বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন
ﻗَﺪْ ﺃَﻓْﻠَﺢَ ﻣَﻦ ﺗَﺰَﻛَّﻰ
নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয়।(সূরা আল-আ'লা-১৪)
হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহ ও আবুল আ'লিয়া রাহ বলেন,এই আয়াত দ্বারা সদকাতুল ফিতর উদ্দেশ্য।(আহকামুল কুরআন)
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﻗَﺎﻝَ : « ﻓَﺮَﺽَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺯَﻛَﺎﺓَ ﺍﻟْﻔِﻄْﺮِ ﻃُﻬْﺮَﺓً ﻟِﻠﺼَّﺎﺋِﻢِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻭَﺍﻟﺮَّﻓَﺚِ ﻭَﻃُﻌْﻤَﺔً ﻟِﻠْﻤَﺴَﺎﻛِﻴﻦِ ﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﻗَﺒْﻞَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺯَﻛَﺎﺓٌ ﻣَﻘْﺒُﻮﻟَﺔٌ ﻭَﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺻَﺪَﻗَﺔٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗَﺎﺕِ »
রাসূলুল্লাহ সাঃ সদকাতুল ফিতরকে ওয়াজিব করেছেন।রোযাকে বেহুদা ও অশ্লীলতা থেকে পবিত্র করতে।এবং মিসনদকিনদের জন্য খাদ্য স্বরূপ হিসেবে।সুতরাং যারা ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা কে আদায় করে নিবে,তাদের সেই সদকাহ হলো মকবুল সদকাহ।আর যারা ঈদের নামাযের পর সেটাকে আদায় করবে,তাদের সেই সদকাহ অন্যন্য নফল সদকাহ এর মত। অর্থাৎ-আল্লাহ ইচ্ছা করলে কবুল করবেন,আর ইচ্ছা না করলে কবুল করবেন না।(সুনানু আবি-দাউদ-১৩৭১)
যাকাত যারা খেতে পারবে ফিতরা ও তারা খেতে পারবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৯/৬১৯)
ঈদের নামাযে যাওয়ার পূর্বে সদকাতুল ফিতর আদায় করা মুস্তাহাব।ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতে দুই বৎসর পূর্বেও ফিতরাকে আদায় করা যায়।ঈদের নামাযের পূর্বে কেউ আদায় করতে না পারলে ঈদের নামাযের পরে অবশ্যই আদায় করে নেবেন।পরে কতদিন পর্যন্ত? মূত্যুর পূর্বে যেকোনো সময় আদায় করতে পারবেন।তবে তারাতারি আদায় করাই মুস্তাহাব।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/৩৫৩)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
আপনি সম্পূর্ণ টাকা ঐ ১০/১২ জনকে দিয়ে দিতে পারবেন।কেননা সম্পূর্ণ টাকা তাদেরকে দিলেও প্রত্যেকের জন্য নেসাব পরিমাণ মাল হবে না।হ্যা অবশ্যই এটা ঠিক যে, অন্যসব গরীব রেখে কোনো এক গরীবকে নেসাব পরিমাণ মালের মালিক বানিয়ে দেয়া মাকরুহ।
বাকী টাকা ঈদের পরেও দিতে পারবেন।তবে তারাতারি দিয়ে দেয়াই মুস্তাহাব।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.