জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হল জামা'আতের দিকে লক্ষ্য করে রমজানুল মুবারক মাসে মাগরীবের আযান এবং নামাজের মাঝে কমবেশি দশ মিনিটের বিরতি দেওয়া উত্তম।
যাতে করে এই মুবারক মাসে সমস্ত লোকদের জামা'আতে শরিক হওয়ার ছওয়াব মিলে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১৪৮)
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمُنْعِمِ، هُوَ صَاحِبُ السِّقَاءِ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، وَعَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِبِلاَلٍ " يَا بِلاَلُ إِذَا أَذَّنْتَ فَتَرَسَّلْ فِي أَذَانِكَ وَإِذَا أَقَمْتَ فَاحْدُرْ وَاجْعَلْ بَيْنَ أَذَانِكَ وَإِقَامَتِكَ قَدْرَ مَا يَفْرُغُ الآكِلُ مِنْ أَكْلِهِ وَالشَّارِبُ مِنْ شُرْبِهِ وَالْمُعْتَصِرُ إِذَا دَخَلَ لِقَضَاءِ حَاجَتِهِ وَلاَ تَقُومُوا حَتَّى تَرَوْنِي " .
জাবির ইবনু আদিল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ)-কে বললেনঃ হে বিলাল! যখন তুমি আযান দিবে, ধীরস্থিরভাবে ও দীর্ঘস্বরে আযান দিবে এবং যখন ইকামাত দিবে তাড়াতাড়ি ও অনুচ্চস্বরে ইকামাত দিবে। তোমার আযান ও ইকামাতের মাঝখানে এতটুকু সময় ফুরসত দিবে যেন খাবার গ্রহণকারী তার খাবার হতে, পানকারী তার পান হতে এবং পেশাব-পায়খানারত ব্যক্তি তার পায়খানা-পেশাব হতে অবসর হতে পারে। তোমরা আমাকে না দেখা পর্যন্ত নামাযে দাড়াবে না।
তিরিমিজি ১৯৫. ইরওয়া (২২৮),
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা থাকলে কাঁচা খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না পেতেন তাহলে শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি শুকনো খেজুরও না পেতেন তাহলে পানি দিয়ে ইফতার করতেন। এরপর মাগরিবের ফরজ নামায আদায় করতেন। ঘরে এসে সুন্নত নামায আদায় করতেন।
আনাস (রাঃ) বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায পড়ার আগে কয়েকটি কাঁচা খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। যদি কাঁচা খেজুর না পেতেন কয়েকটি শুকনো খেজুর খেয়ে ইফতার করতেন। সেটাও না পেলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে ইফতার করতেন।[সুনানে আবু দাউদ, (২৩৫৬)]
কেউ যদি ইফতারিতে দেখে যে, খাবার প্রস্তুত আছে এবং নামায পড়তে গেলে খাবারের দিকে তার মন পড়ে থাকবে তাহলে সে আগে খেয়ে নিতে পারে; এরপর নামায পড়বে।
আবু জামরা দুবায়ী (রহ.) থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি রমজানে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সঙ্গে ইফতার করতেন।...তিনি বলেন, ‘যখন সূর্য অস্ত যেত তখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) আজান দিয়ে খাবার খেতেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে খাবার খেতাম। খাবার শেষে ইকামত দেওয়া হতো। তখন তিনি নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে নামাজ পড়ে নিতাম। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস ৯০৩৬; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৪২১; সহিহ ইবনে খুযাইমা, ১/২০৬;
তবে সাধারণ অবস্থায় সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজ বিলম্ব না করা মুস্তাহাব। এটি রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা প্রমাণিত। সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে মাগরিব পড়তাম যখন সূর্য অস্ত যেত। (বুখারি, হাদিস : ৫৬১)
রাফে ইবনে খাদিজা (রা.) বলেন, আমরা নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায় করতাম। অতঃপর নামাজ শেষে আমাদের কেউ চলে গেলে তখন সে তীর নিক্ষেপের স্থান দেখতে পেত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৩৭; সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৫৯)
,
★সুতরাং রমজানুল মুবারক মাসে মাগরিবের আযান এবং নামাজের মাঝে নামাজের মাঝে কমবেশি দশ মিনিটের বিরতি দেওয়া উত্তম।
,
এর মধ্যে কাহারো খাবারের দিকে মন পড়লে সে খাবার খেয়েই মসজিদে আসবে,অন্যথায় খেজুর পানি খেয়ে মসজিদে এসে ইবাদত বান্দেগীতে লিপ্ত থাকবে।