আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
391 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
১/ সহবাসের পর ১,২ঘন্টা যাবত পিচ্ছিল তরল বের হতে থাকে। গোসল করার পর লজ্জাস্থান দিয়ে পিচ্ছিল তরল বের হয়। এমতাবস্থায় নামায ও কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি?
ফরজ গোসল কি আবার ও করতে হবে?
২/ পিরিয়ড অবস্থায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর ক্লিটুরিস স্পর্শ করার ফলে উত্তেজনায় স্ত্রীর লজ্জাস্থান হতে সবেগে তরল বের হয়ে যায়। এটা কি হারাম বা গুনাহ হবে? আর এসময় স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে হস্তমৈথুন করে দেয়া যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
মৌলিকভাবে অযু ভঙ্গের কারণ ৭টি। যথা-

পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। যেমন বায়ু, পেশাব পায়খানা, পোকা ইত্যাদি। (হেদায়া-১/৭)

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ

শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي الرَّجُلَ إِذَا رَعَفَ فِي الصَّلَاةِ، أَوْ ذَرَعَهُ قَيْءٌ، أَوْ وَجَدَ مَذِيًّا أَنْ يَنْصَرِفَ فَيَتَوَضَّأُ

আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি যদি কারো নামাযরত অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, বা বমি হতো, বা মজি বের হতো তাহলে তাকে ফিরে গিয়ে অযু করার ফাতওয়া প্রদান করতেন। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ৩৬১০)

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু ভেঙ্গে যাবে।
এহেন অবস্থায় নামাজ,কুরআন তিলাওয়াত জায়েজ হবেনা।
এক্ষেত্রে করনীয় হলো এমন সময়ে সহবাস করা,যার পর দুই ঘন্টার মধ্যে নামাজের কোনো ওয়াক্ত না আসে। 
আপনার জন্য পুনরায় গোসল করতে হবেনা।
আগের গোসলই যথেষ্ট।  
এক্ষেত্রে উক্ত স্থান পরিস্কার করে অযু করতে হবে। 

(০২)
পবিত্র কুরআন ও হাদীসে হায়েজের সময়ে সহবাস করতে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা আসছেঃ

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]

আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও,এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে,তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [সূরা বাকারা-২২২]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.

 হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 12249 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে  হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীর লজ্জাস্থানে স্বামীর জন্য আঙ্গুল প্রবেশ করানো জায়েজ নেই।

8770 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে কাপড়ের উপর থেকে,বা লজ্জাস্থানের উপরের অংশ থেকে শাহওয়াত পূরন করা,শান্তি নেওয়ার অনুমতি রয়েছে।

★সুতরাং পিরিয়ড অবস্থায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর ক্লিটুরিস স্পর্শ করার ফলে উত্তেজনায় স্ত্রীর লজ্জাস্থান হতে সবেগে তরল বের হয়ে যায়। এটাকে অনুমোদন দেওয়া যায়না।
সতর্কতামূলক এহেন কাজ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 

শরীয়তের বিধান হল  কোনো কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।
তাই পিরিয়ড চালাকালিন সময়ে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে হস্তমৈথুন করে দেওয়া যাবে।

আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...