ব্যাংকের গচ্ছিত টাকার উপর যাকাত দিতে হবে। যেহেতু এ টাকাটি ব্যাংকে পড়ে আছে মানেই এটি প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা। তাই এই টাকার উপর প্রতি বছরই যাকাত আদায় করতে হবে।
,
হ্যাঁ যদি আপনাদের ঋন থেকে থাকে,তাহলে তা পরিশোধ করার পর যদি সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ টাকা থাকে, তাহলেও সেই টাকার উপর যাকাত ফরজ হবে।
وفى رد المحتار- أن الزكاة تجب في النقد كيفما أمسكه للنماء أو للنفقة ، وكذا في البدائع في بحث النماء التقديري .(رد المحتار، كتاب الزكاة، مطلب في زكاة ثمن المبيع وفاء –3/179 زكريا، وفى البحر الرائق-2/206
যার সারমর্ম হলো নগদ টাকার উপর যাকাত ওয়াজিব, যেভাবেই এটা গচ্ছিত রাখুক না কেনো,,,,
,
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
এখানে একটি মাসয়ালা স্পষ্ট করছি,সেটি হলো
আমাদের দেশের কোনো ব্যাংকই সম্পূর্ণ শরীয়তের রুলস মানেনা।
তাই ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে মুদারাবা ভিত্তিতে প্রতি মাসে লভ্যাংশ ভোগ করা জায়েজ নেই।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুদ স্পষ্ট হারাম।
কুরআনে কারীমে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨]
হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮]
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠]
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০]
আরো জানুনঃ