ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
অনিচ্ছায় মুখ ভরে বমি হলে রোযা ভাঙ্গবে না। ইচ্ছেকৃত বমি করলে মুখ ভরে হলে ভেঙ্গে যাবে। মুখ ভরে না হলে ভাঙ্গবে না। ইচ্ছেকৃত হল মুখে আঙ্গুল দিয়ে এভাবে কোন পদ্ধতিতে ইচ্ছেকৃত মুখ ভরে বমি করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। অনিচ্ছায় হলে বা ইচ্ছেকৃতি মুখ ভরে না হলে রোযা ভাঙ্গবে না।
إذَا قَاءَ وْ اسْتِقَاءَ مِلْءَ الْفَمِ أَوْ دُونَهُ عَادَ بِنَفْسِهِ أَوْ أَعَادَ أَوْ خَرَجَ فَلَا فِطْرَ عَلَى الْأَصَحِّ إلَّا فِي الْإِعَادَةِ وَالِاسْتِقَاءِ بِشَرْطِ مِلْءِ الْفَمِ هَكَذَا فِي النَّهْرِ الْفَائِقِ (الفتاوى الهندية-1/204)
(২)
وَعَوَارِضُ الصَّوْمِ الَّتِي قَدْ يُغْتَفَرْ ... لِلْمَرْءِ فِيهَا الْفِطْرُ تِسْعٌ تُسْتَطَرْ
حَبَلٌ وَإِرْضَاعٌ وَإِكْرَاهُ سَفَرْ ... مَرَضٌ جِهَادٌ جُوعُهُ عَطَشٌ كِبَرْ» - «حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» 2/ 421)
নয়টি কারণে রোযা না রাখার অুনমোদন রয়েছে, গর্ভ,দুগ্ধপান,জোড়জবরদস্তী,সফর,অসুস্থতা,জিহাদ,অনাহার,পিপাসা,বৃদ্ধ( রদ্দুল মুহাতর-২/৪২১)
যদি অনিচ্ছায় বমি হওয়ার পর কেউ রোযা রাখতে অপারগ হয়ে যায়, তাহলে সে রোযাকে ভঙ্গ করতে পারবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র কাযা ওয়াজিব হবে। কাফফারা ওয়াজিব হবে না। কাফফারা শুধুমাত্র ঐ সমস্ত স্থানেই ওয়াজিব হয়ে থাকে, যে সমস্ত স্থানে শরয়ী উযর ব্যতিত রোযাকে ভঙ্গ করা হয়ে থাকে।