শরীয়তের বিধান হলো কাহারো ঋণ যদি এত হয় যা বাদ দিলে তার কাছে নিসাব পরিমাণ যাকাতযোগ্য সম্পদ থাকে না তাহলে তার ওপর যাকাত ফরয নয়। (মুয়াত্তা মালেক ১০৭; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০০৩, ৭০৮৬, ৭০৮৯, ৭০৯০; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৫৪৭-৫৪৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৬৩; বাদায়েউস সানায়ে ২/৮৩)
,
কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে যে, এই প্রসিদ্ধ মাসআলাটি সকল ঋণের ক্ষেত্রে নয়।
ঋণ দুই ধরনের হয়ে থাকে।
ক. প্রয়োজনাদি পূরণের জন্য বাধ্য হয়ে যে ঋণ নেওয়া হয়।
খ. ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যে ঋণ নেওয়া হয়।
,
প্রথম প্রকারের ঋণ সম্পদ থেকে বাদ দিয়ে যাকাতের নিসাব বাকি থাকে কিনা তার হিসাব করতে হবে। নিসাব থাকলে যাকাত ফরয হবে, অন্যথায় নয়।
,
কিন্তু যে সকল ঋণ উন্নয়নের জন্য নেওয়া হয় যেমন কারখানা বানানো, কিংবা ভাড়া দেওয়া বা বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বিল্ডিং বানানো অথবা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ঋণ নিলে যাকাতের হিসাবের সময় সে ঋণ ধর্তব্য হবে না। অর্থাৎ এ ধরনের ঋণের কারণে যাকাত কম দেওয়া যাবে না।
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৮৭)
وفي رد المحتار- ( قوله أو مؤجلا إلخ ) عزاه في المعراج إلى شرح الطحاوي ، وقال : وعن أبي حنيفة لا يمنع وقال الصدر الشهيد : لا رواية فيه ، ولكل من المنع وعدمه وجه، زاد القهستاني عن الجواهر : والصحيح أنه غير مانع (رد المحتار-كتاب الزكاة، مطلب الفرق بين السبب والشرط والعلة-3/177، بدائع الصنائع-2/86
সারমর্মঃ
সহীহ কথা হলো এধরনের ঋন যাকাত থেকে বাধা দানকারী নয়।
★★★সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ৪০০০০০/- টাকা লোন নিয়েছেন,এটা ঋণের কোন প্রকারের?
সেই ঋণ যদি প্রথম প্রকারের হয়,তাহলে সেটা বাদ দিয়ে যদি আপনার নিকট যেহেতু নেসাব পরিমাণ টাকা আছে,তাহলে ঋন ব্যাতিত সম্পদের উপরেই আপনার যাকাত ফরজ হবে।
আর যদি দ্বিতীয় প্রকারের ঋণ হয়,তাহলে বিধান হলোঃ
আপনি যাদের কাছ থেকে যেই লোন নিয়েছেন, এর বছরান্তের আদায়যোগ্য কিস্তি ছাড়া যদি আপনার কাছে সাড়ে বায়ান্ন তোলার রূপার সমমূল্য টাকা বাকি থাকে, তাহলে আপনার উপর যাকাত আদায় করা আবশ্যক।
আপনার বাৎসরিক লোন বাবদ পরিশোধ কৃত টাকা ব্যতিত যত টাকা আপনার হাতে ঋণ নেয়া বাবদ অবশিষ্ট আছে, এর উপর আপনার যাকাত আদায় করতে হবে। কারণ দীর্ঘমেয়াদী ঋণ থাকা যাকাত আবশ্যক হবার জন্য প্রতিবন্ধক নয়।
,
আরো জানুনঃ