মৌলিকভাবে অযু ভঙ্গের কারণ ৭টি। যথা-
পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। যেমন বায়ু, পেশাব পায়খানা, পোকা ইত্যাদি। (হেদায়া-১/৭)
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي الرَّجُلَ إِذَا رَعَفَ فِي الصَّلَاةِ، أَوْ ذَرَعَهُ قَيْءٌ، أَوْ وَجَدَ مَذِيًّا أَنْ يَنْصَرِفَ فَيَتَوَضَّأُ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি যদি কারো নামাযরত অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, বা বমি হতো, বা মজি বের হতো তাহলে তাকে ফিরে গিয়ে অযু করার ফাতওয়া প্রদান করতেন। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ৩৬১০)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু ভেঙ্গে যাবে।
এহেন অবস্থায় নামাজ,কুরআন তিলাওয়াত জায়েজ হবেনা।
এক্ষেত্রে করনীয় হলো এমন সময়ে সহবাস করা,যার পর দুই ঘন্টার মধ্যে নামাজের কোনো ওয়াক্ত না আসে।
আপনার জন্য পুনরায় গোসল করতে হবেনা।
আগের গোসলই যথেষ্ট।
এক্ষেত্রে উক্ত স্থান পরিস্কার করে অযু করতে হবে।
(০২)
পবিত্র কুরআন ও হাদীসে হায়েজের সময়ে সহবাস করতে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা আসছেঃ
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]
আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও,এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে,তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [সূরা বাকারা-২২২]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 12249 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীর লজ্জাস্থানে স্বামীর জন্য আঙ্গুল প্রবেশ করানো জায়েজ নেই।
8770 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে কাপড়ের উপর থেকে,বা লজ্জাস্থানের উপরের অংশ থেকে শাহওয়াত পূরন করা,শান্তি নেওয়ার অনুমতি রয়েছে।
★সুতরাং পিরিয়ড অবস্থায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর ক্লিটুরিস স্পর্শ করার ফলে উত্তেজনায় স্ত্রীর লজ্জাস্থান হতে সবেগে তরল বের হয়ে যায়। এটাকে অনুমোদন দেওয়া যায়না।
সতর্কতামূলক এহেন কাজ থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
শরীয়তের বিধান হল কোনো কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।
তাই পিরিয়ড চালাকালিন সময়ে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে হস্তমৈথুন করে দেওয়া যাবে।
আরো জানুনঃ