জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ وَأَحْيَا لَيْلَهُ، وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রমযানের শেষ দশক আসত তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত্র জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন।
(সহীহুল বুখারী, পর্ব ৩২: লাইলাতুল কদর-এর ফাযীলাত, অধ্যায় ৫, হাঃ ২০২৪; মুসলিম, পর্ব ১৪ : ইতিকাফ, অধ্যায় ৩, হাঃ ১১৭৪।
সহীহ আল জামি‘ ৪৭১৩, আবূ দাঊদ ১৩৭৬, নাসায়ী ১৬৩৯, ইবনু মাজাহ ১৭৬৮, আহমাদ ২৪১৩১, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২২১৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৪৬০, ইবনু হিব্বান ৩৪৩৭।)
এখানে( شَدَّ مِئْزَرَه) এর অর্থ ‘উলামাগণের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ মত হলো, ‘ইবাদাতের মাধ্যমে ব্যস্ততার জন্য নারীদের থেকে দূরে থাকাই (شَدَّ مِئْزَرَه) এর উদ্দেশ্য।
ফাতহুল বারীতে এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
قوله: (وأيقظ أهله) أي: للصلاة، وروى الترمذي ومحمد بن نصر من حديث زينب بنت أم سلمة: " لم يكن النبي صلى الله عليه وسلم إذا بقي من رمضان عشرة أيام يدع أحدا من أهله يطيق القيام إلا أقامه ". قال القرطبي: ذهب بعضهم إلى أن اعتزاله النساء كان بالاعتكاف، وفيه نظر؛ لقوله فيه: " وأيقظ أهله ". فإنه يشعر بأنه كان معهم في البيت، فلو كان معتكفا لكان في المسجد ولم يكن معه أحد، وفيه نظر، فقد تقدم حديث: " اعتكف مع النبي صلى الله عليه وسلم امرأة من أزواجه ". وعلى تقدير أنه لم يعتكف أحد منهن فيحتمل أن يوقظهن من موضعه وأن يوقظهن عندما يدخل البيت لحاجته.
সারমর্মঃ
কেহ কেহ বলেছেন যে এই হাদীসে যে পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দেওয়ার কথা এসেছে, এটা বুঝায় যে তিনি সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন,কেননা তিনি যদি সেই সময়ে ইতেকাফ রত অবস্থায় থাকতেন,তাহলে তো তিনি মসজিদে থাকতেন।
তার সাথে কোনো স্ত্রী থাকতোনা।
,
আরো কিছু মুহাদ্দিসিনে কেরামগন আরো মত পোষন করেছেন।
সর্বাবস্থায় উপরোক্ত প্রশ্নের জবাব হলো তিনি ইতিকাফ রত অবস্থায় নিজের স্থান থেকেই তার স্ত্রীদের ডেকে জাগিয়ে দিতেন,স্ত্রীদের ঘর তো মসজিদের দরজার সাথেই ছিলো।
,
অথবা যারা প্রয়োজনে সেই সময়ে রাসুল সাঃ এর বাসায় যেতেন (খাদেম খুদামা) তাদের দিয়ে তিনি নিজ স্ত্রীদের ডাকাতেন।