জবাব
সিয়াম আরবী শব্দ।আর রোজা ফার্সি শব্দ।
উইকিপিডিয়াতে রোযা সম্পর্কে অত্যন্ত তাত্বিক আলোচনা রয়েছে,
রোজা শব্দের অর্থ হচ্ছে 'বিরত থাকা'। আর আরবিতে এর নাম সাওম, বহুবচনে সিয়াম। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার,কামাচার, পাপাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস ও অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকার নাম রোজা।
কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে,
"হে যারা ঈমান এনেছ তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে করে তোমরা তাক্ওয়া অবলম্বন করতে পার"। (সূরা বাকারা: ১৮৩)[২]
হযরত আদম যখন নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার পর তাওবাহ করেছিলেন তখন ৩০ দিন পর্যন্ত তার তাওবাহ কবুল হয়নি। ৩০ দিন পর তার তাওবাহ কবুল হয়। তারপর তার সন্তানদের উপরে ৩০টি রোযা ফরয করে দেয়া হয়।[ফাতহুল বারী-৪/১০২]
নূহ (আ.)-এর যুগেও রোজা ছিল। কারণ, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন:
হযরত নূহ (আ.) ১ লা শাওয়াল ও ১০ জিলহজ ছাড়া সারা বছর রোযা রাখতেন।— ইবনে মাজাহ ১৭১৪ (সনদ দুর্বল)
হযরত ইবরাহীমের যুগে ৩০টি রোজা ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন।
হযরত দাউদ (আ.) এর যুগেও রোযার প্রচলন ছিল। হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় রোযা হযরত দাউদ (আ.)-এর রোযা। তিনি একদিন রোযা রাখতেন এবং একদিন বিনা রোযায় থাকতেন।[মিশকাত-১৭৯]
হাদীসের আপনার বর্ণিত কথা কোনো ভিত্তি আমরা খুজে পেতে সক্ষম হইনি-
1ম রমজানে = রোজাদারকে নবজাতকের মত
নিষ্পাপ করে দেওয়া হয়।
2য় রমজানে = রোজাদারের মা -বাবাকে মাফ করে
দেওয়া হয়।
3য় রমজানে = একজন ফিরিস্তা আবারও
রোজাদারের ক্ষমার ঘোষনা দেয়।
4র্থ রমজানে = রোজাদারকে আসমানী বড় বড়
চার কিতাবের বর্ন সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়।
5ম রমজানে= মক্কা নগরীর মসজিদে হারামে
নামাজ আদায়ের সাওয়াব দেওয়া হয়।
6ষ্ঠ রমজানে= ফিরিস্তাদের সাথে 7ম আকাশে
অবস্থিত বাইতুল মামূর
তাওয়াফের সাওয়াব প্রদান করা হয়।
7ম রমজানে= ফিরাউনের বিরুদ্ধে মুসা আঃ এর
পক্ষে সহযোগিতা করার সমান সাওয়াব প্রদান করা
হয়।
8ম রমজানে =রোজাদারের উপর হযরত
ইবরাহীম আঃ এর মতো রহমত- বর্ষিত হয়।
9ম রমজানে= নবী-রাসূলদের সাথে দাড়িয়ে
ইবাদতের সমান সাওয়াব দেওয়া হয়।
10ম রমজানে= রোজাদারকে উভয় জাহানের
কল্যাণ দান করা হয়।এটা বানোয়াট ও জাল।