ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কু'ফু কাকে বলে?
এ সম্পর্কে আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহতুল কোয়েতিয়্যাহ নামক কিতাবের ৩৪নং ভলিউমের২৬৬নং পৃষ্টায় উল্লেখ আছে যে,
ففي النكاح: عرفها الحنفية بأنها مساواة مخصوصة بين الرجل والمرأة
কু'ফু বা কাফা'আত হচ্ছে পুরুষ মহিলার মধ্যকার এক বিশেষ ধরণের সমতা বিধান।
তবে সর্বজনগৃহীত কথা হচ্ছে কু'ফু শুধুমাত্র পুরুষের দিক দিয়েই বিবেচ্য। মহিলার দিক দিয়ে বিবেচ্য হবে না। অর্থাৎ-পুরুষের থেকে মহিলা যতই এবং যেদিকেই নিম্নমানের হোক না কেন, এক্ষেত্রে কু'ফু বা সমতা বিধান প্রযোজ্য হবে না।বরং শুধুমাত্র যদি মহিলা থেকে পুরুষ নির্দিষ্ট কয়েক প্রকারে নিম্নশ্রেণীর হয় তাহলে সেক্ষেত্রে সমতা বিধান প্রযোজ্য হবে।
হেদায়া গ্রন্থকার কু'ফু সম্পর্কে আলোচনা করতে যেয়ে বলেনঃ
فصل في الكفاءة
" الكفاءة في النكاح معتبرة " قال عليه الصلاة والسلام " ألا لا يزوج النساء إلا الأولياء ولا يزوجن إلا من الأكفاء " ولأن انتظام المصالح بين المتكافئين عادة لأن الشريفة تأبى أن تكون مستفرشة للخسيس فلا بد من اعتبارها بخلاف جانبها لأن الزوج مستفرش فلا تغيظه دناءة الفراش " وإذا زوجت المرأة نفسها من غير كفء فللأولياء أن يفرقوا بينهما " دفعا لضرر العار عن أنفسهم
বিবাহে (স্বামী-স্ত্রী এর মধ্যে)সমতা বিধান শরীয়ত কর্তৃক গ্রহণযোগ্য।
নবীজী সাঃ বলেনঃ
"সাবধান!
ওলী ব্যতীত কাউকে মহিলারা বিবাহ দিবে না।এবং সাবধান!কু'ফু ব্যতীত ও তাদেরকে বিবাহ দেয়া যাবে না।"
কেননা বিবাহের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা দুজন সমপর্যায়ের মানুষ ব্যতীত সাধারণত অসম্ভব।
কেননা সহসাই একজন ভদ্র মহিলা স্বাভাবিকত একজন নিচ প্রকৃতির মানুষের বিছানা বনতে অস্বীকার করবেই।সুতরাং সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবেই।
অন্যদিকে মহিলা নিম্নমানের বা নিচ প্রকৃতির হলে অদ্যো কোনো সমস্যা নেই।যেহেতু স্বামী হচ্ছে বিচানা নির্ধারণকারী, তাই বিছানা নিম্নস্তরের হলে কোনো সমস্যা নেই।
সুতরাং যদি মহিলা নিম্নস্তরের কাউকে বিয়ে করে নেয়,তাহলে অভিভাবকদের জন্য এ অধিকার রয়েছে যে, তারা উভয়জন তথা স্বামী-স্ত্রী র মধ্যে পৃথক করে দিবে।তাদের উপর থেকে অপবাদের উৎসকে দূর করতে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/780
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এজন্যই শরীয়ত মাতাপিতার পরামর্শে এবং কুফু মিল রেখে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। যাই হোক প্রশ্নে উত্তাপিত ঐ বোন ধর্য্য ধরে সংসার করতেছেন, এজন্য আল্লাহ উনাকে এর বিনিময় দান করবেন। আল্লাহ যেন উনাকে অটল অবিচল রাখেন। উনার স্বামী গরীব হলেও যে কোনো উপায়ে উনাকে ভরণপোষণ দেওয়া স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য। উনার স্বামী গরীব হওয়ার ধরুণ উনার মাতাপিতার পক্ষ্য থেকে এমন আচরণ কখনো কাম্য হতে পারে না। বরং এটাই মঙ্গলজনক হবে যে, ঐ বোনের মাতাপিতা উনাকে আপন করে নিবেন।