ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)রোযা থাকা অবস্থায় প্রস্রাব করার পর গোপনাঙ্গ পানি দিয়ে ধোয়ার পর গোপনাঙ্গের মাথায় লেগে থাকা পানি যদি গোপনাঙ্গের ভিতরে চলে যায় , তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
«أو أدخل أصبعه مبلولة بماء أودهن في دبره" أو استنجى فوصل الماء إلى داخل دبره أو فرجها الداخل بالمبالغة فيه والحد الفاصل الذي يتعلق بالوصول إليه الفساد قدر الحقنة وقلما يكون ذلك ولو خرج سرمه؟؟ فغسله إن نشفه قبل أن يقوم ويرجع لمحله لا يفسد صومه» - «حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح» (ص676)
(২) রোযা অবস্থায় মুখের থুথু গিলে ফেললে বা নামাযরত অবস্থায় থুথু গিলে ফেললে, এতে রোযাও নষ্ট হবে না। এবং নামাযও ফাসিদ হবে না। তবে যদি থুথু মুখ ভর্তি পরিমাণ হয়, তাহলে এদ্বারা ইমাম আবু ইউসুফ রাহ এর মাযহাব মতে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে। তবে ইমাম আবু হানিফা রাহ এর মাযহাব মতে রোযা ফাসিদ হবে না।
سئل إبراهيم عمن ابتلع بلغما قال «إن كان أقل من ملء فيه لا ينقض إجماعا وإن كان ملء فيه ينقض صومه عند أبي يوسف وعند أبي حنيفة لا ينقض» - «حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح» (ص662)
(৩) যদি সাবানকে ভেদ করে শরীরে পানি পৌছে, তাহলে এদ্বারা অজু হবে। নতুবা অজু হবে না।
(৪) যদি এমন ধাক্কা না হয়, যার কারণে অতিরিক্ত কোনো অক্ষর উচ্ছারিত হয়ে যায়, এবং অর্থ বদলে যায়, তাহলে এদ্ধারা নামায ফাসিদ হবে না।
(৫)নামাযের বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার সময় আসসালামু বলার সময় মু শুনতে না পেলে(কিন্তু যদি উচ্চারিত হয়) তাহলে এমতাবস্থায় নামায হবে।