আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
640 views
in পবিত্রতা (Purity) by (56 points)
আসসালামু আলাইকুম
১. আমার প্রায়ই গলায় সামান্য কফ জমে থাকে। গলা ঝাকারি দিলে সামান্য কফ বাহির হয়। নামাজেও এমম হয় এটা থামানো যায় না। এখন নামাজে গলা ঝাকারি দিলে সামান্য কফ মুখে চলে আসে ফলে তাসবীহ, তাশাহুদ পড়তে সমস্যা হয়। তাই আমি একহাত দিয়ে একটি আংগুল ব্যবহার করে দ্রুততার  সহিত হাতে নিয়ে নেই। তখন হয় আমি এটাকে জুব্বাতে অথবা আংগুলে ঘষা দিয়ে নিঃশেষ করি। এতে নামাজের ক্ষতি হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  


শরীয়তের বিধান মতে কফ পাক। 
নামাজের সময় যদি কফ চলে আসে, তাহলে পকেটে টিস্যু থাকলে তিনি সেটা টিস্যুতে রেখে দিতে পারেন অথবা কফ গিলে ফেলতে পারেন, দুটোই তার জন্য জায়েজ রয়েছে। কাপড়েও মুড়ে রেখে দিতে পারেন।
কিন্তু সে থুতু পশ্চিম দিকে বা কেবলার দিকে ফেলবেন না।

বুখারী শরীফের ৩৯৬ নং হাদীসে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى نُخَامَةً فِي الْقِبْلَةِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ حَتَّى رُئِيَ فِي وَجْهِهِ، فَقَامَ فَحَكَّهُ بِيَدِهِ فَقَالَ " إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلاَتِهِ، فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ ـ أَوْ إِنَّ رَبَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ ـ فَلاَ يَبْزُقَنَّ أَحَدُكُمْ قِبَلَ قِبْلَتِهِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمَيْهِ ". ثُمَّ أَخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ فَبَصَقَ فِيهِ، ثُمَّ رَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ، فَقَالَ " أَوْ يَفْعَلْ هَكَذَا ".

কুতায়বা (রহঃ) .... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে (দেয়ালে) ‘কফ’ দেখলেন। এটা তাঁর কাছে কষ্টদায়ক মনে হল। এমনকি তাঁর চেহারায় তা ফুটে উঠলো। তিনি উঠে দিয়ে তা হাত দিয়ে পরিষ্কার করলেন। তারপর তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন সে তাঁর রবের সাথে একান্তে কথা বলে। অথবা বলেছেন, তাঁর ও কিবলার মাঝখানে তাঁর রব আছেন। কাজেই, তোমাদের কেউ যখন কিবলার দিকে থুথু না ফেলে। বরং সে যেন তাঁর বাম দিকে বা পায়ের নীচে তা ফেলে। তারপর চাঁদরের আঁচল দিয়ে তিনি তাতে থুথু ফেললেন এবং তাঁর এক অংশকে অন্য অংশের উপর ভাঁজ করলেন এবং বললেনঃ অথবা সে এরূপ করবে।
সহীহ : বুখারী ৪০৫, সহীহ আল জামি‘ ১৫৩৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ২২৬৭।

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ

সলাতরত অবস্থায় মুসল্লী ও সুতরার মাঝে আল্লাহ তা‘আলাকে অনুভব করাকে ইহসান বলে। এ অবস্থায় ক্বিবলার দিকে থুথু বা নাকের ময়লা ফেলা অপছন্দনীয়। এ অবস্থায় কী করণীয় তা’ এ হাদীস হতে জানা যায়।

ইবনু খুযায়মাহ্ ও ইবনু হিব্বান (রহঃ) মারফূ‘ সূত্রে বর্ণনা রয়েছে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ক্বিবলার দিকে থুথু ফেলল, সে ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন তার দু' চোখের মাঝে ঐ থুথু নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু যদি তাকে থুথু ফেলতেই হয় তাহলে সে যেন তা তার বাম দিকে ফেলে, যদি বামে জায়গা খালি না থাকে। তবে ডানে ফেলবে না, কেননা তার ডানে সৎকর্মসমূহের লেখক (মালাক) থাকে। যেমনটা ইবনু আবী শায়বাহ্ সহীহ সানাদে বর্ণনা করেছেন। অথবা বাম পায়ের নিচে ফেলবে, যখন বাম পাশে জায়গা খালি না থাকে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যে তাহা আঙ্গুলে নেন,এর পর আঙ্গুল বা জুব্বা দিয়ে ঘষা দিয়ে নিঃশেষ করে দেন,একাজটি ঠিক নয়।
এটা আমলে কাসীর হওয়ার নিকটতম কাজ।  
এতে যদি এক রুকন সমপরিমাণ সময় চলে যায়,বা দুই হাতের ব্যবহার হয়,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,  
আমলে কাসির সংক্রান্ত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (56 points)
এক রুকন সময় বলতে কতটুকু সময়?
by (56 points)
আমি মুলত জুব্বাতে মুচি। অথবা আংগুলেই রেখে দেই।  বেশী ঘষাঘষি করি না

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,266 views
...