ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রমজান মাসে একটি নফল আদায় করলে ফরযের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবে। আর একটি ফরয আদায় করলে ৭০ টি ফরযের সমান সওয়াব পাওয়া সম্ভলিত যে হাদীসের কথা আপনি বলছেন, ঐ হাদীস ইবনে খুযাইমাহ রাহ বর্ণনা করেন।
عن سلمان الفارسي رضي الله عنه أنه قال : ( خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم في آخر يوم من شعبان فقال : أيها الناس قد أظلكم شهر عظيم مبارك ، شهر فيه ليلة خير من ألف شهر ، جعل الله صيامه فريضة ، وقيام ليله تطوعاً ، من تقرب فيه بخصلة من الخير كان كمن أدى فريضة فيما سواه ومن أدى فيه فريضة كان كمن أدّى سبعين فريضة فيما سواه ، وهو شهر أوله رحمة وأوسطه مغفرة ، وآخره عتق من النار ... الحديث ) .
সহীহ ইবনে খুযাইমাহ-১৮৮৭)
মুহাদ্দিসিনে কেরাম ঐ হাদীসকে মুনকার বা পরিত্যাজ্য বলেন, কেননা এই হাদীসে মাসকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, অথচ, এই ভাগ করার মধ্যে কোনো দলীল নাই। বরং প্রতি রাত্রেই আল্লাহ মুক্তি দেন। এখলাছের সাথে কোনো আমল করলে সেই আমলের সওয়াবকে আল্লাহ তা’আলা ১০ থেকে ৭০০ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারেন। এটা রমজানের সাথে নির্দিষ্ট নয়, বরং যে কোনো সময় আল্লাহ তা’আলা ঐ সওয়াব দিতে পারেন।
সুতরাং
রমজান মাসে একটা ভালো কাজ করলে সেই কাজের সোওয়াব সত্তরগুণ লিখা হয়, কথাটা বিশুদ্ধ নয়। সুতরাং খারাপ কাজ বিষয়ে কোনো প্রশ্নই আসতে পারে না।