জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুদ স্পষ্ট হারাম।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨]
হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮]
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠]
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০]
হাদিস শরিফে এসেছে-
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.
আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া কোনো গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।
,
(০২)
হ্যাঁ প্রচলিত ব্যাংকে ডিপিএস এবং এফ ডি আর (FDR) সূদ ভিত্তিক হওয়ার কারনে হারাম।
তবে এক্ষেত্রে সেই মূলধন হারাম নয়।
সেটি হালাল।
,
তবে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া কোনো গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
,
যেহেতু এসব একাউন্ট খোলার কারনে আপনার টাকা কর্তৃপক্ষ সুদে লাগিয়ে তারাও উপকৃত হয়েছে,তাই এসব একাউন্ট খোলার কারনে হারাম কাজের সহযোগিতা করা হয়।
তাই এসব একাউন্ট খোলা জায়েজ নেই।
(০৩)
ইসলামী ব্যাংক সহ বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকই শরীয়তের রুলস মানেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
সুতরাং প্রয়োজনের ভিত্তিতে ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখা জায়েজ হলেও মুনাফা গ্রহন করা যাবেনা।
তাই টাকা সঞ্চয় করা যাবেনা।