত তাম্মিম লিখেন,
«وَعَوَارِضُ الصَّوْمِ الَّتِي قَدْ يُغْتَفَرْ ... لِلْمَرْءِ فِيهَا الْفِطْرُ تِسْعٌ تُسْتَطَرْ
حَبَلٌ وَإِرْضَاعٌ وَإِكْرَاهُ سَفَرْ ... مَرَضٌ جِهَادٌ جُوعُهُ عَطَشٌ كِبَرْ» - «حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» 2/ 421)
নয়টি কারণে রোযা না রাখার অুনমোদন রয়েছে, গর্ভ,দুগ্ধপান,জোড়জবরদস্তী,সফর,অসুস্থতা,জিহাদ,অনাহার,পিপাসা,বৃদ্ধ( রদ্দুল মুহাতর-২/৪২১)
তিনবেলা ঔষধ সেবন করা যদি জরুরী পর্যায়ের হয়, তাহলে রোযা ভাঙ্গা যাবে। পরবর্তীতে শুধু কাযা করে নিলেই হবে। এক্ষেত্রে কাফফারা আদায় করতে হবে না।
(২)
স্তন্যদাত্রী মা:
নতুন বাচ্চার মা অথবা যে মায়ের একাধিক সন্তান থাকে, তাদের সাধারণত ঘন ঘন খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে, নচেৎ মা দুর্বল হয়ে পড়েন, অনেকসময় বাচ্চাও পর্যাপ্ত দুধ পায়না। সেক্ষেত্রে মায়ের জন্য সিয়াম না রাখার অনুমতি আছে, যা সুস্থ হওয়ার পর পরবর্তী রমাদানের আগেই রেখে দিতে হবে। তবে মা যদি সিয়াম রাখলে দুর্বল না হন, বাচ্চা পর্যাপ্ত দুধ পায়, বা যে বাচ্চা দুধ ছাড়া অন্য খাবারও খায়, সেক্ষেত্রে মাকে সিয়াম রাখতে হবে।