সালাত অবস্থায় মহিলাদের মুখমণ্ডল ও হাতের কব্জি দ্বয় ছাড়া সারা শরীর আবৃত করা ফরয।
আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থকেএ বর্ণিত হাদিস তিনি বলেন: “আল্লাহ তাআলা খিমার পরিধান করা ব্যতীত কোন প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর নামায কবুল করেন না।”[সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিযি, আলবানি সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]
তবে সালাতের বাইরে দুআ, যিকির, তাসবীহ-তাহলীল, দরুদ, ইস্তিগফার, কুরআন তিলাওয়াত, হাদিস পাঠ, ইসলামী বই-পুস্তক পাঠ ইত্যাদি ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য পর্দা করা আবশ্যক নয়।
তবে কুরআন তেলাওয়াত করার সময় মাথা ঢাকা অবশ্যই একটি ভালো কাজ।
কারন এই অবস্থায় মাথা ঢেকে রেখে কুরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা মূলত তাকওয়া থেকেই হয়ে থাকে।
,
কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ
‘যে আল্লাহর নিদর্শন সমূহকে সম্মান করে, নিঃসন্দেহে তা অন্তরের তাকওয়া থেকেই।’ [সূরা হজ, আয়াত: ৩২]
,
তাই মাথায় কাপড় দিতে কোনো সমস্যা নেই।
(০২)
নামাজ পড়া শেষে জায়নামাজ ভাঁজ করে রাখা কি বিদআত নয়।
এটাকে কেউ ধর্মীয় কাজ বলে করেনা।
বা ছওয়াবের কাজ বলে করেনা।
,
(০৩)
গীবত করা কবীরা গোনাহ। এটি হারাম। তাই এটি শোনাও হারাম। কারণ যে কাজ করা হারাম। সে কাজ করতে সহযোগিতা করাও হারাম।
কারণ যে শুনছে, সে যদি না শুনতো, তাহলে গীবতকারী গীবত করতে পারে না। যদি যে শ্রোতা সে যদি বাঁধা দেয়, তাহলে গীবতকারী গীবত করতে পারে না। তাহলে শ্রোতা শোনার দ্বারা গীবতকারীকে গীবতের মত কবীরা গোনাহ করতে সহযোগিতা করছে। আর গোনাহের সহযোগিতা করাও নিষিদ্ধ। তাই উভয় কাজই নিষিদ্ধ ও হারাম।
وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ [٤٩:١٢]
তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী,পরম দয়ালু। [সূরা হুজুরাত-১২}
আরো জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত মজলিস ত্যাগ করে উঠে যাবেন,যাতে আপনার গুনাহ না হয়।