বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
অালহামদুলিল্লাহ।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে যে,একবার হযরত উমর রাযি খেজুরের বাগান সদকাহ করার মনস্থ করলেন।এবং এ বিষয়ে তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে পরামর্শ করলেন।রাসূলুল্লাহ সাঃ তাকে ওয়াক্বফ করার আদেশ প্রদাণ করে বললেন।
ﻓﻘﺎﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﺗَﺼَﺪَّﻕْ ﺑِﺄَﺻْﻠِﻪِ ، ﻻَ ﻳُﺒَﺎﻉُ ﻭَﻻَ ﻳُﻮﻫَﺐُ ﻭَﻻَ ﻳُﻮﺭَﺙُ، ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﻳُﻨْﻔَﻖُ ﺛَﻤَﺮُﻩُ )
তুমি মূল জিনিষকে আল্লাহ রাস্তায় ওয়াক্বফ করে দাও,যা কখনো বিক্রয় করা যাবে না,এবং যা কখনো হেবাহ করা যাবে না,এবং যে সম্পত্তির ওয়ারিছও কেউ কখনো হবে না।বরং সে সম্পত্তি থেকে অর্জিত মুনাফাকেই আল্লাহর রাহে খরচ করা হবে।(সহীহ বুখারী-২৭৬৪,সহীহ মুসলিম-১৬৩২)
ইবনে হাজার আসক্বালানী রাহ অন্য এক বর্ণনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺤﺎﻓﻆ ﺍﺑﻦ ﺣﺠﺮ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ :
ﺯَﺍﺩَ ﺍﻟﺪَّﺍﺭَﻗُﻄْﻨِﻲُّ ﻣِﻦْ ﻃَﺮِﻳﻖِ ﻋُﺒَﻴْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻋَﻦْ ﻧَﺎﻓِﻊٍ : ( ﺣَﺒِﻴﺲٌ [ ﺃﻱ : ﻭﻗﻒ ] ﻣَﺎ ﺩَﺍﻣَﺖِ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕُ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽُ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর রাহে ওয়াক্বফের কথা বলেছেন।(ফাতহুল বারী-৫/৪০১)
আবুল হাসান মাওয়ারদী রাহ বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺍﻟﺤﺴﻦ ﺍﻟﻤﺎﻭﺭﺩﻱ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ :
" ﺷِﺮَﺍﺀُ ﺍﻟْﻮَﻗْﻒِ ﺑَﺎﻃِﻞٌ ﺑِﻮِﻓَﺎﻕٍ [ ﺃﻱ : ﺑﺎﺗﻔﺎﻕ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ"
ওয়াক্বফ সম্পত্তির ক্রয়-বিক্রয় সমস্ত উলামাগণের সম্মতিক্রমে বাতিল হিসেবে পরিগণিত।(আল-হাবী-৩/৩৩২)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ওয়াক্বফ কৃত জায়গা ব্যতীত শরয়ী মসজিদ হয় না।আর ওয়াক্বফ সম্পত্তি সম্পর্কে কুরআন-হাদীসের সিদ্ধান্ত হলো,এটার মালিক পৃথিবীর কোনো মানুষ থাকে না।বরং ওয়াক্বফ করার সাথে সাথে মানুষের মালিকানা থেকে বের হয়ে সেটা মতান্তরে আল্লাহর মালিকানায় চলে যায়।শুধুমাত্র দেখভাল করার জন্য একজন ব্যবস্থাপক বা মুতাওয়াল্লি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।তাই বলা যায় যে,অস্থায়ী ভিত্তিতে দেখভাল করার দায়িত্ব নিয়ে বর্তমান মুতাওয়াল্লিই এই ওয়াক্বফ সম্পত্তির মালিক।যিনি এই ওয়াক্বফ সম্পত্তির উপার্জিত আয় থেকে আল্লাহর রাহে নিষ্টার সাথে খরচ করবেন।
সুতরাং মসজিদের কোনো জিনিষ মুতাওয়াল্লির অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার করা যাবে না।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.