আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
435 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

১)

আমি ক্লাস ৫ এর একজন ছাত্রকে পড়াই । তাকে আগে এক/দের ঘণ্টা যতক্ষণই পড়াতাম ঠিক মত পড়াতাম । কিন্তু কিছুদিন যাবত সে পড়তে চায় না কারণ সে সকাল ৯-১২ পর্যন্ত স্কুলের অনলাইন ক্লাস করে তারপর ২/২ঃ৩০ থেকে ৩ টা পর্যন্ত বাসায় পরে তারপর আমি ৩ টা থেকে ৪ঃ২০/৪ঃ৩০ পর্যন্ত পড়াই । আবার মাগরিব থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত পড়ায় বসিয়ে রাখে তার মা-বাবা । ছাত্রও এত ভাল না ।

সে বলে ভাই রোজা রেখে সারাদিন পড়তে ভাল লাগে না , ঘুম আসে আর পড়ার মাঝে অনেক উঠা বসা করে  । ক্লাস ৫ এর ছাত্র হিসেবে আমারও মনে হয় তাকে বেশি প্রেশার দেয়া হচ্ছে । তাই আমি কিছুদিন ধরে তাকে একটু কম পড়াই ।

আমি তার অবস্থা বিবেচনায় কম পড়িয়ে টাকা নিলে তা বৈধ হবে ? নাকি হক বাকি থাকবে ?

২)

রক্ত বের হলে কি রোজা ভাঙ্গে ? ভাংলে কতটুকু রক্ত বের হলে ?

৩)

সেহেরি করার পড় অনেক সময় ডেক আসে , আর মনে হয় পানি যা খেয়েছিলাম তা গলা পর্যন্ত উঠে যায় , তখন ডুপ গিললে চলে যায় । এর বিধান কি ?

1 Answer

0 votes
by (640,500 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১)অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।

কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ

তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم 

  " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন-৩৭৪৭

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনাকে ঐ ছেলের মাতা পিতা যতটুকু পড়ার জন্য দায়িত্ব দিচ্ছে ততটুকুই যদি পড়ান, তাহলে তো কোনো প্রশ্নই আসে না। আর যদি বেশী প্রেশার হবে মনে করে আপনি তাকে কম পড়াতে চান, তাহলে আপনি তার মাতা পিতার সাথে কথা বলুন। তাদেরকে বিষয়টা অবগত রাখাই সর্বোচ্ছ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। হ্যা এটাও ঠিক যে, পূর্বের মত সময় সেই বাসায় অতিবাহিত করলে যদিও পড়ানোটা কম হচ্ছে, বেতন হালাল হয়ে যাবে। 

(২) রক্ত বের হলে রোযা ভঙ্গ হবে না। 

(৩) ঐ ডেকুর যদি গলার ভিতরেই থাকে, এবং আবার গলার ভিতরে চলে যায়, তাহলে উক্ত ডেকুর রোযাকে ফাসিদ করবে না। হ্যা, যদি গলার বাহিরে চলে আসে, যা প্রায় ভমির মত, তাহলে গিল ফেললে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (640,500 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 229 views
0 votes
1 answer 232 views
0 votes
1 answer 308 views
...