আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
321 views
in সাওম (Fasting) by (115 points)
১/আমার হায়েজ কখন শেষ হবে আমি জানিনা।তবে যদি আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি পাক হয়েছি তবে কি আমি রমাদান এর রোজা রেখে ফেলব?বা যদি দেখি সাহরির পর পাক হয়েছি তবেও কি রোজা রেখে ফেলতে পারব?আর যদি রোজা না রাখি তবে কি কিছু খেতে পারব?

২/কুরআন যদি কেউ সমতলে পড়ে অর্থাৎ মাটিতে বসে পড়ে আর সেইদিক দিয়ে কেউ পা দিয়ে হেঁটে যায় তবে কি গুনাহ হবে?আর যদি ধরি কোনো ফার্নিচার এর উপর কুরআন রাখা হলো আর নিচে একটা খাট আছে। সেই খাটে যদি কেউ শুয়ে থাকে তবে পা টা কুরআন এর দিকে যাবে।তাহলে কি গুনাহ হবে?যদিও কুরআন উপরে আছে!

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হায়েজ ও নিফাছ অবস্থায় মেয়েদের জন্য ওয়াজিব হল রোযা বর্জন করা। এ অবস্থায় সালাত ও সিয়াম কোনটাই আদায় করা জায়েয হবে না। সুস্থতার পর তাদের সিয়াম কাজা আদায় করতে হবে। সালাতের কাজা আদায় করতে হবে না। 
,
দিনের বেলা হায়েজ নেফাস শেষ হলে তার পরের দিনের রোযা অবশ্যই রাখতে হবে।
রাতে হায়েজ নেফাস শেষ হলে সেই রাতেই সেহরী খেয়ে রোযা রাখতে হবে।
যদি ফজরের  ওয়াক্তে বা তারপরে হায়েজ নেফাস শেষ হয়,তাহলে সে উক্ত দিনের রোযা রাখবেনা। 
,
হাদীস শরীফে এসেছে :
 عن عائشة رضي الله عنها أنها سئلت : هل تقضي الحائض الصوم والصلاة؟ فقالت : كنا نؤمر بقضاء الصوم ولا نؤمر بقضاء الصلاة. متفق عليه.

 উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হল হায়েজ থেকে পবিত্রতার পর মহিলারা কি সালাত ও সাওমের কাজা আদায় করবে? তিনি বললেন : ‘‘এ অবস্থায় আমাদের সিয়ামের কাজা আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সালাতের নয়।’’ [বুখারী ও মুসলিম] 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
دَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ قَالَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لاَ أَطْهُرُ، أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضَةِ، فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلاَةَ، فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي ".

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ ফাতিমা বিনতু আবূ হুবায়শ (রাঃ) আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি কখনও পবিত্র হই না। এমতাবস্থায় আমি কি সালাত ছেড়ে দেব? আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ হলো এক ধরনের বিশেষ রক্ত, হায়েযের রক্ত নয়। যখন তোমার হায়েয শুরু হয় তখন তুমি সালাত ছেড়ে দাও। আর হায়েয শেষ হলে রক্ত ধুয়ে সালাত আদায় কর। (বুখারী ৩০৬.২২৮) (আ.প্র. ২৯৫, ই.ফা. ৩০০)

আরো জানুনঃ 
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রশ্নে ছুরতে আপনি
রোযা রেখে দিন।
হ্যাঁ যদি ফজরের আযানের সময় বা তার পরে হায়েজ শেষ হওয়া সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হোন,তাহলে সেদিনের রোযা রাখবেননা।
,
(০২)
গুনাহ হবেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...