জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
রোযা রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে কাযা ও কাফফারা উভয়টি জরুরি হবে।
হাদীস শরীফে আছে-
এক ব্যক্তি রমযানে রোযা রেখে (ইচ্ছাকৃতভাবে) পানাহার করল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আদেশ করলেন, যেন একটি দাস আযাদ করে বা দুই মাস রোযা রাখে বা ষাটজন মিসকীনকে খানা খাওয়ায়।-সুনানে দারাকুতনী ২/১৯১
ইমাম যুহরী রাহ. বলেন, ‘রমযানে রোযা রেখে যে ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করবে তার হুকুম ইচ্ছাকৃতভাবে দিনে সহবাসকারীর অনুরূপ।’ অর্থাৎ তাকে কাযা ও কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হবে।-মাবসূত, সারাখসী ৩/৭৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৬,
রমযানে রোযা রেখে দিনে স্ত্রী সহবাস করলে বীর্যপাত না হলেও স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে।
একটি দীর্ঘ হাদীসে আছে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমি রোযা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কাফফারা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। দেখুন : সহীহ বুখারী ৬৭০৯; জামে তিরমিযী ৭২৪; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৭৪৫৭; মুসনাদে আহমদ ২/২৪১
মুহাম্মাদ ইবনে কা’ব রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে (যে স্ত্রীসহবাসে লিপ্ত হয়েছিল) কাফফারা আদায়ের সাথে কাযা আদায়েরও আদেশ করেছিলেন।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৭৪৬১; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৬)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কোন ব্যক্তি যদি তেমন কোন কারণ ছাড়াই রোজা না রাখে,কোনোভাবেই রোযার নিয়ত না করে,তাহলে তাকে শুধু কাজা আদায় করতে হবে।
,
কোনো ব্যাক্তি যদি এই নিয়তে রোজা রাখে যে খারাপ লাগলে ভেঙ্গে ফেলবে।
অতঃপর রোযা রাখা অবস্থায় শরীয়ত সম্মত কোনো কারন ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার ইত্যাদি করে রোযা ভেঙ্গে ফেলে,তাহলে তাকে কাজা এবং কাফফারা উভয়টিই আদায় করতে হবে।