ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
"ঋণের যে টাকা প্রাপ্তি নিশ্চিত তার যাকাতের বিধান "
মানুষের কাছে অনেক সময় ঋন হিসাবে টাকা দেয়া হয়ে থাকে, কখনো বা বাকীতে পন্য বিক্রয় করা হয়। অদূর ভবিষ্যতে তা পাওয়া যাবে এ বিষয়টি ও থাকে নিশ্চিত। এমতাবস্তায় যাকাতের অর্থ হিসাব করে বের করার সময় এগুলোকে ও হিসাবের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া উত্তম। যদিও শরীয়তের হুকুম হলো যে, অনাদায়ী ঋণের উপর যাকাত ওয়াজিব নয়। কিন্তু এই সম্পদ হস্তগত হওয়ার পর বিগত বছরগুলোর যাকাত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হিসাব করে আদায় করতে হবে। দৃষ্টান্ত হিসাবে বলা যেতে পারে, একব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে
একলাখ টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছিল। পাঁচবছর অতিবাহিত হওয়ারপর প্রদত্ত ঋণের টাকা সে ফেরত পেল।যদি ও এই একলাক টাকার যাকাত বিগত পাঁচ বছর আদায় করা তার জন্য ওয়াজিব ছিল না, কিন্তু একলাখ টাকা উসূল হওয়ার পর এখন তাকে বিগত পাঁচ বছরের যাকাত আদায় করে দিতে হবে। যেহেতু একসঙ্গে কয়েক বছরের যাকাত আদায় করা কোনো কোনো সময় কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, এজন্য প্রতি বছর হিসাব করে এসব সম্পদের যাকাত আদায় করে দেয়াই উত্তম।[ ফাতাওয়ায়ে শামীঃখন্ড-২,পৃষ্ঠা -৪,বাদায়িউস সানায়েঃখন্ড-২,পৃষ্ঠা -৬]
(২)
"কোন সম্পদে যাকাত আসে"
আল্লাহ তাআলার বড় অনুগ্রহ তিনি মানুষের যাবতীয় সম্পদে যাকাত ফরয করেননি।এমনটি করা হলে বান্দাহর জন্য যাকাত আদায়ের বিষয় টি বেশ জটিল ও কঠিন হয়ে যেত।যেসব সম্পদে যাকাত ফরয তা মূলত দুই প্রকার-এক.নগদ টাকা-পয়সা। তা কাগজে নোট হতে পারে। আবর তা ধাতব মুদ্রাও হতে পারে।দুই.সোনা-রোপা।এই দুই পদার্থ অলংকারের আকৃতিতে কিংবা মুদ্রার আকৃতিতে ও হতে পারে।কোনো কোনো মানুষের ধারণা হলো,মহিলাদের অলংকারে যাকাত নেই।এমন ধারণা সঠিক নয়। সঠিক কথা হলো,সোনা-রোপার ব্যবহারিক অলংকারেও যাকাত ওয়াজিব। তবে সোনা-রোপা ছাড়া ধাতব অন্য
কোনো অলংকারে তা প্লার্টিনিমের ন্যায় মূল্যবান ধাতুর তৈরী হলেও যাকাত ওয়াজিব নয়।এমনকি হীরা জহরতেও যাকাত ওয়াজিব নয়। তবে এগুলো ব্যবসার জন্য হলে অন্য কথা।[রাদ্দুল মুহতার পৃষ্ঠা -৩৫ খন্ড -২]