আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
162 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
অাসসালামু অালাইকুম
এক বোন নিজের পছন্দে বিয়ে করে এরপর পরিবারে জানার পর তাকে বিয়েটা থেকে বেরিয়ে অাসতে বলে বোনটা রাজি না হওয়ায় পরিবার নতুন করে বিয়ে দেয় অাবার তাদের।কিন্তু বিয়ের পর ভালোভাবে পরিবার থেকে সম্পর্ক রাখতোনা।ছয়মাস পর থেকে সম্পর্ক একটু ভালো হয়।বোনটা লেখাপড়া করতো তাই বাবা মায়ের কাছেই বেশি থাকত। তার স্বামী বেকার বাবা মায়ের সাহায্য নিয়ে চলতে হয় বলে তাকে কটু কথা শুনতে হতো খুব।সে ভুল করছে তাই কথা শুনতো সবসময়

 ১.বাবা মা  বলে ভুল করছ কথা তো শুনতেই হবে।বোনটা এতে খুব কষ্ট পাইতো  বাবা মার কি উচিত মেয়ে ভুল করছে বলে সবসময় তাকে কথা শোনানো?

২. স্বামী বেকার বলে ইচ্ছামতো স্বামীর কাছে যাইতো পারতোনা কারন তার বাবাই বেশি খরচ চালাতো।কিন্তু বোনটা চাইতো যাইতে। কিন্তু পরিবার বাধা দিতো মাসে দুই তিন বার একসাথে থাকতে পারতো।সব বিষয়ে বাধা দিতো স্বামী খরচ চালাতে পারতোনা বলে এইটা কি উচিত করতো তারা?

৩.বোনটার ভাই নাই  দুইটাই বোন। তার বাবার যথেষ্ট সামর্থ্য অাছে তাকে দেখার।সে খরচ পাতি বহন করে তবে কথাও শোনায় কি ছেলেকে বিয়ে করল তাই। এইটা কি উচিত হয় কথা শোনানো? ব

৪.বোনটার স্বামী একটু কম শিক্ষিত এইটা নিয়ে তাদের মানুষের কাছে ছোট হতে হয় এই নিয়ে কথা শুনায় এইটা কি উচিত?বেনটা বাবা মাকে কষ্ট দিয়ে বেকার ছেলেকে বিয়ে করেছে এইটাতো সবার চোখে তার ভুল কিন্তু এই ভুলের কারনে মা বাবার কি কথা শোনানো সবসময় উচিত।বিয়ের ছয় বছর পর ও কথা শোনায় উচিত কি?
৫.বাবাই  দায়িত্ব পালন করে বলে শ্বশুর বাড়িতে তেমন যাইতেও দেয়না । বোনটার ইচ্ছা করে তবুও নিরুপায় এতে করে ডে যে শ্বশুর শাশুরির সেবা করতে পারছেনা তার কি পাপ হবে।শ্বশুর কিছু হলেও দেয় কিন্তু তার বাবা বেশি দেয় তাই তারা বাধা দেয়। বোনটার একটা বাচ্চাও হইছে স্বামী কিছু করে এখন কম বেতন তাই বাবার হেল্প লাগে এইটা নিয়ে কি বাবা মা র কথা শোনানো যায়েজ? বোনটার স্বামী ভালো খারাপ না কম বেতন কম শিক্ষিত এইটাই সবার সমস্যা। তারা চায় একসাথে থাকতে কম ইনকাম বলেতো অার স্বামীকে ছাড়তে পারবেনা। সবাই যে কথা শোনায় এইটা কি বাবা মার জন্য যায়েজ কথা শোনানে

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

কু'ফু কাকে বলে?

এ সম্পর্কে আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহতুল কোয়েতিয়্যাহ নামক কিতাবের ৩৪নং ভলিউমের২৬৬নং পৃষ্টায় উল্লেখ আছে যে,

ففي النكاح: عرفها الحنفية بأنها مساواة مخصوصة بين الرجل والمرأة

কু'ফু বা কাফা'আত হচ্ছে পুরুষ মহিলার মধ্যকার এক বিশেষ ধরণের সমতা বিধান।

তবে সর্বজনগৃহীত কথা হচ্ছে কু'ফু শুধুমাত্র পুরুষের দিক দিয়েই বিবেচ্য। মহিলার দিক দিয়ে বিবেচ্য হবে না। অর্থাৎ-পুরুষের থেকে মহিলা যতই এবং যেদিকেই নিম্নমানের হোক না কেন, এক্ষেত্রে কু'ফু বা সমতা বিধান প্রযোজ্য হবে না।বরং শুধুমাত্র যদি মহিলা থেকে পুরুষ নির্দিষ্ট কয়েক প্রকারে নিম্নশ্রেণীর হয় তাহলে সেক্ষেত্রে সমতা বিধান প্রযোজ্য হবে।


হেদায়া গ্রন্থকার কু'ফু সম্পর্কে আলোচনা করতে যেয়ে বলেনঃ 

فصل في الكفاءة

" الكفاءة في النكاح معتبرة " قال عليه الصلاة والسلام " ألا لا يزوج النساء إلا الأولياء ولا يزوجن إلا من الأكفاء " ولأن انتظام المصالح بين المتكافئين عادة لأن الشريفة تأبى أن تكون مستفرشة للخسيس فلا بد من اعتبارها بخلاف جانبها لأن الزوج مستفرش فلا تغيظه دناءة الفراش " وإذا زوجت المرأة نفسها من غير كفء فللأولياء أن يفرقوا بينهما " دفعا لضرر العار عن أنفسهم 

বিবাহে (স্বামী-স্ত্রী এর মধ্যে)সমতা বিধান শরীয়ত কর্তৃক  গ্রহণযোগ্য।

নবীজী সাঃ বলেনঃ

"সাবধান! 

ওলী ব্যতীত কাউকে মহিলারা বিবাহ দিবে না।এবং সাবধান!কু'ফু ব্যতীত ও তাদেরকে বিবাহ দেয়া যাবে না।"

কেননা বিবাহের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা দুজন সমপর্যায়ের মানুষ ব্যতীত সাধারণত অসম্ভব।

কেননা সহসাই একজন ভদ্র মহিলা স্বাভাবিকত একজন নিচ প্রকৃতির মানুষের বিছানা বনতে অস্বীকার করবেই।সুতরাং সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবেই।

অন্যদিকে মহিলা নিম্নমানের বা নিচ প্রকৃতির হলে অদ্যো কোনো সমস্যা নেই।যেহেতু স্বামী হচ্ছে বিচানা নির্ধারণকারী, তাই বিছানা নিম্নস্তরের হলে কোনো সমস্যা নেই।

সুতরাং যদি মহিলা নিম্নস্তরের কাউকে বিয়ে করে নেয়,তাহলে অভিভাবকদের জন্য এ অধিকার রয়েছে যে, তারা উভয়জন তথা স্বামী-স্ত্রী র মধ্যে পৃথক করে দিবে।তাদের উপর থেকে অপবাদের উৎসকে দূর করতে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/780


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 

এজন্যই শরীয়ত মাতাপিতার পরামর্শে এবং কুফু মিল রেখে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। যাই হোক প্রশ্নে উত্তাপিত ঐ বোন ধর্য্য ধরে সংসার করতেছেন, এজন্য আল্লাহ উনাকে এর বিনিময় দান করবেন। আল্লাহ যেন উনাকে অটল অবিচল রাখেন। উনার স্বামী গরীব হলেও যে কোনো উপায়ে উনাকে ভরণপোষণ দেওয়া স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য। উনার স্বামী গরীব হওয়ার ধরুণ উনার মাতাপিতার পক্ষ্য থেকে এমন আচরণ কখনো কাম্য হতে পারে না। বরং এটাই মঙ্গলজনক হবে যে, ঐ বোনের মাতাপিতা উনাকে আপন করে নিবেন। 



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...