ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
অমুসলিমদের জন্য দু'আ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন,
ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻠﻨَّﺒِﻲِّ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﺃَﻥ ﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭﺍْ ﻟِﻠْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﺃُﻭْﻟِﻲ ﻗُﺮْﺑَﻰ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻬُﻢْ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟْﺠَﺤِﻴﻢِ
নবী ও মুমিনের উচিত নয় মুশরেকদের মাগফেরাত কামনা করা, যদিও তারা আত্নীয় হোক একথা সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে তারা দোযখী।
ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﺍﺳْﺘِﻐْﻔَﺎﺭُ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻟِﺄَﺑِﻴﻪِ ﺇِﻻَّ ﻋَﻦ ﻣَّﻮْﻋِﺪَﺓٍ ﻭَﻋَﺪَﻫَﺎ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻪُ ﺃَﻧَّﻪُ ﻋَﺪُﻭٌّ ﻟِﻠّﻪِ ﺗَﺒَﺮَّﺃَ ﻣِﻨْﻪُ ﺇِﻥَّ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻷﻭَّﺍﻩٌ ﺣَﻠِﻴﻢٌ
আর ইব্রাহীম কর্তৃক স্বীয় পিতার মাগফেরাত কামনা ছিল কেবল সেই প্রতিশ্রুতির কারণে, যা তিনি তার সাথে করেছিলেন। অতঃপর যখন তাঁর কাছে একথা প্রকাশ পেল যে, সে আল্লাহর শত্রু তখন তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে নিলেন। নিঃসন্দেহে ইব্রাহীম ছিলেন বড় কোমল হৃদয়, সহনশীল।(সূরা- তাওবাহ-১১৩-১১৪)
আল্লাহ পাক হেদায়ত প্রসঙ্গে সূরা আল-কাসাসে বলেন,
ﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗَﻬْﺪِﻱ ﻣَﻦْ ﺃَﺣْﺒَﺒْﺖَ ﻭَﻟَﻜِﻦَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﻬْﺪِﻱ ﻣَﻦ ﻳَﺸَﺎﺀ ﻭَﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ
আপনি যাকে পছন্দ করেন, তাকে সৎপথে আনতে পারবেন না, তবে আল্লাহ তা’আলাই যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনয়ন করেন। কে সৎপথে আসবে, সে সম্পর্কে তিনিই ভাল জানেন।(সূরা আল-কাসাস-৫৬)
অমুসলিমদের জন্য দু'আ প্রসঙ্গে হাদীসের বর্ণনা।
রাসূলুল্লাহ সাঃ চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর সময় তার সামনে ইসলাম পেশ করলেন,আবু তালিব অস্বীকার করলেন,তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,
ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ﻷَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮَﻥَّ ﻟَﻚَ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺃُﻧْﻪَ ﻋَﻨْﻪُ . ﻓَﻨَﺰَﻟَﺖْ : ( ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻠﻨَّﺒِﻲِّ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭﺍ ﻟِﻠْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﺃُﻭﻟِﻲ ﻗُﺮْﺑَﻰ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻬُﻢْ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺍﻟْﺠَﺤِﻴﻢِ ) ﻭَﻧَﺰَﻟَﺖْ : ( ﺇِﻧَّﻚَ ﻻ ﺗَﻬْﺪِﻱ ﻣَﻦْ ﺃَﺣْﺒَﺒْﺖَ )
হে চাচা আমি অবশ্যই তোমার জন্য আল্লাহর নিকট মাগফিরাত কামনা করবো যতক্ষণ না আমাকে বাধা দেওয়া হবে।তখনই সূরা তাওবার ১১৩ নাম্বার আয়াত আয়াত এবং সূরা আল-কাসাসের ৫৬নং আয়াত নাযিল হয়।(সহীহ বুখারী-৩৮৮৪)
হযরত আবু মুসা আশ'আরী রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻣُﻮﺳَﻰ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟْﻴَﻬُﻮﺩُ ﻳَﺘَﻌَﺎﻃَﺴُﻮﻥَ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﺮْﺟُﻮﻥَ ﺃَﻥْ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻟَﻬُﻢْ ﻳَﺮْﺣَﻤُﻜُﻢْ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ( ﻳَﻬْﺪِﻳﻜُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﻠِﺢُ ﺑَﺎﻟَﻜُﻢْ )
ইহুদিরা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে ইচ্ছা করে হাঁচি দিতো,যাতেকরে রাসূলুল্লাহ সাঃ তাদের হাঁচির জবাবে 'ইয়ারহামুকাল্লাহ'(আল্লাহ তোমাকে রহম করুক) বলে তাদেরকে দু'আ দেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাঃ তাদের হাঁচির জবাবে 'ইয়াহদিকুমুল্লাহ ওয়া য়ুসলিহ বালাকুম'(আল্লাহ তোমাদেরকে হেদায়ত দান করুক,তোমাদের চিন্তা চেতনাকে সুস্থ করুক) বলতেন।(সুনানে আবু-দাউদ-৫০৩৮,সুনানে তিরমিযি-২৭৩৯)
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
কাফিরের জন্য আখেরাতে মাগফিরাতের দু'আ করা, কুরআন সুন্নাহর দৃষ্টিতে স্পষ্টত হারাম ও নাজায়েয।
তবে তাদের জন্য হেদায়তের দু'আ করা জায়েয।
এবং হারবী কাফির(সেই দেশের নাগরিক যারা মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত)এর ক্ষেত্রে দুনিয়াবি ফায়েদার জন্যও দু'আ করা নাজায়েয। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/901
(২) গান শোনা হারাম।
(৩) সিগারেট খাওয়া মাকরুহে তাহরিমী।
(৪)জুমুয়ার খুতবা বাংলায় দেয়া যাবে না। বরং আরবীতেই খুতবাহ দিতে হবে। এটাই ধারাবাহিক উম্মতরে আমল।