আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
শায়েখ

https://ifatwa.info/15305/
১.ফাতওয়ার শেষ প্রশ্নে ৫ নং প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে, বিয়ে ফরজ হলে তা না করে পড়াশোনা করা উচিত হবে না। কিন্তু হারামে লিপ্ত না হলে কোন গুনাহ হবে না। আমার প্রশ্ন, বিয়ে ফরজ হয়েছে এমন কোন ছেলে বিয়ে না করে পড়াশোনা করতে থাকলে এবং সে যেকোনো ধরনের হারামে লিপ্ত হলে তার অবশ্যই গুনাহ হবে কিন্তু এতে কি তার সেই পড়াশোনা বা শিক্ষা কি হারাম হবে?  এর দ্বারা উপার্জন হালাল হবে?
২.একই প্রশ্ন উক্ত ফাতওয়ায় জিজ্ঞেস করা হয়েছিল সে ব্যক্তি সম্পর্কে ও।  সে ত তার পিতার উপার্জন এ চলে। এতে তার বিয়ে ফরজ হলেও অর্থ না থাকায় রোজা ফরজ। তাহলে সে যদি রোজা না রাখে তাহলে তার গুনাহ হবে।  কিন্তু একই সময় যদি রোজা না রেখে বা বিয়ে না করে পড়াশোনা করলে সে শিক্ষা কি হারাম হবে?  উপার্জন হালাল হবে কি?
৩. সেখানে বলা হয়েছে যে, মোহরানা জমাতে। এখন মোহরানা কত তা সে কিভাবে জানবে? আর মোহরানা জমানোর পরো যদি সে বিয়ে না করে বসে থাকে। পড়াশোনা শেষ করার জন্য। তাহলে সেই শিক্ষা হারাম হবে কি?  এবং তার উপার্জন?
৪. বিজ্ঞান এর যেকোনো থিওরি প্রমাণের আগে সে সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়া হয়। সেই ধারণা যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে তা পরে থিউরি হবে আর নাহলে তা বাতিল। এই ধারণা করাকে বলা হয় hypothesis বা অনুকল্প। কিন্তু একটা article  পড়ে দেখলাম এই ধারণা কে অনেকে কোন নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ভবিষ্যৎবানী বলে থাকে।https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%25E0%25A6%2585%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%2595%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AA&ved=2ahUKEwisi4qN8pDwAhVzIbcAHctfDHAQFjABegQIAxAF&usg=AOvVaw1YF2AiB6ETTwFH_W2Dfmc8&cshid=1619061635077
লিংকের কার্যকারিতা অংশের ৪ নং প্যারা টা পড়ে দেখবেন।

আমার প্রশ্ন হলঃ বিজ্ঞান এর এই সকল অনুকল্প থেকেই তত্ত্ব এসেছে। তাহলে সেই তত্ত্ব পড়া পড়ানো ব্যবহার কি জায়েজ?  আর যেগুলো এখনো প্রমানিত হয়নি শুধু ধারণা করা হয়  এবং গবেষণার পর্যায়ে আছে এমন বিজ্ঞান এর বিষয় পড়া পড়ানো ব্যবহার কি জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। 

عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»

তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
 (3/ 82)

স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২)
,
(১.২.৩)
এক্ষেত্রে বিবাহ না করে শিক্ষা অর্জন এই জন্য নিষেধ করা হয়েছে,যাতে তার দ্বারা গুনাহের কাজ না হয়।
এতে সেই ব্যাক্তির দ্বারা গুনাহের কাজ হয়ে যাওয়ার যেহেতু প্রবল আশংকা রয়েছে,তাই শিক্ষা অর্জন থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
তারপরেও কেহ যদি বিবাহ না করে শিক্ষা অর্জন করে,তাহলে শিক্ষা হারাম হবেনা। তার উপার্জন হারাম হবেনা।
তবে কোনো গুনাহ করলে সেটির গুনাহ হবে।
,
সতর্কতামূলক তার দ্রুত বিবাহ করা উচিত।
,
(০৪)
যদি নিজের ঈমান আকীদা নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়,কোনো নাজায়েজ.অবৈধ কাজ করতে না হয়,তাহলে এমন বিজ্ঞান এর বিষয় পড়া পড়ানো ব্যবহার জায়েজ আছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...