আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in সালাত(Prayer) by (54 points)
ফযরের সালাতে ২ রাকাত সুন্নাত পড়ার সময় কিছু বের হয়েছে এমন ফিল হয়েছে সালাত শেষে কাপড় দিয়ে লজ্জাস্থান মউছে দেখি কাপড় একটু ভিজেছে, তারপর ওযু করে আবার সালাত পরেছে,  আবারো দেখি এমন,  এবার আর ওযু না করে ফরজ সালাতও শেষ করেছি তখনো দেখি একি অবস্থা,  আমি বিষয়টা বুঝতে পারিনি কারণ কাপড়ে শুধু পানি লাগে যেটা এমনেও হতে পারে, তারপর কিছুক্ষণ ভেবে ifatwa তে ঘাটাঘাটি করে সালাত পড়ার সিদ্ধান্ত নেই, কিন্তু তেমন সময় ছিল না তাই ফরজ পড়ি কিন্তু সালাত শেষে দেখি ওয়াক্তের সময় কয়েক সেকেন্ড পার হয়ে গিয়েছে তবে এবারও সালাত শেষে কাপড় দিয়ে মুছে দেখি কাপড়ে হালকা পানি লেগেছে।  এই সালাত কি আবার পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রথমেই আগে নিশ্চিত হতে হবে যে উক্ত পানি কি লজ্জাস্থান থেকেই বের হয়েছে নাকি অযু করতে গিয়ে পানির ছিটা সেখানে লেগেছিলো?
বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে নিচে কোনো আলাদা পোশাক পরিধান করতে পারেন।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত তথ্যে বুঝা যাচ্ছে যে সেটি লজ্জাস্থান থেকেই বের হয়েছিলো সুতরাং এক্ষেত্রে আপনি মা'যুরের বিধানের আওতায় পড়েন কিনা,সেটি এখন দেখতে হবে।
  
যদি উক্ত ব্যাক্তি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমানীত হোন,তাহলে সুন্নাত ফরজ সব নামাজ হয়ে যাবে।

কেননা শরীয়তের বিধান হলো মা'যুর ব্যাক্তি এক অযু দিয়ে ঐ ওয়াক্তে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন, উক্ত সমস্যার কারনে তখন কোনো সমস্যা হবেনা। 
,
আর যদি মা'যুর প্রমানীত না হোন,তাহলে কোনো নামাজই হবেনা।
উক্ত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে। 
,
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।   
,
সুতরাং যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত সমস্যা   বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট ছুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। 
আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
,
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন
,
আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
মা'যুরের বিধান ইস্তেহাজা ওয়ালা মহিলার ন্যায়। 
আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ 

উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’ 

আরো জানুনঃ 
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে ফজরের শুরুর ওয়াক্ত থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত পুরো ওয়াক্ত নামাজ না পড়ে অপেক্ষা করে এই পরিক্ষা করতে হতো যে পবিত্র অবস্থায় নামাজ পড়া সম্ভব হবে কিনা?
,
যেহেতু এই পরীক্ষা করা হয়নি,আর নামাজের পূর্ণ ওয়াক্ত চলে গিয়েছে,তাই আপনি সেদিনের জোহরের আগেই সুন্নাত সহ ফরজ নামাজের কাজা আদায় করবেন।
যদি জোহরের পরে বা অন্য কোনোদিন সেটির কাজা আদায় করেন,তাহলে সুন্নাতের কাজা আদায় করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...