আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
353 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।  আমার ১৫ রমাদান যোহরের সময় লাল-সাদা স্রাব নের হয়, আবার আসর ওয়াক্তে সাদাস্রাব বের হয়, আমি রোজাটা রেখে দিই এবং যোহর ওয়াক্ত কাজা করি।

আবার ১৬ রমাদান যোহরে পুনরায় লাল-সাদা স্রাব বের হয় যা আসরের শুরু পর্যন্ত ছিল। এবার হায়েজ হয়েছে ভেবে আমি রোজা ভেঙ্গে ফেলি, কিন্তু রাতে আবার সাদা স্রাব বের হওয়ায় আৃি নাজাম আদায় করি। এখন কি আমার রোজার কাজা াআর কাফফারা ২ টাই ওয়াজিব হবে?
জাজাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-৭৮
(وَمِنْهَا) النِّصَابُ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَثَلَاثُ لَيَالٍ فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ. هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا. كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 36)
হায়েযের সর্বনিম্ন মেয়াদ তিনদিন। তিন দিনের কম রক্তস্রাব হলে সেটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। 

তিন দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।আপনার এ হায়েয বন্ধ হয়ে যাওয়া চায় ঔষধের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক,আপনি  পবিত্র হয়ে যাবেন।
হ্যা কারো পূর্ণ তিনদিন হায়েয থাকে, এবং এই তিনদিন হায়েয হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়, দশদিনের ভিতর আবার রক্তস্রাব দেখা যায়, তাহলে সম্পূর্ণ দশদিন-কে হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে। 
যেমন বর্ণিত রয়েছে,
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার রক্তস্রাব যেহেতু তিনদিন অতিক্রম করে নাই বরং তিনদিন পূর্ণ হওয়ার আগেই মাঝেমধ্যে আসে আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হয়ে যায়, তাই আপনার এ রক্তস্রাবকে হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে না।বরং এটা ইস্তেহাযা এর রক্ত। সুতরাং আপনি রোযা রাখবেন। এবং যে রোযাগুলিকে ছেড়েছেন, সেগুলোকে আপনি কাযা করবেন। আপনার উপর ইস্তেহাযার হুকুম আরোপিত হবে। প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তের জন্য একটি অজু করে নিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম।
আমার হায়েযের আগেরদিন/রাতে কিংবা যেদিন রাতে হায়েয হয় সেইদিন দিনের বেলা আমার হলুদ রঙের স্রাব  নির্গত হয়।এখন এই অবস্থাকে আমি হায়েয ধরব,নাকি নামায আদায় করব বুঝতে পারছিনা।
হলুদ স্রাব কি হায়েযের?
জানালে উপকৃত হবো।
by (590,550 points)
ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মাযহাব মতে হায়েযের জন্য কোনো রং নির্ধারিত নয়। হায়েযের মুদ্দত বা সময়ে যেকোনো রংয়ের স্রাবই নিঃসৃত হোক না কেন?সেটা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।
(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১১০)

আপনার যদি এটা এই প্রথম হয়ে থাকে, তাহলে আপনি অপেক্ষা করে দেখুন যে, ১০ জুন থেকে আপনার হায়েয সর্বোচ্ছ কতদিন পর্যন্ত চলে। যদি ১০ দিনের পূর্বে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে ১০ জুনের পূর্বের রক্তকে হায়েয় হিসেবে ধরে নেয়া হবে। আর যদি ১০ জুন থেকে নিয়ে ১০ দিন পর্যন্ত হায়েয চলে, তাহলে ১০ জুনের পূর্বের রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে। ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হলে উক্ত নামাযকে কাযা করা হবে। আর হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হলে উক্ত নামাযকে কাযা করা লাগবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 113 views
0 votes
1 answer 213 views
0 votes
1 answer 171 views
...