ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
وَمَن لَّمْ يَسْتَطِعْ مِنكُمْ طَوْلاً أَن يَنكِحَ الْمُحْصَنَاتِ الْمُؤْمِنَاتِ فَمِن مِّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُم مِّن فَتَيَاتِكُمُ الْمُؤْمِنَاتِ وَاللّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِكُمْ بَعْضُكُم مِّن بَعْضٍ فَانكِحُوهُنَّ بِإِذْنِ أَهْلِهِنَّ وَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ مُحْصَنَاتٍ غَيْرَ مُسَافِحَاتٍ وَلاَ مُتَّخِذَاتِ أَخْدَانٍ فَإِذَا أُحْصِنَّ فَإِنْ أَتَيْنَ بِفَاحِشَةٍ فَعَلَيْهِنَّ نِصْفُ مَا عَلَى الْمُحْصَنَاتِ مِنَ الْعَذَابِ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ الْعَنَتَ مِنْكُمْ وَأَن تَصْبِرُواْ خَيْرٌ لَّكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হবে না। অতঃপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে ভয় করে। আর যদি সবর কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।
সর্ব নিম্ন মহর দশ দিরহাম।অর্থাৎ দুই তোলা সাড়ে সাত মাশা বা ৩০.৬১৮ গ্রাম রূপা
সর্বোচ্ছ মহর কত?তা শরীয়তে নির্ধারিত নয়।বরং স্ত্রীর বংশমর্যাদা ও স্বামীর অবস্থা বেধে বা উভয়পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে মহর নির্ধারণ হবে।
তবে উত্তম মহর হিসেবে সেটাকেই গণনা করা হয় যা রাসূলুল্লাহ সাঃ নিজ মেয়ে ফাতেমার জন্য বেছে নিয়েছিলেন।স্বামীর সামর্থ্য থাকলে বেশী মহর ও দিতে পারবেন।কেননা রাসূলুল্লাহ এর পক্ষ থেকে হাবশার বাদশা নাজ্জাসি উম্মে হাবিবা রাযি এর মহর এত্থেকেও বেশী অর্থাৎ চার হাজার দিরহাম দিয়েছিলেন, আর রাসূলুল্লাহ সাঃ তা নিষেধ করেননি।
«وإن تزوج حر امرأة على خدمته إياها سنة أو على تعليم القرآن فلها مهر مثلها» -
«الهداية في شرح بداية المبتدي» (1/ 201)
যদি কেউ কোনো মহিলাকে তার এক বৎসর খেদমত করার বিনিময়ে বা তাকে কুরআন শিক্ষা দেওয়ার বিনিময়ে বিয়ে করে তাহলে মহিলা মহলে মিছিল প্রাপ্ত হবে। অর্থাৎ স্বামীর উপর স্বীকে খেদমত করানো বা স্ত্রীকে কুরআন শিক্ষা দেওয়া মহর হিসেবে গণ্য হবে না। কেননা এগুলো মাল নয়। আর বিয়েতে মহর মাল হতে হয়। মহরে মিছিল সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/12694
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাল বা টাকা পয়সা ব্যতিত ভিন্ন কিছু মহর দেওয়া যাবে না। হ্যা ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে এগুলোর কোনো কোনোটি মহর হিসেবে ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এগুলো বাকী থাকেনি।