জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব হল বিশ মিসকাল। -সুনানে আবু দাউদ ১/২২১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৭৭, ৭০৮২
আধুনিক হিসাবে সাড়ে সাত ভরি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْخُذُ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِينَارًا فَصَاعِدًا نِصْفَ دِينَارٍ وَمِنْ الْأَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارًا
ইবনু ‘উমার ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বিশ দিনার বা তার চেয়ে কিছু বেশি হলে অর্ধ দিনার এবং চল্লিশ দিনারে এক দিনার (যাকাত) গ্রহণ করতেন।
ইবনে মাজাহ ১৭৯১ ইরওয়াহ ৮১৩।
দারাকুতনী ১৮৭৯, ১৮৯২
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বিশ দিনারের কম স্বর্ণে যাকাত ফরজ নয়। যদি কোন ব্যক্তির কাছে ২০ দিনার পরিমাণ স্বর্ণ একবছর যাবত থাকে, তবে তার জন্য অর্ধ দিনার যাকাত দিতে হবে। এরপরে যা বৃদ্ধি পাবে তার হিসাব ওইভাবেই হবে’ (সুনান আবু দাউদ)।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
জমি যদি ব্যবসার উদ্দেশ্যে ক্রয় না করা হয়,তাহলে তার উপর যাকাত ফরজ হয়না।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জমির উপর যাকাত ফরজ হবেনা।
এখন আপনার কাছে শুধু স্বর্ণ আছে,সেটি যেহেতু নেসাব পরিমান নয়,তাই আপনার উপর যাকাত ফরজ হবেনা।
,
হ্যাঁ যদি আপনার মালিকানায় দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত সামান্য টাকাও থাকে,তাহলে আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে।
এক্ষেত্রে উক্ত স্বর্ণের মূল্য আর টাকা হিসেব করে চল্লিশ ভাগের এক ভাগ তথা শতকরা আড়াই পার্সেন্ট যাকাত দিতে হবে।
,
(০২)
ক,
শরীয়তের বিধান হলো দোকান-পাটে যা কিছু বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা থাকে তা বাণিজ্য-দ্রব্য। এর মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত আদায় করা ফরয। -সুনানে আবু দাউদ ১/২১৮; সুনানে কুবরা বায়হাকী ৪/১৫৭; মুয়াত্তা ইমাম মালেক পৃ ১০৮; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১০৩,৭১০৪; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১০৫৫৭, ১০৫৬০, ১০৫৬৩
ব্যবসার নিয়তে কোনো কিছু ক্রয় করলে তা স্থাবর সম্পত্তি হোক যেমন জমি-জমা, ফ্ল্যাট কিংবা অস্থাবর যেমন মুদী সামগ্রী, কাপড়-চোপড়, অলংকার, নির্মাণ সামগ্রী, গাড়ি, ফার্নিচার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, হার্ডওয়ার সামগ্রী, বইপুস্তক ইত্যাদি, তা বাণিজ্য-দ্রব্য বলে গণ্য হবে এবং মূল্য নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত দেওয়া ফরয হবে। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১০৩,৭১০৪)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ব্যবসার পন্য ক্রয় করার পর নেসাব পরিমান হওয়ার পর থেকে এক বছর হওয়ার পর এসে বর্তমান সমস্ত পন্যের যাকাত দিতে হবে।
এখন আর কোনো পন্যের বছর পূর্ণ হয়েছে,কোনটার পূর্ণ হয়নি,এটা দেখা যাবেনা।
,
খ,
যদি ব্যবসার উদ্দেশ্যে ঋন নিয়ে থাকে,তাহলে সেটি বাদ যাবেনা।
বাৎসরিক মোট কিস্তি বাদ দিয়ে বাকি টাকা যাকাতের ক্ষেত্রে যোগ হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
জমি যদি ব্যবসার জন্য ক্রয় না করা হয়,তাহলে সেই জমির উপর যাকাত ফরজ হবেনা।