ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻣِﻤَّﺎ ﻟَﻢْ ﻳُﺬْﻛَﺮِ ﺍﺳْﻢُ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻔِﺴْﻖٌ ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦَ ﻟَﻴُﻮﺣُﻮﻥَ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺂﺋِﻬِﻢْ ﻟِﻴُﺠَﺎﺩِﻟُﻮﻛُﻢْ ﻭَﺇِﻥْ ﺃَﻃَﻌْﺘُﻤُﻮﻫُﻢْ ﺇِﻧَّﻜُﻢْ ﻟَﻤُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ
যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় না, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ করে-যেন তারা তোমাদের সাথে তর্ক করে। যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবে।{সূরা আন'আম-১২১}
যদি প্রকাশ্যে বিসমিল্লাহ কে অস্বিকার না করে এবং সে বলে যে, সে জবাই করার সময় মনে মনে বিসমিল্লাহ বলেছে,তাহলে উক্ত প্রাণী খাওয়া হালাল হবে।এক্ষেত্রে তার কথা গ্রহণযোগ্য হবে।এমনকি যদি কোনো অমুসলিম ও বলে যে উক্ত প্রাণী একজন মুসলমান দ্বারা হালাল ত্বরিকায় জবাই করা হয়েছে তাহলে প্রাণী হালাল হওয়ার ক্ষেত্রে উক্ত অমুসলিমের কথাকেও বিশ্বাস করা যাবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া;৪/১৯৮)
আহলে কিতাব ব্যতীত অন্যান্য অমুসলিমদের জবাইকৃত পশু খাওয়া যদিও হরাম।তবে মুসলিম দ্বারা জবাইকৃত পশুর অমুসলিম দ্বারা রান্না করা খাবার খাওয়া যাবে, জায়েয আছে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
(২)তারা দেখার অর্থ হল, জীবন সুন্দর হবে।
(৩)বাকি চার রাকাত পর এতটুকু সময় বসা মুস্তাহাব,যতক্ষণ সময় চার রাকাত নামায পড়তে সময় লেগেছে। সেই সময় নফল নামায পড়া,তাসবীহ পড়া, দরূদ পড়া,জিকির করা,কুরআন তিলাওয়ত করা,কিংবা চুপ করে বসে থাকা,মক্কায় হলে তওয়াফ করা সবই জায়েজ।নির্দিষ্ট কোন একটি কাজকে আবশ্যকীয় মনে করার কোন সুযোগ নেই। সুযোগ নেই নির্দিষ্ট কোন দুআকে জরুরী মনে করা।যেহেতু যেকোন দুআ ও দরূদ এ সময়ে পড়া যায়। সেই হিসেবে কিছু কিছু ফুক্বাহায়ে কেরাম এ সময়
سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ، سُبْحَانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظَمَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوتِ، سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ، سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ، لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ نَسْتَغْفِرُ اللَّهَ، نَسْأَلُك الْجَنَّةَ وَنَعُوذُ بِك مِنْ النَّارِ
হামদ ও দুআটি পড়তে বলেছেন।এটা জরুরী,বা সুন্নত-মুস্তাহাব হিসেবে পড়তে বলেননি। বরং এসময় চুপ করে থাকার চেয়ে দুআ দরূদ, জিকির আজকার করা উচিত। সেই হিসেবে তারা একটি চমৎকার আল্লাহর হামদ এবং দুআর শব্দময় উক্ত বাক্যগুলো পড়তে বলেছেন।এটি পড়া যায়। কিন্তু সুন্নত-মুস্তাহাব বা জরুরী মনে করা যাবে না। না পড়লেও কোন সমস্যা নেই।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/14077
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তারাবীর নামাজের চার রাকাত পড়ার পর যে দোয়া করা হয়, তা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়, তবে চুপ থাকার চেয়ে এই দু’আ পড়াই উত্তম।