আসসালামু আলাইকুম। হযরত এক প্রাকটিসিং মুসলিম ভাইয়ের প্রশ্ন। যথাযথ উত্তর দিলে কৃতজ্ঞ থাকব--
একজন মুসলিম ভাই (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)-এর বর্তমান বয়স ৩০ বছর। তিনি গত ৮ বছর ধরে নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও রোযা রাখতেছে। এই আট বছর আগে তিনি নিয়মিত পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন না। মাঝে মাঝে পাচ ওয়াক্ত পড়তেন, মাঝে মাঝে দুই, তিন ওয়াক্ত পড়তেন। সেগুলোর হিসাব তার মনে নাই। তেমনি রমজানের রোযাও মাঝে মাঝে রাখতেন। কিন্তু কয়টা রোযা রাখেনি, সেটা স্মরণ নেই। পরবর্তীতে সে ভাই তাবলীগ জামাতে গিয়েছেন,দ্বীনি বুঝ এসেছে। গত আট বছর যাবত নামাজ-রোযা ঠিকমতো করতেছেন। উল্লেখ্য যে, কয় বছর বয়সে যে তিনি বালেগ হয়েছেন, সেটাও তার মনে নেই।
এখন প্রশ্ন-
১. উপরোক্ত অবস্থায় কি তার নামাজ ও রোযাগুলো ক্বাযা আদায় করতে হবে।
২. যদি ক্বাযা আদায় করতে হয়, তাহলে কিভাবে হিসাব করবে। যেহেতু তার বালেগ হওয়ার সঠিক বয়স জানা নাই, সে মাঝে মাঝে নামাজ পড়ত, কত রাকাত পড়েছে সেটার হিসাব মনে নাই-আর এগুলো মনে না থাকাটাই স্বাভাবিক।
৩. যদি ক্বাযা আদায় করতে হয়, তাহলে রমজানের রোযাগুলো একটার পরিবর্তে কয়টা রাখতে হবে। আর ক্বাযার রোযার সংখ্যা কিভাবে নির্ধারণ করবে। ক্বাযা রোযার জন্য কাফফারা দিতে হবে কিনা? কাফফারার সহজ বিধান কি?
৪. বর্তমানে কি সে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নামাজগুলো না পড়ে এ সময় যদি সে ক্বাযা নামাজ গুলো পড়ে তাহলে সুন্নাত না পড়ার কারণে কি গুনাহ হবে। যেহেতু তিনি একজন ব্যস্ত মানুষ। এত বেশী নামাজ পড়াও তার জন্য দরুহ। ক্বাযা নামাজগুলো পড়া শেষ হওয়ার পর থেকে তিনি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ গুলো পড়ার নিয়ত করেছেন।
৫. বিভিন্ন ভিডিও ওয়াযে একথা শুনেছেন যে, উমুরী ক্বাযা বলতে হাদিসে কিছু নাই। এসব ক্ষেত্রে বর্তমান নামাজ আদায় করবেন আর বেশী বেশী নফল নামাজ পড়বেন। আর আল্লাহর কাছে মাগফিরাতের দোয়া করবেন-এ কথাটা কতটুকু ঠিক?
উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্ক-এ বিস্তারিত জানানোর জন্য ভাইটি আপনাদের কাছে অনুরোধ করেছেন। একটি ভাই জাহান্নাম থেকে বাচতে চায়, আপনারা তাকে সহযোগীতা করলে আল্লাহ তায়ালা এর বিনিময় আপনাদেরকে দিবেন ইনশাআল্লাহ।