আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
369 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
আস্সালামুআলাকুম
নিম্নের প্রশ্ন গুলোর উত্তর পেলে খুশি  হবো

১. আমার স্যালারি যে একাউন্ট এ ঢুকে, তার সাথে ৩/৬ মাস পর পর অল্প কিছু সুদ জমে যায়, এই সুদ কাওকে সাদকা করলে কি দেয় মুক্তি পাওয়া যাবে?
২. প্রচলিত ব্যাংকে ডিপিএস এবং এফ ডি আর (FDR ) কি হারাম ? যদি হারাম হয় তবে এর মূলধনের সাথে যে অতিরিক্ত টাকা পাওয়া  হয়েছে/হচ্ছে এরথেকে মুক্তির উপায় কি ? এটাও কি সাদকা করলে দেয় মুক্তি পাওয়া যাবে ?না কি মূলধন সহ সাদকা করতে হবে ?

৩. ইসলামিক ব্যাঙ্ক গুলোতে টাকা সঞ্চয় করা যাবে? যেমন মুদারাবা একাউন্ট বা অন্য কোনো সঞ্চয় যা ইসলামিক ব্যাঙ্ক গুলোতে আছে ?
উপরক্ত প্রশ্ন গুলোর উত্তর পেলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুদ স্পষ্ট হারাম।
   
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨] 

হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮] 


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠] 

হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০] 


হাদিস শরিফে এসেছে-

لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)

হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।

 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء

যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া কোনো গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।
,
(০২)
হ্যাঁ প্রচলিত ব্যাংকে ডিপিএস এবং এফ ডি আর (FDR) সূদ ভিত্তিক হওয়ার কারনে হারাম।
তবে এক্ষেত্রে সেই মূলধন হারাম নয়।
সেটি হালাল।
,
তবে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া কোনো গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
,
যেহেতু এসব একাউন্ট খোলার কারনে আপনার টাকা কর্তৃপক্ষ সুদে লাগিয়ে তারাও উপকৃত হয়েছে,তাই এসব একাউন্ট খোলার কারনে হারাম কাজের সহযোগিতা করা হয়।
তাই এসব একাউন্ট খোলা জায়েজ নেই। 

(০৩)
ইসলামী ব্যাংক সহ বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকই শরীয়তের রুলস মানেনা। 

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
সুতরাং প্রয়োজনের ভিত্তিতে ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখা জায়েজ হলেও মুনাফা গ্রহন করা যাবেনা।
তাই টাকা সঞ্চয় করা যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...