আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
368 views
in পবিত্রতা (Purity) by (10 points)

প্রিয় শায়েখ,

ﺍَﻟﺴَّﻼَﻡْ ﻋَﻠَﻴْــــــــــــــــــــﻜُﻢْ ﻭَ ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﮧِ ﻭَﺑَﺮَﻛَﺎﺗُﻪ 

 

একটি হাদিস 

"আবু হুরায়রা (রাঃ) মনে করতেন, যে ব্যক্তির উপর গোসল ফরয হয়েছে সে যদি সূর্যদয়ের পূর্বেই গোসল না করে, তাহলে তার রোজা হবেনা। কিন্তু রাসুল (সঃ) এর বিবিগণের নিকট থেকে যখন হাদিস পাওয়া গেল যে,  রাসুল (সঃ) এর আমল এই মতের বিপরীত ছিল। অর্থাৎ, কখনো কখনো  রাসুল (সঃ) রমজান মাসে সূর্যদয়ের পরে ফরয গোসল করেছেন।  তখন আবু হুরায়রা (রাঃ) তাঁর আগের মতটি ছেড়ে দিলেন। "

 

ওস্তায, এখন আমার প্রশ্ন হল (১). যেহেতু রাসুল (সঃ) সূর্যদয়ের পরে ফরয গোসল করেছেন, তাহলে তিনি কি ফজরের সালাত সূর্যদয়ের পরে কাযা আদায় করেছেন?

(২). এখন আরেকটি বিষয় হল, স্ত্রী সহবাস করার পর আমরাও কি সূর্যদয়ের পরে ফরয গোসল করে ফজরের সালাত কাযা আদায় করতে পারবো? হোক সেটা রমজান মাস বা অন্য কোন মাস?

1 Answer

0 votes
by (589,380 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আবূ বাকর ইবনু ‘আবদুর রাহমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بنِ الحَارِثِ بْنِ هِشَامِ بْنِ المُغِيرَةِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ قَالَ كُنْتُ أَنَا وَأَبِي حِينَ دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ ح و حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ أَخْبَرَ مَرْوَانَ أَنَّ عَائِشَةَ وَأُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ أَهْلِهِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ وَيَصُومُ وَقَالَ مَرْوَانُ لِعَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْحَارِثِ أُقْسِمُ بِاللهِ لَتُقَرِّعَنَّ بِهَا أَبَا هُرَيْرَةَ وَمَرْوَانُ يَوْمَئِذٍ عَلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَكَرِهَ ذَلِكَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ ثُمَّ قُدِّرَ لَنَا أَنْ نَجْتَمِعَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ وَكَانَتْ لأَبِي هُرَيْرَةَ هُنَالِكَ أَرْضٌ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ لأَبِي هُرَيْرَةَ إِنِّي ذَاكِرٌ لَكَ أَمْرًا وَلَوْلاَ مَرْوَانُ أَقْسَمَ عَلَيَّ فِيهِ لَمْ أَذْكُرْهُ لَكَ فَذَكَرَ قَوْلَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَ كَذَلِكَ حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ وَهُنَّ أَعْلَمُ وَقَالَ هَمَّامٌ وَابْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ كَانَ النَّبِيُّ يَأْمُرُ بِالْفِطْرِ وَالأَوَّلُ أَسْنَدُ

তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) এবং উম্মু সালামাহ (রাযি.)-এর নিকট গেলাম। (অপর বর্ণনায়) আবুল ইয়ামান (রহ.)...মারওয়ান (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) এবং উম্মু সালামাহ (রাযি.) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনজনিত জুনূবী অবস্থায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ফজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সওম পালন করতেন। মারওয়ান (রহ.) ‘আবদুর রাহমান ইবনু হারিস (রহ.)-কে বললেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, এ হাদীস শুনিয়ে তুমি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে শঙ্কিত করে দিবে। এ সময় মারওয়ান (রহ.) মাদ্বীনার গভর্নর ছিলেন। আবূ বাকর (রহ.) বলেন, মারওয়ান এর কথা ‘আবদুর রাহমান (রহ.) পছন্দ করেননি। রাবী বলেন, এরপর ভাগ্যক্রমে আমরা যুল-হুলাইফাতে একত্রিত হই। সেখানে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর একখন্ড জমি ছিল। ‘আবদুর রাহমান (রহ.) আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে বললেন, আমি আপনার নিকট একটি কথা বলতে চাই, মারওয়ান যদি এ বিষয়টি আমাকে কসম দিয়ে না বলতেন, তা হলে আমি তা আপনার সঙ্গে আলোচনা করতাম না। অতঃপর তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) ও উম্মু সালামাহ (রাযি.)-এর বর্ণিত উক্তিটি উল্লেখ করলেন। ফায্ল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) অনুরূপ একটি হাদীস আমাকে শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে তিনি সর্বাধিক অবগত। হাম্মাম (রহ.) এবং ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, এরূপ ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওম পরিত্যাগ করে খাওয়ার হুকুম দিতেন। প্রথমোক্ত হাদীসটি সনদের দিক হতে বিশুদ্ধ। (সহিহ বুখারী-১৯২৬)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেহরির ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর এবং ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর গোসল করেছেন। আপনি যা বুঝেছেন অর্থাৎ সূর্যোদয় তা নয়, বরং সুবহে সাদিকের উদয়ের পর তিনি গোসল করে নামায আদায় করেছেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,380 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...