আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
526 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)

১) অন্য কাউকে আল্লাহর ন্যায় ভালোবাসা এটা কিভাভে শিরক একটু ভাল করে বুজিয়ে দিলে ভাল হইত ? কারন আমরা অনেকেই একে অপরকে আল্লাহর সন্তুষ্টির  উদ্দেশে ভালবাসি ?

২)  তাফসির আর হাদিস এর মধ্যে পার্থক্য কি ? তাফসির আসলে কিভাভে লেখা হয় ?

৩) এরকম হাদিস সুনেসিলাম যে নবি-রাসুলদের সংখ্যার ক্ষেত্রে আল্লাহ ১,২৪,০০০ নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন তারমধে ৩১৩ জন হচ্ছে রাসুল এই হাদিস কি সহিহ ? যুদি না হয় তাহলে আমরা এই বিষয়ে কিরকম আকিদা কিরকম রাকব ?

৪) অনেককে দেখি মানুষের আশীর্বাদ চায় ? এটা চাওয়া কি শিরক ?

৫) রমজান মাসেও মাজে মাজে অন্তঃরে  অয়াসওয়াসা মনে হয় ? কারন মনের মধ্যে মনে হয় কি জেন কথা বলসে কফুরি কথা বার্তা বা শিরক মুলক কথা বার্তা ? কিন্তু একনত শয়তান ত বন্দি তাহলে এগুলা হচ্ছে কথা থেকে ?

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
অাল্লাহকে আমরা ভালবাসি, এ ভালবাসা নিখাদ।আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা,আল্লাহ আমাদের হায়াতের মালিক ও মউতের মালিক।সুতরাং অন্য কাউকে নিয়ে এমন ধারণা আমরা রাখতে পারি না।এবং এ হিসেবে কাউকে ভালবাসতে পারি না।ভালবাসার কয়েক ধরণ হতে পারে।আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা, সে হিসেবে আমরা উনাকে ভালবাসি।আল্লাহকে আমরা যেভাবে ভালবাসি,সে হিসেবে অন্য কাউকে ভালবাসতে পারি না।

(২)
তাফসীর একবচন, বহু বচনে তাফাসীর। এর অর্থ ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ বা ভাষ্য।
ইসলামে তাফসীর শব্দটি এক বিশেষ পরিভাষা হিসাবে ব্যবহ্রত হয়ে আসছে।
তাফসীর শব্দটি দ্বারা কুরআন মজীদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণকে বুঝায়।
সাধারণ অর্থে কোন কথা বা বাক্যকে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করাকে তাফসীর বলে।
তবে কুরআন মজীদের ব্যাখ্যা -বিশ্লেষণ অন্যান্য শাস্ত্রের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির।
এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর হাদীসসমূহ এবং সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ)-এর ব্যাখ্যা ও বর্ণনাই গ্রহনীয়।

“তাফসীর এমন এক বিদ্যা যার সাহায্যে কুরআন মজীদের আয়াতের উদ্দেশ্য ও অর্থ জানা যায় এবং এতে বর্ণিত নির্দেশাবলী, মাসআলা-মাসাইল, রহস্য ও হিকমত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।”
-ইমাম যারকাশী (রাঃ) (গ্রন্থঃ বুরহান, লেখক-ইমাম যারকাশী (রাঃ))

“তাফসীর এমন এক বিদ্যা যার মধ্যে কুরআনের শব্দাবলীর গঠন পদ্ধতি, এর প্রকৃত অর্থ ও নির্দেশাবলী, শব্দ ও বাক্য বিন্যাস এবং এর মর্মার্থ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।”
-আবূ হাইয়্যান (গ্রন্থঃ ইতকান)

সূত্রঃ
তাফসীরে মাযহারী, ১ খন্ড (জুন-১৯৯৭), ভূমিকা,
লেখকঃ কাযী মুহাম্মদ ছানাউল্লাহ পানীপথী (রাঃ)
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।


আর হাদীস বলা হয়, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কথা,কাজ ও সমর্থনকে।

(৩)
আল্লাহ ১,২৪,০০০ নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন তারমধে ৩১৩ জন হচ্ছে রাসুল , এগুলো কোনো সহীহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। তবে রাসূল সাঃ এর ব্যাপারে ৩১৩ জনের কথা সহীহ হাদীসে এসেছে। 

(৪) মানুষের আশীর্বাদ চাওয়ার অর্থ যদি দুআ হয়, তাহলে তাতে সমস্যা নাই। তবে শব্দ পরিবর্তন করতে হবে। কেননা এটা বিজাতীয় সংস্কুতি। 

(৫)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي أَنَسٍ مَوْلَى التَّيْمِيِّينَ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتْ الشَّيَاطِينُ
তিনি বলতেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানগুলোকে শিকলবন্দী করে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী-১৮৯৯)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৭৫ ) 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
শয়তান শৃংখলাবদ্ধ থাকার পরও কেন মানুষ গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে, এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, ১১ মাস ব্যপি শয়তান দ্বারা মানুষ প্রতারিত হওয়ার দরুণ সেই প্রতারণার প্রভাবেই রমজান মাসে মানুষ শয়তানের লক্ষ্যর দিকে অগ্রসর হয়ে থাকে, যদিও এ মাসে শয়তান কোনো প্রকার প্রতারণার দেয় না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/14742


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...