বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
إِذَا اسْتَأْجَرَ ذِمِّيٌّ دَارًا مِنْ مُسْلِمٍ عَلَى أَنَّهُ سَيَتَّخِذُهَا كَنِيسَةً أَوْ حَانُوتًا لِبَيْعِ الْخَمْرِ، فَالْجُمْهُورُ (الْمَالِكِيَّةُ وَالشَّافِعِيَّةُ وَالْحَنَابِلَةُ وَأَصْحَابُ أَبِي حَنِيفَةَ) عَلَى أَنَّ الإِْجَارَةَ فَاسِدَةٌ؛ لأَِنَّهَا عَلَى مَعْصِيَةٍ. وَانْفَرَدَ أَبُو حَنِيفَةَ بِالْقَوْل بِجَوَازِ ذَلِكَ؛ لأَِنَّ الْعَقْدَ وَارِدٌ عَلَى مَنْفَعَةِ الْبَيْتِ مُطْلَقًا، وَلاَ يَتَعَيَّنُ عَلَى الْمُسْتَأْجِرِ اتِّخَاذُهَا لِتِلْكَ الْمَعْصِيَةِ. وَفِي هَذَا التَّعْلِيل مَا فِيهِ.
أَمَّا إِذَا اسْتَأْجَرَ الذِّمِّيُّ دَارًا لِلسُّكْنَى مَثَلاً، ثُمَّ اتَّخَذَهَا كَنِيسَةً، أَوْ مَعْبَدًا عَامًّا، فَالإِْجَارَةُ انْعَقَدَتْ بِلاَ خِلاَفٍ. وَلِمَالِكِ الدَّارِ، وَلِلْمُسْلِمِ عَامَّةً، مَنْعُهُ حِسْبَةً، كَمَا يُمْنَعُ مِنْ إِحْدَاثِ ذَلِكَ فِي الدَّارِ الْمَمْلُوكَةِ لِلذِّمِّيِّ.
যদি কোনো অমুসলিম কোনো মুসলমানের কাছ থেকে ঘর বা দোকান ভাড়া নেয়,মদ বিক্রির জন্য।তাহলে মালিকি মাযহাব,শা'ফেয়ী মাযহাব এবং হাম্বলী মাযহাব ও ইমাম আবু হানিফার ছাত্রদের মতে উক্ত ইজারা ফাসিদ বলে গণ্য হবে।শুধুমাত্র ইমাম আবু হানিফা রাহ বলেন,উক্ত ইজারা চুক্তি জায়েয বলে গণ্য হবে।কেননা, উক্ত চুক্তি ঘর থেকে ফায়দা গ্রহণের উপর হয়েছে,সুতরাং তা নাজায়েয হবে না।কিন্তু যদি কোনো অমুসলিম কোনো মুসলমানের কাছ থেকে বসবাসের নিমিত্তে ভাড়া দেয়,অতঃপর ঐ অমুসলিম সেই ঘরকে গির্জা বা মন্দির বানায়,তাহলে সমস্ত ফুকাহায়ে কেরামের ঐক্যমতে ঐ ইজারা চুক্তি সহীহ বলে গণ্য হবে।ঘরের মালিক বা এলাকার সমস্ত মুসলিমের তখন একান্ত দায়িত্য হয়ে যাবে,গির্জাকে থামানো যেভাবে কোনো মুসলিম এলাকায় প্রথম থেকেই গির্জা নির্মাণ থামানো সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য।(মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়্যাহ ১/২৮৬)
كشف الحقائق ١ / ٣٩٦، والبدائع ٤ / ١٧٦، ١٨٩، وابن عابدين ٦ / ٣٤، والمغني ٦ / ١٣٦، وكشاف القناع ٣ / ٤٦٣
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হিন্দু বা অমুসলিমদের বাসা ভাড়া দেওয়ায় শরী‘আতে কোনো বাধা নেই, যদি তাদের থেকে কোন ক্ষতির আশংকা না থাকে তবে তাদের ধর্মীয় কর্মকান্ডের জন্য বা শরী‘আতে হারাম এরূপ কোন কাজের জন্য ভাড়া দেওয়া যাবে না (ইবনু কুদামা, মুগনী ৫/৪০৮)। তাদের ধর্মীয় কাজে সমর্থন, অংশগ্রহণ বা কোনরূপ সহযোগিতা করা নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ৫/২)।