আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
446 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম
যদি কোন মাজুর ব্যক্তি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পড়তেই অল্প সময় পরেই ফজর শুরু হয়ে যায় এবং অসুস্থার জন্য যদি তার ওযু ভেঙ্গে যায়, তখন কি তাকে ফজরের নামাজ আদায় করতে পুনরায় ওযু করতে হবে?

যদি কোন ব্যক্তির অবস্থা এমন হয় যে সে কোন ওয়াক্তের নামাজই এক ওযু দিয়ে পড়তে পারছে না, বায়ু বের হয়ে ওযু ভেঙ্গে যাচ্ছে, তাকে বার বার ওযু করতে হচ্ছে তাহলে সে ব্যক্তি কি এক ওযু দিয়েই নামাজ পরবে? অন্য ওয়াক্ত শুরু আগে পর্যন্ত কি উক্ত ব্যাক্তি এক ওজুতেই (যদিও তা অসুস্থতার জন্য  ভেঙ্গে যায়) অনান্য ইবাদত যেমন নফল নামাজ কোরআন তেলওয়াত করতে পারবে নাকি তাকে অনান্য ইবাদতের জন্য পুনরায় ওযু করতে হবে?

২ঃ- এর আগেও আমি একটা প্রশ্ন করছিলাম যেটা আমি আসলে আপনাকে সঠিকভাবে বুজাতে পারিনি তাই প্রশ্নটা আবার করছি...

#ঘুমন্ত ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না""এই হুকুম স্বামী বা স্ত্রী স্বপ্নটা যেই দেখুক,দুজনের জন্য হুকুম কি একি?

# কোন স্ত্রী যদি ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে যে কোন একটা কাজের সাথে শর্ত দেওয়া হইছে,পরে বাস্তবে ওই শর্ত পাওয়া গেলে কি তালাক কার্যকর হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
যদি উক্ত ব্যাক্তি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমানীত হোন,তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজ হয়ে যাবে।
এর পর ফজরের ওয়াক্ত আসলে তাকে নতুন করে আবার অযু করতে হবে।
আগের অযু যথেষ্ট নয়,কেননা ইশার ওয়াক্ত চলে গিয়েছে। 
এখন ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়েছে,তাই নতুন করে আবার অযু করতে হবে।   
,
শরীয়তের বিধান হলো  মা'যুর ব্যাক্তি এক অযু দিয়ে ঐ ওয়াক্তে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন, উক্ত সমস্যার কারনে তখন কোনো সমস্যা হবেনা। 
,   
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।   
,
সুতরাং যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত সমস্যা   বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট ছুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। 
আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
,
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন
,
আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
মা'যুরের বিধান ইস্তেহাজা ওয়ালা মহিলার ন্যায়। 
আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ 

উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’ 

আরো জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি মা'যুর। 
সে এক অযু দিয়ে ঐ ওয়াক্তে যত ইচ্ছা নামাজ কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন।
,
(০২)
 ঘুমন্ত ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না,এই হুকুম স্বামী স্ত্রী উভয়ের ক্ষেত্রে একই।

# এই ছুরতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...