আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
332 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)
১।তারাবীহ সালাত আদায় না করলে কি গুনাহ হবে?

২। বিতরের পরে কি তারাবীহ আদায় করা যাবে?

৩। কোন ব্যক্তির দুয়া কবুল হওয়া খুব প্রয়োজন কিন্তু তিনি তাহাজ্জুদের সময়ে এত ক্লান্ত থাকেন যে কি দুয়া করতে হবে মনে থাকে না। অন্য সব দুয়া কবুলের সময় তার দুয়া কবুল হচ্ছে না তাই তিনি তাহাজ্জুদ পড়তে চান। তিনি কি করবেন?

৪। কোন ব্যক্তিকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করতে কি নিজের ও আল্লাহর মাঝে গোপন থাকা কবুল হওয়া দুয়ার কথা বলতে পারবে? এতে দুয়া করার কারণে যে সওয়াব প্রাপ্ত হয়েছিলেন প্রথম ব্যক্তি তা কি বিদ্যমান থাকবে?

৫। পছন্দনীয় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ি পেতে সূরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত পড়া ছাড়া আর কি কি করা যেতে পারে?

৬। মা খুব খুঁতখুঁতে হওয়ায় মেয়ে কোন কাজে আত্মবিশ্বাসী নয়। মেয়ের ঘরের কাজ করার ধরণ মায়ের পছন্দনীয় নয়। কাজ সঠিক হলেও মায়ের পছন্দ না হলে মা খুঁত ধরেন এবং মেয়েকে কাজ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজেই করা শুরু করেন। এ জন্য মেয়ে জানে না যে সে আদৌ ঘরের কাজে পারদর্শী নাকি না। মেয়ে মাকে বুঝাতে গেলে মা বলে যে বিয়ে হলে এসব নিজের সংসারে গিয়ে করো। আমার সাথে থাকতে হলে আমার যেভাবে পছন্দ সেভাবে করতে হবে নাহলে আমি যতদিন সুস্থ আছি তোমার প্রচেষ্টা একসেপ্ট করে নিব না। এজন্য মা করোনা আক্রান্ত হয়েও নিজে রান্না করেছেন ও হাত কেটে, পুড়িয়ে ফেলেছেন। মেয়ে চাইলেও কিছু করতে পারে নি।
এমতাবস্থায় মেয়ের ভাই চায় না যে মেয়ের বিয়ে হোক (বিয়ের উপযুক্ত বয়স হলেও) কারন যেহেতু মা পারফেকশন পছন্দ করেন ও মেয়ে বাসার বাইরে গিয়ে কখনো থাকে নি তাই তার মানসিক বৃদ্ধি ঘটেনি বলে ভাই মনে করেন । এজন্য ভাই চান যে মেয়েটি একা একা বিদেশে এসে থাকুক। মেয়েটি জানে যে মাহরাম ছাড়া যাওয়া নিষিদ্ধ। ফ্যামিলির দ্বীনের বুঝ সেরকম নেই। মেয়েটির অবস্থা ৩ নং প্রশ্নের মত। মেয়েটি কি করতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তারাবিহ নামাজ বিশ রাকাত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। 
কেহ যদি বিনা ওযরে বিশ রাকাত না পড়ে,বা ওযর বশত বিশ রাকাত না পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
,
এবং শেষে তিন রাকাত বিতর পড়া ওয়াজিব। 
,     
ইমাম বুখারীসহ সিহাহ সিত্তার সকল গ্রন্থকারের উস্তাদের ২৬ খন্ডে রচিত কিতাব ‘মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ’( ২/১৬৪)-তে সহিহ সনদে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, 
ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ ﻛَﺎﻥَ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ ﺭَﻛْﻌَﺔً ﻭَﺍﻟْﻮِﺗْﺮَ  

রাসূল ﷺ রমযান মাসে বিশ রাকাআত তারাবী ও বিতির আদায় করতেন।
হাদিসটি এই হাদিসগ্রন্থগুলোতেও বর্ণিত হয়েছে– সুনানুল কোবরা লিল-বায়হাকী: ২/৬৯৮, আল-মুনতাখিব: ৬৫৩, আল-মু’জামুল কাবীর: ১১/৩৯৩, আল-মু’জামুল আওসাত: ১/২৪৩।

 ইয়াজিদ বিন রূমান বলেন,
 كان الناس يقومون في زمان عمر بن الخطاب في رمضان بثلاث وعشرين ركعة 

লোকেরা (সাহাবী ও তাবেয়িগণ) ওমর রাযি. এর শাসনামলে বিশ রাকাত তারাবী এবং তিন রাকাত বিতির রমযান মাসে আদায় করতো। (মারিফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস নং-১৪৪৩, মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৩৮০, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৩৯৪)

আরো জানুনঃ  
,
★সুতরাং তারাবিহ নামাজ আদায় না করলে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ছেড়ে দেওয়ার গুনাহ হবে। 
,
(০২)
হ্যাঁ বিতরের পর তারাবিহ পড়লেও তারাবিহ আদায় হবে।
,
(০৩)
হ্যাঁ তিনি তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করতে পারেন।
এক্ষেত্রে দোয়া কবুলের জন্য আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখবে।
খালেছ দিলে দোয়া করবে  

(০৪)
হ্যাঁ সেই ছওয়াব বিদ্যমান থাকবে।
 
(০৫)
প্রতি দিন,বা প্রতি রাতে দুই ছলাতুল হাজত পড়ে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করবে।

আরো জানুনঃ

(০৬)
তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করে যাবেন।
নিজের পরিবারের মুরব্বিদের সাহায্য নিয়ে নিজের বিবাহের বিষয় অভিভাবকদের বুঝাবে।
ইনশাআল্লাহ দ্রুত বিবাহ হবে।          


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...