বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
অাল্লাহকে আমরা ভালবাসি, এ ভালবাসা নিখাদ।আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা,আল্লাহ আমাদের হায়াতের মালিক ও মউতের মালিক।সুতরাং অন্য কাউকে নিয়ে এমন ধারণা আমরা রাখতে পারি না।এবং এ হিসেবে কাউকে ভালবাসতে পারি না।ভালবাসার কয়েক ধরণ হতে পারে।আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা, সে হিসেবে আমরা উনাকে ভালবাসি।আল্লাহকে আমরা যেভাবে ভালবাসি,সে হিসেবে অন্য কাউকে ভালবাসতে পারি না।
(২)
তাফসীর একবচন, বহু বচনে তাফাসীর। এর অর্থ ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ বা ভাষ্য।
ইসলামে তাফসীর শব্দটি এক বিশেষ পরিভাষা হিসাবে ব্যবহ্রত হয়ে আসছে।
তাফসীর শব্দটি দ্বারা কুরআন মজীদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণকে বুঝায়।
সাধারণ অর্থে কোন কথা বা বাক্যকে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করাকে তাফসীর বলে।
তবে কুরআন মজীদের ব্যাখ্যা -বিশ্লেষণ অন্যান্য শাস্ত্রের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির।
এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের জন্য রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর হাদীসসমূহ এবং সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ)-এর ব্যাখ্যা ও বর্ণনাই গ্রহনীয়।
“তাফসীর এমন এক বিদ্যা যার সাহায্যে কুরআন মজীদের আয়াতের উদ্দেশ্য ও অর্থ জানা যায় এবং এতে বর্ণিত নির্দেশাবলী, মাসআলা-মাসাইল, রহস্য ও হিকমত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।”
-ইমাম যারকাশী (রাঃ) (গ্রন্থঃ বুরহান, লেখক-ইমাম যারকাশী (রাঃ))
“তাফসীর এমন এক বিদ্যা যার মধ্যে কুরআনের শব্দাবলীর গঠন পদ্ধতি, এর প্রকৃত অর্থ ও নির্দেশাবলী, শব্দ ও বাক্য বিন্যাস এবং এর মর্মার্থ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।”
-আবূ হাইয়্যান (গ্রন্থঃ ইতকান)
সূত্রঃ
তাফসীরে মাযহারী, ১ খন্ড (জুন-১৯৯৭), ভূমিকা,
লেখকঃ কাযী মুহাম্মদ ছানাউল্লাহ পানীপথী (রাঃ)
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
আর হাদীস বলা হয়, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কথা,কাজ ও সমর্থনকে।
(৩)
আল্লাহ ১,২৪,০০০ নবি-রাসুল পাঠিয়েছেন তারমধে ৩১৩ জন হচ্ছে রাসুল , এগুলো কোনো সহীহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। তবে রাসূল সাঃ এর ব্যাপারে ৩১৩ জনের কথা সহীহ হাদীসে এসেছে।
(৪) মানুষের আশীর্বাদ চাওয়ার অর্থ যদি দুআ হয়, তাহলে তাতে সমস্যা নাই। তবে শব্দ পরিবর্তন করতে হবে। কেননা এটা বিজাতীয় সংস্কুতি।
(৫)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي أَنَسٍ مَوْلَى التَّيْمِيِّينَ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتْ الشَّيَاطِينُ
তিনি বলতেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানগুলোকে শিকলবন্দী করে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী-১৮৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৭৫ )
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শয়তান শৃংখলাবদ্ধ থাকার পরও কেন মানুষ গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে, এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, ১১ মাস ব্যপি শয়তান দ্বারা মানুষ প্রতারিত হওয়ার দরুণ সেই প্রতারণার প্রভাবেই রমজান মাসে মানুষ শয়তানের লক্ষ্যর দিকে অগ্রসর হয়ে থাকে, যদিও এ মাসে শয়তান কোনো প্রকার প্রতারণার দেয় না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/14742