আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
327 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (8 points)
Assalamu'alaikum শায়খ।
১। একজন আমার অনুমতি ছাড়া (অগচরে) আমার নেসাব পরিমাণ সম্পদ (টাকা) নিয়ে নিজের ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে। টাকা টা এখন তার কাছেও নেই।

যদিও সে ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা রাখে এবং দিবে বলেছে। কিন্তু কবে ফেরত পাবো তার নিশ্চয়তা নেই। এমতাবস্থায় আমার সেই সম্পদের উপর যাকাত আসবে কি?

২। আমাদের ৪টি ফ্ল্যাট এবং ১টি দোকানের ভাড়ার টাকায় সংসার চলে, বাকি ১টি ফ্ল্যাটে আমরা থাকি। এক্ষেত্রে এই ফ্ল্যাট বা দোকানের উপর কোনো প্রকার যাকাত ধার্য হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (589,620 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
"ঋণের যে টাকা প্রাপ্তি নিশ্চিত তার যাকাতের বিধান " 
মানুষের কাছে অনেক সময় ঋন হিসাবে টাকা দেয়া হয়ে থাকে, কখনো বা বাকীতে পন্য বিক্রয় করা হয়। অদূর ভবিষ্যতে তা পাওয়া যাবে এ বিষয়টি ও থাকে নিশ্চিত। এমতাবস্তায় যাকাতের অর্থ হিসাব করে বের করার সময় এগুলোকে ও হিসাবের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া উত্তম। যদিও শরীয়তের হুকুম হলো যে, অনাদায়ী ঋণের উপর যাকাত ওয়াজিব নয়। কিন্তু এই সম্পদ হস্তগত হওয়ার পর বিগত বছরগুলোর যাকাত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হিসাব করে আদায় করতে হবে। দৃষ্টান্ত হিসাবে বলা যেতে পারে, একব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে
একলাখ টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছিল। পাঁচবছর অতিবাহিত হওয়ারপর প্রদত্ত ঋণের টাকা সে ফেরত পেল।যদি ও এই একলাক টাকার যাকাত বিগত পাঁচ বছর আদায় করা তার জন্য ওয়াজিব ছিল না, কিন্তু একলাখ টাকা উসূল হওয়ার পর এখন তাকে বিগত পাঁচ বছরের যাকাত আদায় করে দিতে হবে। যেহেতু একসঙ্গে কয়েক বছরের যাকাত আদায় করা কোনো কোনো সময় কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, এজন্য প্রতি বছর হিসাব করে এসব সম্পদের যাকাত আদায় করে দেয়াই উত্তম।[ ফাতাওয়ায়ে শামীঃখন্ড-২,পৃষ্ঠা -৪,বাদায়িউস সানায়েঃখন্ড-২,পৃষ্ঠা -৬]


(২)
"কোন সম্পদে যাকাত আসে"
আল্লাহ তাআলার বড় অনুগ্রহ তিনি মানুষের যাবতীয় সম্পদে যাকাত ফরয করেননি।এমনটি করা হলে বান্দাহর জন্য যাকাত আদায়ের বিষয় টি বেশ জটিল ও কঠিন হয়ে যেত।যেসব সম্পদে যাকাত ফরয তা মূলত দুই প্রকার-এক.নগদ টাকা-পয়সা। তা কাগজে নোট হতে পারে। আবর তা ধাতব মুদ্রাও হতে পারে।দুই.সোনা-রোপা।এই দুই পদার্থ অলংকারের আকৃতিতে কিংবা মুদ্রার আকৃতিতে ও হতে পারে।কোনো কোনো  মানুষের ধারণা হলো,মহিলাদের অলংকারে যাকাত নেই।এমন ধারণা সঠিক নয়। সঠিক কথা হলো,সোনা-রোপার ব্যবহারিক অলংকারেও  যাকাত ওয়াজিব। তবে সোনা-রোপা ছাড়া ধাতব অন্য
কোনো অলংকারে তা প্লার্টিনিমের ন্যায় মূল্যবান ধাতুর তৈরী হলেও যাকাত ওয়াজিব নয়।এমনকি হীরা জহরতেও যাকাত ওয়াজিব নয়। তবে এগুলো ব্যবসার জন্য হলে অন্য কথা।[রাদ্দুল মুহতার পৃষ্ঠা -৩৫ খন্ড -২] 
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://muftiemdadhaque.blogspot.com/2021/04/blog-post.html


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...