আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
635 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
১. রমজান মাসের শেষ বিশদিন কেউ ইতিকাফের নিয়ত করল।এরমধ্যে প্রথম দশদিনের ইতিকাফ কে শরীয়তের পরিভাষায় কোন ধরনের ইতিকাফ বলা হবে?সুন্নত না মুস্তাহাব?
কেউ যদি প্রথম দশদিনে এতেকাফের নিয়ত করা সত্ত্বেও ওযর ছাড়া বের হয় তবে কি গুনাহ হবে?অর্থাৎ যতদিনের নিয়ত করেছে যদি তার আগে বের হয় তবে গুনাহ হবে কিনা?

২.রমজানের শেষ দশদিনের এতেকাফ ভেঙে ফেলা যায় কিনা?ভেঙে ফেললে কোন ধরনের গুনাহ হবে। কবীরা না সাগীরা?

৩.মসজিদের ইমাম সাহেব বাড়িতে গিয়েছেন।সহকারী ইমাম থাকা সত্ত্বেও তিনি অবিবাহিত হাফেজকে (যিনি একই মসজিদে  তারাবিহ পড়ান রাতে) অন্যান্য ওয়াক্তের সালাতে ইমামতি করতে বলেছেন। সহকারী ইমামই সাধারণত অন্যান্য মাসে প্রধান ইমাম সাহেবের  অনুপস্থিতিতে নামাজ পড়িয়ে থাকেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে সহকারী ইমাম থাকা সত্ত্বেও অবিবাহিত হাফেজকে ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া যাবে কিনা? শরয়ী বিধিনিষেধ আছে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
«وَيَنْقَسِمُ إلَى وَاجِبٍ، وَهُوَ الْمَنْذُورُ تَنْجِيزًا أَوْ تَعْلِيقًا، وَإِلَى سُنَّةٍ مُؤَكَّدَةٍ، وَهُوَ فِي الْعَشْرِ الْأَخِيرِ مِنْ رَمَضَانَ، وَإِلَى مُسْتَحَبٍّ، وَهُوَ مَا سِوَاهُمَا هَكَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ.» 
- «الفتاوى الهندية» (1/ 211)
ইতিকাফ তিন প্রকার যথা- 
(১) ওয়াজিব ইতিকাফ, যা নযর বা মান্নতের জন্য কারো উপর ওয়াজিব হয়েছে। 
(২) সুন্নতে মুআক্কাদা ইতিকাফ, তা হল রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ।
(৩) মুস্তাহব ইতিকাফ, এছাড়া সকল ইতিকাফকে মুস্তাহব ইতিকাফ বলা হয়। 

রমজান মাসের শেষ বিশদিন কেউ ইতিকাফের নিয়ত করল। এরমধ্যে প্রথম দশদিনের ইতিকাফ কে শরীয়তের পরিভাষায় মুস্তাহাব ইতিকাফ বলা হবে। 
«وَلَوْ اعْتَكَفَ الرَّجُلُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُوجِبَ عَلَى نَفْسِهِ ثُمَّ خَرَجَ مِنْ الْمَسْجِدِ لَا شَيْءَ عَلَيْهِ كَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ.» 
- «الفتاوى الهندية» (1/ 214)
যদি কেউ ওয়াজিব ব্যতিত ভিন্ন কোনো ইতিকাফ করে , অতঃপর ইতিকাফকে ভঙ্গ করে তাহলে তার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।

(২)
উপরে বর্ণিত হয়েছে যে, ওয়াজিব ব্যতিত ভিন্ন কোনো ইতিকাফ করার পর ভঙ্গ করলে, কোনো গোনাহ হবে না। সুতরাং সুন্নত ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে গেলে কোনো গোনাহ হবে না। তবে একদিনের ইতিকাফকে রোযা সহ কাযা করা অত্যাবশ্যকীয় হবে। কেননা সুন্নত শুরু করার পর তা পূরা করা ওয়াজিব। যদি কেউ এই একদিনের ইতিকাফকে কাযা না করে তাহেল তার গোনাহ হবে। এবং এটা কবিরা গোনাহ হবে।  তবে বিনা কারণে ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ করা উচিৎ না। ( আহকামে ইতিকাফ-তাকি উসমানি-৫৯)


(৩) অবিবাহিত ইমামের পিছনে নামায যে হবে না,বিষয়টা মূলত এমন নয়, বরং নামায হবে। হ্যা উত্তম হল, ইমাম বিবাহিত হওয়া। উনি কেন অবিবাহিত ইমামকে নামাযের দায়িত্ব দিলেন, এটা সম্পূর্ণ উনার ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটি উনাকে কারণ জিজ্ঞাসা করতে পারে। এদিকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যে, যাতেকরে এ বিষয়ে নিয়ে কোনো ফিতনা না হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 322 views
...