সমস্ত মাসয়ালাতেই নিজ মাযহাব অনুযায়ী আমল করতে হবে।
অন্যথায় নফস ও খাহেশাতের পূজা হবে,যাহা হারাম।
আল্লাহ তায়ালা সুরা সোয়াদের ২৬ নং আয়াতে ইরশাদ করেনঃ
وَ لَا تَتَّبِعِ الۡهَوٰی فَیُضِلَّکَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَضِلُّوۡنَ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ لَهُمۡ عَذَابٌ شَدِیۡدٌۢ بِمَا نَسُوۡا یَوۡمَ الۡحِسَابِ ﴿۲۶﴾
আর প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয় তাদের জন্য কঠিন আযাব রয়েছে। কারণ তারা হিসাব দিবসকে ভুলে গিয়েছিল।
বিস্তারিত জানুনঃ
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি হানাফি ঘরে জন্ম নিছেন, এজন্য যে আপনাকে হানাফি হতেই হবে, বিষটা মূলত এমন নয়, বরং আপনি জেনে বুঝে যে কোনো মাযহাব কে ফলো করতে পারেন। আবার কিছূ কোনো মাযহাবের উপর আ’মল করার পর ভিন্ন মাযহাব আপনার নিকট কুরআন সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী মনে হলে আপনি সেই মাযহাবকেও ফলো করতে পারেন। এতে শরীয়তের পক্ষ্য থেকে কোনো বিধি-নিষেধ নাই। তবে প্রবৃত্তির অনুসরণ না হওয়াই কাম্য ।নিজের সুযোগ সুবিধা দেখে কোনো মাযহাবকে গ্রহণ করা যাবে না। বরং কুরআন সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তীতা দেখেই মাযহাব অনুসরণ করতে হবে। আপনি যদি সকল মাসআলায় হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করে থাকেন,তাহলে আপনাকে নামাযেও হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করতে পারেন। হানাফি ফিকহ অনুসরণ করার পরও বিশেষ অসুবিধার কারণে আপনি পুরুষের মত সিজদা দিতে পারবেন।এতে কোনো অসুবিধে নাই।
আর যদি আপনি কোনো মাসআলাই হানাফি ফিকহকে অনুসরণ না করে থাকেন, তাহলে এজন্য আপনি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত থেকে বের হবেন না। কেননা শা’ফেয়ী, মালিকি, হাম্বলী এবং সালাফি বা আহলে হাদীস সবাই আহলে সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
,
★তবে যে মাসলাকই ইখতিয়ার করুন,সম্পূর্ণ ভাবেই সেটিই মেনে চলতে হবে।
,
আরো জানুনঃ