আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
328 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
edited by

(১)রোযা থাকা অবস্থায় প্রস্রাব করার পর গোপনাঙ্গ পানি দিয়ে ধোয়ার পর গোপনাঙ্গের মাথায় লেগে থাকা পানি যদি গোপনাঙ্গের ভিতরে যায় এবং এটি একেবারে বেশি না হয় তাহলে রোযা ভাঙ্গবে কী?আমি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পানি না ঢুকিয়ে দেই তাহলে হুকুম কী?                                  (২)নামাযের মধ্যে যদি মুখে থুতু আসে এবং এই কারণে যদি কিরাত পাঠে ধাক্কা চলে আসে বা রুকুতে থাকা অবস্থায় তাসবীহ পাঠের সময় যদি মুখ থেকে থুতু পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে থুতু গিলে ফেললে নামায ভেঙ্গে যাবে কী?নামাযের মধ্যে মুখের থুতু গিলে ফেললে নামায ভেঙ্গে যাবে কী?কেউ যদি না জেনে এমন করে তাহলে তার হুকুম কী?                                    (৩)হাতে সাবানের গুঁড়া লেগে থাকলে যদি তা হাত শুকনো থাকা অবস্থায় বুঝা যায় কিন্তু ওযু করার সময় হাত ভিজলে যদি বুঝা না যায় এবং সেই জায়গায় স্বাভাবিকভাবে পানি চলে যায় তাহলে ওযু হবে কী?                                                                  (৪)নামাযে কিরাত পাঠের সময় যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা চলে আসে এবং কোন শব্দ ধাক্কা প্রাপ্ত হয়(নিজের ইচ্ছায় না করলে) তাহলে নামায ভেঙ্গে যাবে কী?                                      (৫)নামাযের বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার সময় আসসালামু বলার সময় মু শুনতে না পেলে(কিন্তু যদি উচ্চারিত হয়) নামায হবে কী?কেউ যদি না জেনে এমন করে তাহলে হুকুম কী?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১)রোযা থাকা অবস্থায় প্রস্রাব করার পর গোপনাঙ্গ পানি দিয়ে ধোয়ার পর গোপনাঙ্গের মাথায় লেগে থাকা পানি যদি গোপনাঙ্গের ভিতরে চলে যায় , তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। 

«أو أدخل أصبعه مبلولة بماء أودهن في دبره" أو استنجى فوصل الماء إلى داخل دبره أو فرجها الداخل بالمبالغة فيه والحد الفاصل الذي يتعلق بالوصول إليه الفساد قدر الحقنة وقلما يكون ذلك ولو خرج سرمه؟؟ فغسله إن نشفه قبل أن يقوم ويرجع لمحله لا يفسد صومه» - «حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح» (ص676)


(২) রোযা অবস্থায় মুখের থুথু গিলে ফেললে বা নামাযরত অবস্থায় থুথু গিলে ফেললে, এতে রোযাও নষ্ট হবে না। এবং নামাযও ফাসিদ হবে না। তবে যদি থুথু মুখ ভর্তি পরিমাণ হয়, তাহলে এদ্বারা ইমাম আবু ইউসুফ রাহ এর মাযহাব মতে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে। তবে ইমাম আবু হানিফা রাহ এর মাযহাব মতে রোযা ফাসিদ হবে না। 

سئل إبراهيم عمن ابتلع بلغما قال «إن كان أقل من ملء فيه لا ينقض إجماعا وإن كان ملء فيه ينقض صومه عند أبي يوسف وعند أبي حنيفة لا ينقض» - «حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح» (ص662)

(৩) যদি সাবানকে ভেদ করে শরীরে পানি পৌছে, তাহলে এদ্বারা অজু হবে। নতুবা অজু হবে না। 

(৪) যদি এমন ধাক্কা না হয়, যার কারণে অতিরিক্ত কোনো অক্ষর উচ্ছারিত হয়ে যায়, এবং অর্থ বদলে যায়, তাহলে এদ্ধারা নামায ফাসিদ হবে না। 

(৫)নামাযের বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার সময় আসসালামু বলার সময় মু শুনতে না পেলে(কিন্তু যদি উচ্চারিত হয়) তাহলে এমতাবস্থায় নামায হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...