আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (13 points)
১।ফেতরা দেওয়ার বিধান কি? কিভাবে ফিতরা আদায় করব সহি  উপায়ে? কতটুকুন সম্পদের উপর কি পরিমান ফেতরা আদায় করতে হবে?


২। কিয়ামুল লাইল আর তারাবি কি এক জিনিস? কিয়ামুল লাইল পড়া কি সুন্নত না নফল?

৩। তারাবির নামাজে দুই রাকাতের পর এবং চার রাকাতের পর যে দোয়া গুলো আছে সেগুলো পরা কি সুন্নত? আর না পড়লে কি কোন গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) 
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
وهي واجبة على الحر المسلم المالك لمقدار النصاب فاضلا عن حوائجه الأصلية كذا في الاختيار شرح المختار، ولا يعتبر فيه وصف النماء ويتعلق بهذا النصاب وجوب الأضحية، ووجوب نفقة الأقارب هكذا في فتاوى قاضي خان.
ভাবার্থ
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক  নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।
এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া জরুরী নয়।শুধু তাই নয়, বরং এ পরিমাণ মালের মালিকের উপর  কোরবানী ও নিকটাত্মীয়দের ব্যয়ভার গ্রহণ ওয়াজিব।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২

কোন কোন জিনিষ দ্বারা সদকায়ে ফিতির আদায় করা যাবে?
 وإنما تجب صدقة الفطر من أربعة أشياء من الحنطة والشعير والتمر والزبيب كذا في خزانة المفتين وشرح الطحاوي وهي نصف صاع من بر أو صاع من شعير أو تمر، ودقيق الحنطة والشعير وسويقهما مثلهما والخبز لا يجوز إلا باعتبار القيمة، وهو الأصح، وأما الزبيب فقد ذكر في الجامع الصغير نصف صاع عند أبي حنيفة - رحمه الله تعالى -؛ لأنه يؤكل بجميع أجزائه وروي عن أبي حنيفة - رحمه الله تعالى - صاع، وهو قولهما
চারটি জিনিষ দ্বারা সদকায়ে ফিতির আদায় করা যায়,(১)গম(২)যব(৩)খেজুর(৪)কিসমিস।
(পরিমাণঃ)
গম হলে আধা সা'(=১.৬৫০গ্রাম)
যব বা খেজুর হলে এক সা'(=৩.৩০০গ্রাম)
গম বা যবের সাতু হলে পূর্ণ গম বা যবের পরিমাপের মতই।
তবে রুটি হলে এক্ষেত্রে পরিমাপ গ্রহণযোগ্য হবে না বরং মূল্য হিসেবেই দিতে হবে।এটাই বিশুদ্ধ মত।কিসমিস সম্পর্কে ইমাম আবু হানিফা রাহ থেকে এক বর্ণনা মতে আধা সা',কেননা তাকে সমূলে একবারেই মূখে দিয়ে আহার করা হয়।এবং ভিন্ন এক বর্ণনায় এক সা'র উল্লেখ পাওয়া যায় যা সাহেবাইনের মত। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২)

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1811

(২) তারাবিহ যাকে হাদীসে কিয়ামূল লাইল বলা হয়ে হয়েছে। তাই তারাবিহ এবং কিয়ামূল লাইল এক না ভিন্ন? এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।  

(৩)
বাকি চার রাকাত পর এতটুকু সময় বসা মুস্তাহাব,যতক্ষণ সময় চার রাকাত নামায পড়তে সময় লেগেছে। সেই সময় নফল নামায পড়া,তাসবীহ পড়া, দরূদ পড়া,জিকির করা,কুরআন তিলাওয়ত করা,কিংবা চুপ করে বসে থাকা,মক্কায় হলে তওয়াফ করা সবই জায়েজ।নির্দিষ্ট কোন একটি কাজকে আবশ্যকীয় মনে করার কোন সুযোগ নেই। সুযোগ নেই নির্দিষ্ট কোন দুআকে জরুরী মনে করা।যেহেতু যেকোন দুআ ও দরূদ এ সময়ে পড়া যায়। সেই হিসেবে কিছু কিছু ফুক্বাহায়ে কেরাম এ সময়
سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ، سُبْحَانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظَمَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوتِ، سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ، سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ، لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ نَسْتَغْفِرُ اللَّهَ، نَسْأَلُك الْجَنَّةَ وَنَعُوذُ بِك مِنْ النَّارِ
হামদ ও দুআটি পড়তে বলেছেন।এটা জরুরী,বা সুন্নত-মুস্তাহাব হিসেবে পড়তে বলেননি। বরং এসময় চুপ করে থাকার চেয়ে দুআ দরূদ, জিকির আজকার করা উচিত। সেই হিসেবে তারা একটি চমৎকার আল্লাহর হামদ এবং দুআর শব্দময় উক্ত বাক্যগুলো পড়তে বলেছেন।এটি পড়া যায়। কিন্তু সুন্নত-মুস্তাহাব বা জরুরী মনে করা যাবে না। না পড়লেও কোন সমস্যা নেই।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/14077

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তারাবীর নামাজের চার রাকাত পড়ার পর যে দোয়া করা হয়, তা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়, তবে চুপ থাকার চেয়ে এই দু’আ পড়াই উত্তম। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...