জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
রাসুল [সা.] অমুসলিমদের জন্য দোয়া করতেন।
এক সাহাবি রাসুল [সা.] কে বললেন, দাওস গোত্র সীমালঙ্ঘন করেছে। আপনি তাদের জন্য বদ দোয়া করুন। রাসুল [সা.] বললেন, হে আল্লাহ! আপনি দাওস গোত্রকে হেদায়েত দিন এবং তাদের মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করুন।” [বুখারি: ৪৩৯২]
রাসুল [সা.] অমুসলিমদের অসুস্থ অবস্থায় দেখতে যেতেন। তার পথে দৈনিক কাঁটা বিছিয়ে রাখা সেই বুড়ির ঘটনা আমরা জানি। তিনি যখন কাঁটা দেয়া বন্ধ করে দিলেন, তখন রাসুল তার খোঁজ নিতে গিয়েছেন।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেখানকার মুসলমানদের জন্য দোয়া করা যাবে।
দাওয়াতের উদ্দেশ্য সেখানকার কোনো কাফেরের জন্য সুস্থতার দোয়া করা যাবে।
,
অন্যথায় তাদের কাফেরদের সুস্থতার জন্য দোয়া করা জায়েজ নেই।
শায়েখ ডঃ খলিলুর রহমান মাদানী সাহেব দাঃবাঃ লিখেছেনঃ
অমুসলিমদের জন্য করা দোয়া কয়েক প্রকার হতে পারে:–
১। অমুসলিমরা যাতে ইসলাম গ্রহণ করে, হেদায়েতপ্রাপ্ত হয় এ ধরনের কোনো দোয়া করা।
এ ধরনে দোয়া করা জায়েজ এবং উত্তম। রসূল (সা.) এ ধরনের দোয়া করেছেন।
হাদিস শরিফে এসেছে,
ইবনে উমর (রা.) থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাসূল (সা.) বলেছেন:
‘হে আল্লাহ্! এই দুই জন লোকের মধ্যে যে ব্যক্তি আপনার কাছে অধিক প্রিয় তার মাধ্যমে আপনি ইসলামকে শক্তিশালী করুন: আবু জেহেল কিংবা উমর বিন খাত্তাব।’ [সুনানে তিরমিযি; হাদিস: ৩৬৮১, আলবানী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]
২। অমুসলিমদের জন্য গুনাহের ক্ষমা প্রার্থণা করা কিংবা এ-জাতীয় কোন দোয়া করা।
আলেমগণের ইজমার ভিত্তিতে এটি হারাম।
ইমাম নববী বলেন: ‘পক্ষান্তরে, কাফেরের জন্য রহমত প্রার্থনা করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা এটি কুরআনের দলিল ও ইজমার ভিত্তিতে হারাম।’ [আল-মাজমু ৫/১২০]
৩। অমুসলিম ব্যক্তির রোগ মুক্তি ও আরোগ্যের জন্য দোয়া করা।
এই দোয়াতে যদি কোনো সুফল হাছিলের উদ্দেশ্যে থাকে, তাহলে সেটা জায়েয। যেমন- তার সামনে যদি আল্লাহর নিকট দোয়া করা হয় এবং সে দোয়া যদি আল্লাহ কবুল করেন, তাহলে হয়ত সে ইসলাম গ্রহণ করবে।
আরো জানুনঃ